যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটলে হামলার চেষ্টা, নিহত ১
যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটলের বাইরে হামলার ঘটনায় এক পুলিশ কর্মকর্তা নিহত ও আরেকজন আহত হয়েছেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, স্থানীয় সময় শুক্রবার ক্যাপিটল ভবনের বাইরে একটি গাড়ি কমপ্লেক্সের নিরাপত্তাবেষ্টনী ভেদ করে ভেতরে ঢুকে যায়।
ইউএস ক্যাপিটল পুলিশ জানায়, দুপুর ১টায় সন্দেহভাজন হামলাকারী তার গাড়ি নিয়ে মার্কিন ক্যাপিটলের উত্তর দিকের ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে ঢোকে এবং দুই জন পুলিশ কর্মকর্তাকে আঘাত করে। সেসময় তাৎক্ষণিকভাবে ক্যাপিটল এলাকায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে লকডাউন তুলে নেওয়া হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সন্দেহভাজন হামলাকারী একটি ছুরি নিয়ে গাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে পুলিশ কর্মকর্তাদের দিকে ছুটে যায়। ছুরি হামলায় একজন নিহত ও অন্যজন আহত হয়। এর পরে এক পুলিশ কর্মকর্তা হামলাকারীকে গুলি করলে তিনিও নিহত হন।
ভারপ্রাপ্ত পুলিশ প্রধান যোগানন্দ পিটম্যান প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, হামলাকারী একজন ছিলেন। তিনি পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ছুরি নিয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের দিকে ছুটে যান।
সূত্রের বরাতে সিএনএন জানায়, সন্দেহভাজন হামলাকারীর নাম নোয়াহ গ্রিন। তার বয়স ২৫ বছর।
গ্রিনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কর্মকাণ্ড পর্যালোচনা করে দেখা যায়, কয়েক সপ্তাহ আগে তিনি চাকরি হারিয়েছেন। চিকিৎসার খরচ দিতে না পারার মতো সমস্যায় ভুগছিলেন।
তিনি বিশ্বাস করতেন, মার্কিন প্রশাসন তার ‘মাইন্ড কন্ট্রোল’ করছে।
হামলার মাত্র ঘণ্টা দুয়েক আগে ইনস্টাগ্রামে নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে বেশ কয়েকটি ‘স্টোরি’ শেয়ার করেন তিনি। সেখানে নেশন অব ইসলামের নেতা লুইস ফারাখানকে বক্তব্য দিতে দেখা যায়।
একটি ভিডিও’র ক্যাপশন ছিল, ‘মার্কিন সরকার কৃষ্ণাঙ্গ মানুষের এক নম্বর শত্রু!’
গত সপ্তাহে এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে গ্রিন জানান, তিনি বিশ্বাস করেন যে, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ ও এফবিআইয়ের মাধ্যমে ভয়াবহ দুর্দশার শিকার হওয়ার পর ফারাখান তাকে রক্ষা করেছেন।
ভারপ্রাপ্ত পুলিশপ্রধান পিটম্যান জানান, হামলার ঘটনায় তদন্ত চলছে। তবে তাত্ক্ষণিকভাবে বিপদ কেটে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিহত কর্মকর্তা উইলিয়াম বিলি ইভানসের মৃত্যুতেও শোক জানান তিনি।
আরও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের ‘কালো দিন’
ট্রাম্প সমর্থকদের হামলা: ফার্স্ট লেডির চিফ অব স্টাফের পদত্যাগ
Comments