যশোরে উত্তোলন না করায় ফেরত গেছে উপবৃত্তির ১ কোটি ৯ লাখ টাকা

স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

অভিভাবকরা নির্দিষ্ট সময়ে উত্তোলন না করায় যশোরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির এক কোটি নয় লাখ টাকা ফেরত গেছে। প্রায় ১৬ হাজার শিক্ষার্থীর নামে এই উপবৃত্তির অর্থ বরাদ্দ করা ছিল।

যশোর জেলা শিক্ষা অফিসের মনিটরিং অফিসার আসাদুজ্জামান বলেন, ‘জেলার আট উপজেলায় ১৫ হাজার ৯৭১ জন শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির অর্থ উত্তোলন করা হয়নি বিগত দুটি অর্থবছরসহ চলতি অর্থবছরের মার্চ মাস পর্যন্ত।’

তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের অর্থ তাদের শিওরক্যাশ ও নগদ একাউন্টে পড়ে ছিল। ফেরত যাওয়া অর্থের পরিমাণ এক কোটি নয় লাখ ৫২ হাজার ৬৭৫ন টাকা।

দীর্ঘদিন একাউন্টে পড়ে থাকার পর অর্থবছর শেষ হয়ে গেলে প্রকল্পের বিপুল পরিমাণ অলস অর্থ ফেরত চলে যায়।

ফেরত যাওয়া উপবৃত্তির অর্থের মধ্যে রয়েছে সদর উপজেলার চার হাজার ৬৪৩ জন শিক্ষার্থীর ৩০ লাখ ৪৮ হাজার ৭০০ টাকা, বাঘারপাড়ার এক হাজার ২৬৯ জন শিক্ষার্থীর আট লাখ ২৮ হাজার ১০০ টাকা,

অভয়নগর উপজেলার এক হাজার ৫৬০ জন শিক্ষার্থীর ১১ লাখ ৪৩ হাজার ৫৭৫ টাকা, চৌগাছার এক হাজার ৩৩৪ জন শিক্ষার্থীর আট লাখ ৭৮ হাজার ৯০০ টাকা, কেশবপুরের এক হাজার ৫৪ জন শিক্ষার্থীর সাত লাখ ৬৯ হাজার ৩০০ টাকা, মণিরামপুরের এক হাজার ৮২৯ জন শিক্ষার্থীর ১১ লাখ ৮৮ হাজার ৮০০ টাকা, শার্শা উপজেলার দুই হাজার ৩৬ জনের ১৫ লাখ দুই হাজার ৭৫ টাকা ও ঝিকরগাছার দুই হাজার ২৪৬ জন শিক্ষার্থীর ১৫ লাখ ৯৩ হাজার ২২৫ টাকা।

আসাদুজ্জামানের দাবি, অর্থ বছর শেষ হওয়ার আগেই টাকা উত্তোলন করার তাগিদ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। কিন্তু শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা তাদের মোবাইল ফোন নম্বরের বিপরীতে খোলা একাউন্ট থেকে তোলেননি উপবৃত্তির অর্থ। ফলে, ওইসব অর্থ ফেরত নিতে বাধ্য হয়েছেন প্রকল্প কর্তৃপক্ষ।

যেসব মোবাইল ফোন নম্বর ব্যবহার করে শিওরক্যাশ ও সর্বশেষ নগদ একাউন্ট খোলা হয় তার বেশিরভাগই বন্ধ পাওয়া গেছে। আবার কোনো কোনো অভিভাবক স্থানান্তরিত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন মনিটরিং অফিসার আসাদুজ্জামান।

মোট তিনটি অর্থ বছরের টাকা ফেরত গেলেও কোন অর্থ বছরের কত টাকা ফেরত গেছে তা সুনির্দিষ্টভাবে বলেননি তিনি।

যশোর জেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা এক হাজার ২৮৯টি ও ইবতেদায়ী মাদ্রাসা ৬৫টি। প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী মিলে তিন লাখ ৫৪ হাজার ১৭০ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। শিক্ষার্থীদের অর্ধেক উপবৃত্তি সুবিধা পেয়ে থাকে।

কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্কুলমুখি করতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর বিশেষ প্রকল্পের মাধ্যমে উপবৃত্তি প্রদান করে আসছে।

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

6h ago