গাজীপুরে হেফাজত-পুলিশ সংঘর্ষ: গ্রেপ্তার ২১

গাজীপুরে গতকাল শুক্রবার হেফাজতে ইসলামের কর্মী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় কমপক্ষে ২৫০ জনকে অভিযুক্ত করে শুক্রবার রাতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) বাসন থানায় মামলা হয়েছে।
বাসন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুল ইসলাম বাদি হয়ে মামলাটি করেন। তিনি জানান, মামলায় হেফাজতের ৩১ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা ও দাঙ্গা-হাঙ্গামার অপরাধ আনা হয়েছে। ওই ঘটনায় পুলিশের সাত সদস্যসহ অন্তত ২০ জন আহত হন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) উপ-মিশনার (অপরাধ-উত্তর) শরীফুর রহমান জানান, শুক্রবার হেফাজতে ইসলামের পূর্ব নির্ধারিত বিক্ষোভ কর্মসূচি মসজিদ চত্বরে পালনের অনুরোধ করা হয়। কিন্তু তারা মহাসড়কে ওঠার চেষ্টা করে ও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। পরে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিপেটা, শতাধিক রাউন্ড টিয়ারশেল ও শটগানের গুলি করা হয়। এ ঘটনায় কেউ নিহত হননি। ইটপাটকেলের আঘাতে পুলিশের সাত সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের স্থানীয় ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
হেফাজতে ইসলামের গাজীপুর জেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মুফতি নাসির উদ্দিন খান দাবি করেন, গতকাল দুপুরে জুমার নামাজের পর গাজীপুর মহানগরের চান্দনা চৌরাস্তায় মসজিদে হেফাজত কর্মীরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে ঈদগাহ ময়দানে বিক্ষোভের জন্য অবস্থান নেন। এ সময় পুলিশ আকস্মিকভাবে তাদের কর্মীদের উপর লাঠিচার্জ ও রাবার বুলেট ছুঁড়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে অন্তত ১৫ জন হেফাজত কর্মী আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন-
Comments