‘হামাক নদীর ভাঙনের হাত থাকি বাঁচান বাহে’

‘হামাক নদীর ভাঙনের হাত থাকি বাঁচান বাহে। গেল কয়দিন থাকি নদী ভাঙিয়া হামার সোগকিছুই খ্যায়া ফ্যালাইল। হামাক দেখার কাইও নাই বাহে।’ এভাবে নদীভাঙন থেকে বাঁচার আকুতি জানান কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়নের ৬৭ বছরের বৃদ্ধা মেনেকা বেওয়া।
ধরলা নদীর তীরে দাঁড়িয়ে স্থানীয়দের মানববন্ধন। ছবি: সংগৃহীত

‘হামাক নদীর ভাঙনের হাত থাকি বাঁচান বাহে। গেল কয়দিন থাকি নদী ভাঙিয়া হামার সোগকিছুই খ্যায়া ফ্যালাইল। হামাক দেখার কাইও নাই বাহে।’ এভাবে নদীভাঙন থেকে বাঁচার আকুতি জানান কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়নের ৬৭ বছরের বৃদ্ধা মেনেকা বেওয়া।

তার মতো কয়েকশ মানুষ একত্রিত হয়ে ধরলা নদীর তীরে দাঁড়িয়ে তীব্র নদীভাঙনের কবল থেকে বাঁচার আকুতি জানিয়ে মানববন্ধন করেছেন।

আজ শনিবার সকাল ১১টা থেকে টানা তিন ঘণ্টা কুড়িগ্রাম সদরের মোগলবাসা ইউনিয়নের কৃষ্ণপুরে এ মানববন্ধন করেন তারা। এসময় তারা নদীর বাম তীর রক্ষা ও ভাঙন থেকে বাঁচার আকুতি জানিয়ে দ্রুত বাঁধ নির্মাণের দাবি জানান।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা জানান, গত কয়েকদিনের ভাঙনে মন্দির-মসজিদ, বিদ্যালয়, কৃষি জমি, ঈদগাহ মাঠ সবকিছু নদীগর্ভে চলে গেছে। ভাঙন পরিস্থিতি প্রতিনিয়ত তীব্র হচ্ছে। তাই, দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে এই এলাকায় বাঁধ নির্মাণে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে দাবি জানান তারা ।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া স্থানীয় বাসিন্দা তমিজ উদ্দিন (৬৩) জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা কয়েকবার এসে ভাঙন কবলিত এলাকা ঘুরে দেখেছেন। কিন্তু, এখনো পর্যন্ত কাজের কোনো অগ্রগতি হয়নি।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছে। পরে গত বছরের নভেম্বরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে প্রস্তাবনাও পাঠানো হয়েছে। কিন্তু, এখনো কোনো অগ্রগতি হয়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ কাজের জন্য অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেলে ভাঙনকবলিত এলাকায় দ্রুত কাজ শুরু করতে পারবে পানি উন্নয়ন বোর্ড।’

Comments

The Daily Star  | English

Teesta floods bury arable land in sand, leaving farmers devastated

40 unions across 13 upazilas in Lalmonirhat, Kurigram, Rangpur, Gaibandha, and Nilphamari are part of the Teesta shoal region

56m ago