হেফাজতের তাণ্ডব: ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা
![](https://tds-images-bn.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/b.baria__1.jpg?itok=c5_XIi7Z×tamp=1619853711)
হেফাজতে ইসলামের গত ২৮ মার্চের হরতালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য পৌরসভার সব কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
আজ শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র নায়ার কবির দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘গানপাউডার ও পেট্রোল ঢেলে পৌরসভা ও পৌর মিলনায়তনের সব কিছুতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে, আবার কবে থেকে পৌরসভার কার্যক্রম আবার শুরু হবে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।’
হরতালে পৌরসভার ক্ষয়ক্ষতির বিবরণসহ গতকাল শুক্রবার একটি নোটিশ জারি করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর কর্তৃপক্ষ।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, হরতালের দিন ২৮ মার্চ থেকে শুরু করে আজ ৩ এপ্রিল পর্যন্ত সাত দিন ধরে পৌর কর্তৃপক্ষ বর্জ্য অপসারণ করতে পারছে না।
পৌরসভা সূত্র জানায়, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে পৌর কার্যালয়ের পাঁচটি এসি, ২৫টি কাঠের আলমারি, ২০টি স্টিলের আলমারি, ১৮টি কম্পিউটার, পাঁচটি ল্যাপটপ, চারটি ফটোকপি মেশিন, ৩৪টি টেবিল, সাতটি সেক্রেটারিয়েট টেবিল ও ১১৫টি চেয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সূত্র আরও জানায়, এ ছাড়াও ১৬টি গাড়ি, তিনটি রোড রোলার, একটি মশা নিধন গাড়িসহ স্বাস্থ্য শাখার ১২টি ডিপ ফ্রিজ, চারটি সাধারণ ফ্রিজ, ভ্যাকসিন, সিলিং ফ্যান, স্টোরে সংরক্ষিত ১০ হাজার এলইডি বাতি, তিন হাজার বাতি শেড ও ৫০ কয়েল বৈদ্যুতিক তারসহ আরও অনেক জিনিসপত্র ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং লুটপাট করা হয়েছে।
পৌরসভার সংরক্ষণ শাখার মালামাল, ষ্টেশনারী সামগ্রী, বাড়ির প্ল্যান অনুমোদনের পে-অর্ডারসহ নথি, চেক রেজিস্ট্রার, ইস্যু রেজিস্ট্রার, ক্যাশ বই, অ্যাসেট রেজিস্ট্রার, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যক্তিগত নথি ও সার্ভিস বই, সব রেজিস্ট্রার, ঠিকাদারদের বিল-জামানতের নথিসহ বিভিন্ন মালামাল আগুনে পুড়ে গেছে বলেও তালিকায় উল্লেখ করা হয়েছে।
পৌরসভার মালিকানাধীন সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তনে অগ্নিসংযোগ করে হরতালকারীরা। এতে আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় মিলনায়তনের পাঁচশ চেয়ার, ২০ সেট সোফা, পাঁচ টনের ২০টি এসি, দুই টনের ১০টি এসি এবং ১৫০টি সিলিং ফ্যান।
Comments