রিয়ালে এক যুগে বেনজেমার যে অভিজ্ঞতা হলো প্রথমবার
মাঠে নামলেই প্রতিপক্ষের বুকে ধরছে কাঁপন। মাঝের চোট সমস্যাও তার জন্য বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। অসাধারণ ছন্দ দেখিয়ে রিয়াল মাদ্রিদকে টেনে নিচ্ছেন করিম বেনজেমা। হোক সে স্প্যানিশ লা লিগা কিংবা উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, গোল তার নামের পাশে থাকছেই। ফর্মের তুঙ্গে থাকা এই ফরাসি স্ট্রাইকার গড়ে ফেলেছেন ব্যক্তিগত নতুন কীর্তিও।
শনিবার লা লিগার ম্যাচে আলফ্রেদো দি স্তেফানো স্টেডিয়ামে এইবারকে ২-০ গোলে হারায় রিয়াল। ৭৩তম মিনিটে হেড থেকে স্বাগতিকদের পক্ষে দ্বিতীয় গোলটি করেন বেনজেমা। সবশেষ টানা সাত ম্যাচে গোলের দেখা পেলেন তিনি। এক যুগ আগে লস ব্লাঙ্কোসদের ডেরায় নাম লেখানোর পর ৩৩ বছর বয়সী এই তারকার এমন অভিজ্ঞতা হলো প্রথমবার।
২০০৯ সালে অলিম্পিক লিওঁ ছেড়ে রিয়াল যোগ দিয়েছিলেন বেনজেমা। সে সময় থেকে অনেক নামীদামী ফরোয়ার্ডই সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে এসেছেন, আবার চলেও গেছেন। তবে বেনজেমার ঠিকানা বদলায়নি। ২০১৮ সালে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো জুভেন্টাসে পাড়ি জমানোর পর তিনিই হয়ে উঠেছেন রিয়ালের আক্রমণভাগের মূল অস্ত্র। গত দুই মৌসুমের মতো এবারও ক্লাবের আস্থার প্রতিদান দিচ্ছেন তিনি।
লা লিগার মার্চ মাসের সেরা খেলোয়াড় বেনজেমার চলতি আসরে মোট গোল বেড়ে হলো ১৮টি। ২৩ গোল নিয়ে তালিকার শীর্ষে আছেন বার্সেলোনার লিওনেল মেসি। সমান ১৯টি করে গোল নিয়ে যৌথভাবে দুইয়ে অবস্থান ভিয়ারিয়ালের জেরার্দ মোরেনো ও অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের লুইস সুয়ারেজের।
এইবারের বিপক্ষে বেনজেমা চোখ ধাঁধানো নৈপুণ্য উপহার দেন। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই গোল পেয়ে যেতে পারতেন। কিন্তু প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে একা পেয়েও ব্যর্থ হন তিনি। পরের মিনিটে মার্সেলোর ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে লক্ষ্যভেদ করলেও হতাশ হতে হয় তাকে। কারণ, অফসাইডের বাঁশি বাজান রেফারি।
বেনজেমার অপেক্ষার পালা শেষ হয় ৭৩তম মিনিটে। বাঁ প্রান্ত দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে মাপা ক্রস করেন বদলি নামা ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। এইবারের কোনো ডিফেন্ডারই ছিলেন না বেনজেমার আশেপাশে। ফলে অনায়াসে হেড করে জাল কাঁপিয়ে উল্লাসে মাতেন তিনি। সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এবারের মৌসুমে ৩৩ ম্যাচে যা তার ২৪তম গোল।
Comments