চীনে বাড়ছে সংক্রমণ, মিয়ানমারকে দোষারোপ

ফাইল ফটো রয়টার্স

চীনের মূল ভূখন্ডে বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। গত ২ এপ্রিল নতুন করে ২৬ জন করোনায় আক্রান্ত শনাক্তের পর সংক্রমণ বাড়ার পেছনে মিয়ানমারকে দায়ী করেছে স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

আজ রোববার রয়টার্স জানায়, মিয়ানমারের স্থানীয় প্রাদুর্ভাবের কারণে চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সংক্রমণ বাড়ছে বলে মনে করছেন চীনা কর্মকর্তারা।

দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানায়, নতুন আক্রান্তদের মধ্যে সাত জন ইউনান প্রদেশে শনাক্ত হয়েছে। প্রদেশটিতে মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী রুইলি শহরে কোভিড–১৯ ক্লাস্টার তৈরি হয়েছে।

চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, রুইলি শহরের করোনাভাইরাসের জেনেটিক বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে চীনের স্থানীয় সংক্রমণের সঙ্গে এটির মিল নেই। তবে মিয়ানমারের ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের সঙ্গে এর মিল পাওয়া গেছে।

ইউনান প্রদেশের অন্যতম মূল ট্রানজিট পয়েন্ট রুইলি। লাওস, মিয়ানমার ও ভিয়েতনামের সঙ্গে এই প্রদেশের চার হাজার কিলোমিটারের সীমান্ত রয়েছে। এসব দেশ থেকে অনেক অভিবাসী অবৈধভাবে চীনে প্রবেশ করে থাকে, যা মহামারি ঠেকাতে চীনের জন্য অন্যতম চ্যালেঞ্জ ছিল।

সংক্রমণ ঠেকাতে রুইলি শহরে হোম কোয়ারেন্টিন, যাতায়াত নিষেধাজ্ঞা ও গণহারে করোনা পরীক্ষা শুরু হয়েছে। শনিবারই আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা তিন হাজার ৬৫০ জনকে শনাক্ত করে কোয়ারেন্টিন পালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গতকাল চীনের মূল ভূখণ্ডে আরও ১৯ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন।

২০১৯ সালের শেষদিকে বিশ্বে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল চীনের হুবেই প্রদেশে।

চীনের সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত দেশটিতে মোট আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৯০ হাজার ২৫২ জন। করোনায় মারা গেছেন চার হাজার ৬৩৬ জন।

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: Stories of sacrifice, sharing and struggle

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

6h ago