‘ঈদের আগে যদি দোকান না খোলে, তাই ঈদের কাপড় কিনতে এসেছি’

ফরিদপুরের বাজারে মানুষের উপচে পড়া ভিড়। ছবি: স্টার

ফরিদপুরে এক সপ্তাহের নিষেধাজ্ঞা শুরুর আগের দিন বাজার, বাসস্ট্যান্ড ও রাস্তাসহ সব জায়গাতেই ছিল মানুষের উপচে পড়া ভিড়।

আজ রবিবার দুপুর ২টার দিকে বাজার ঘুরে দেখা যায়- নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী থেকে শুরু করে পোশাক, এমনকি জুতার দোকানেও উপচে পড়া ভিড়।

কাপড়ের বাজারে আসা ক্রেতা রুবি আক্তার (৪৫) দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘সব আবার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সাত দিনের কথা বললেও সময় যে বাড়াবে না তা কে বলতে পারবে। ঈদের আগে যদি দোকান খোলা না পাই, তাই ঈদের কাপড় কিনতে এসেছি।’

নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে বাজারে এসেছেন শহরের ঝিলটুলী এলাকার বাসিন্দা অভিজিৎ রায় (৪০)। তিনি বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার কারণে আগামীদিনগুলোতে ঠিকমতো নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে পারি কিনা বুঝতে পারছি না। এজন্য বেশি করে বাজার করতে এসেছি।’

বাসস্ট্যান্ডে গিয়েও দেখা গেছে উপচে পড়া ভিড়। সবাই আগে বাস ধরে গন্তব্যের দিকে ছুটছে।

ফরিদপুর শহরের চর কমলাপুর এলাকার একটি মেসে থেকে ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজে পড়াশোনা করেন জহির হোসেন (২৩)। তার বাড়ি নগরকান্দা উপজেলার ফুলসূতি ইউনিয়নের বাউতি পাড়া গ্রামে। তিনি জানান, গত বছর লকডাউন শুরু হওয়ার পর মাসের পর মাস চলেছে। এবার আর ভুল করতে রাজি নই। তাই তল্পি-তল্পা গুটিয়ে বাড়ির পথ ধরছি।

অতিরিক্ত মানুষের চাপে সড়কে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। ভাঙ্গা রাস্তার মোড় থেকে হাজরা তলার মোড় এলাকায় এ যানজট বেশি তীব্র ছিল।

ফরিদপুর শহরের ভটিলক্ষ্মীপুর এলাকার বাসিন্দা মুমিনুল হক (৬৪) জানান, সড়কে বের হয়ে মনে হয়েছে শহরের সব মানুষ, সব যানবাহন যেন এক সাথে রাস্তায় নেমে এসেছে। মানুষের এ হুজুগেপনার জন্য যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনা মেনে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনার সুযোগ থাকবে। এজন্য আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।’

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা কার্যকরে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হবে। প্রয়োজন হলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।’

Comments

The Daily Star  | English

UK govt unveils 'tighter' immigration plans

People will have to live in the UK for 10 years before qualifying for settlement and citizenship

1h ago