আন্তর্জাতিক যাতায়াত শুরুর পরিকল্পনা যুক্তরাজ্যের

করোনাভাইরাসের নতুন রোডম্যাপের অংশ হিসেবে দেশটির অর্থনীতি কর্মকাণ্ড ও আন্তর্জাতিক যাতায়াত শুরুর পরিকল্পনা করছে যুক্তরাজ্য সরকার।
ছবি: রয়টার্স

করোনাভাইরাসের নতুন রোডম্যাপের অংশ হিসেবে দেশটির অর্থনীতি কর্মকাণ্ড ও আন্তর্জাতিক যাতায়াত শুরুর পরিকল্পনা করছে যুক্তরাজ্য সরকার।

আজ সোমবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন দেশটির অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ও আন্তর্জাতিক যাতায়াত আবারো শুরু করাসহ এক গুচ্ছ পরিকল্পনা তৈরি করেছেন। এর সঙ্গে থাকবে ভ্যাকসিন কর্মসূচিও।

ইউরোপের অধিকাংশ দেশ যখন করোনার সংক্রমণ রোধে নতুন করে লকডাউন দিচ্ছে তখন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী আগামী দিনগুলোতে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার কথা ভাবছেন।

ধারণা করা হচ্ছে, ইংল্যান্ডে খুচরা পণ্য বিক্রির দোকান, সেবা প্রতিষ্ঠান ও সেলুনগুলো আগামী ১২ এপ্রিল খোলার বিষয়টি তিনি নিশ্চিত করবেন। তিনি ভ্যাকসিন পাসপোর্ট ও আন্তর্জাতিক ভ্রমণের বিষয়েও বিস্তারিত জানাবেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা থাকায় গত এক বছর ধরে এয়ারলাইন্স সংস্থাগুলো টিকে থাকার লড়াই করছে। যুক্তরাজ্যে কোন কোন এলাকায় করোনা সংক্রমণ কত ও কোথায় কী পরিমাণ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে তার ওপর ভিত্তি করে ‘ট্রাফিক লাইট’ ব্যবস্থার পরিকল্পনা নতুন আশার জন্ম দিচ্ছে। এটি অনুসরণ করে ভ্রমণে ইচ্ছুক ব্যক্তিরা তাদের ভ্রমণের সম্ভাব্য স্থান বেছে নিতে পারবেন।

বর্তমান পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী ১৭ মের পর আন্তর্জাতিক যাতায়াতের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হতে পারে। তবে এ বিষয়ে জনসন এখনই কোনো তারিখ ঘোষণা করতে চান না।

ধীরে ধীরে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার পাশাপাশি করোনা পরীক্ষার সংখ্যাও বাড়ানো হবে। সংক্রমণ রোধে ইংল্যান্ডের সবাই সপ্তাহে দুই বার দ্রুত করোনা পরীক্ষা করাতে পারবেন।

বরিস জনসন এক বার্তায় বলেছেন, ‘আমাদের টিকাদান কর্মসূচি ভালোভাবে চলছে এবং সতর্কতার সঙ্গে নিষেধাজ্ঞা শিথিলের রোডম্যাপের প্রস্তুতিও চলছে। এমন পরিস্থিতিতে নিয়মিতভাবে দ্রুত করোনা পরীক্ষা করলে আমাদের এই উদ্যোগ বৃথা যাবে না।’

স্কটল্যান্ড, ওয়েলস ও উত্তর আয়ারল্যান্ড তাদের নিজ নিজ নিয়ম মেনে চলবে। এই রাজ্যগুলোও কঠোর লকডাউন থেকে বের হয়ে আসার চেষ্টা করবে।

করোনায় শীর্ষ ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর একটি যুক্তরাজ্য। এই মহামারিতে এখন পর্যন্ত দেশটিতে প্রায় ১ লাখ ২৭ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যার দিক থেকে যুক্তরাজ্য বিশ্বে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে। প্রথম অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে ব্রাজিল, রাশিয়া ও ভারত।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladeshi-Americans eager to help build new Bangladesh

July uprising and some thoughts of Bangladeshi-Americans

NRBs gathered in New Jersey showed eagerness to assist in the journey of the new Bangladesh forward.

12h ago