জ্ঞানতাপস আব্দুর রাজ্জাক রচনা প্রতিযোগিতা

‘বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ না হলে দেশের উন্নয়ন দীর্ঘস্থায়ী করা সম্ভব নয়’

অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক। ছবি: নাসির আলী মামুন

জ্ঞানতাপস আব্দুর রাজ্জাক ফাউন্ডেশন আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা ও পুরস্কার বিতরণী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের প্রত্যেকে সার্টিফিকেটসহ অর্থমূল্য দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার অনলাইন বৈঠকে প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

প্রতিযোগিতার দুইটি বিভাগে মোট ছয় জনকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে বিজয়ীরা হলেন— সুহৃদ সাদিক (১ম স্থান), আরজু আফরিন ক্যাথি (২য় স্থান) ও মো. আকমাল হোসাঈন (৩য় স্থান)। বিজয়ীদের তিন জনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

স্কুল-কলেজ পর্যায়ে বিজয়ীরা হলেন— বরিশাল অমৃতলাল দে মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অয়ন চক্রবর্তী (১ম স্থান), ঢাকার উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী নাজিফা তারান্নুম রুহিয়া (২য় স্থান) ও কুমিল্লার কালাই গোবিন্দপুর মহিলা দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী শারমিন আক্তার (৩য় স্থান)।

ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. আহরার আহমদের পক্ষ হতে সর্বকনিষ্ঠ প্রতিযোগী হিসেবে বিশেষ পুরস্কার গ্রহণ করেছে ঢাকার করাতিটোলা সিএমএস মেমোরিয়াল হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের ৪র্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী জান্নাতুল হক জ্যোতি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও জ্ঞানতাপস আব্দুর রাজ্জাক ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টিসদস্য আবুল খায়ের লিটু।

প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন স্বনামধন্য মানবাধিকারকর্মী ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম।

জ্ঞানতাপস আব্দুর রাজ্জাক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ও যুক্তরাষ্ট্রের ব্ল্যাক হিলস স্টেট ইউনিভার্সিটির ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আহরার আহমদ স্বাগত বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও, রচনা প্রতিযোগিতার মূল্যায়নে সম্পৃক্ত বিচারকবৃন্দ ও দেশের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও নাগরিক সমাজের কয়েকজন প্রতিনিধি অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

উপস্থিত অতিথি ও বিচারকরা দেশের সাংস্কৃতিক বিকাশের জন্যে এ ধরনের রচনা প্রতিযোগিতার প্রয়োজন রয়েছে বলে উল্লেখ করেন। তারা শিল্প, সাহিত্য ও গবেষণা সংস্কৃতিকে আরও সুদৃঢ় করতে ফাউন্ডেশনের কাজের প্রশংসা করেন।

অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ না হলে দেশের উন্নয়ন দীর্ঘস্থায়ী করা সম্ভব নয় বলে মনে করেন তারা।

স্কুল-কলেজ (প্রথম-দ্বাদশ) পর্যায়ে রচনার বিষয় ছিল ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও বাংলাদেশের সফলতা (Bangabandhu’s dream and the achievements of Bangladesh) ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ‘বাংলাদেশের অভ্যুত্থানে ছাত্র ও শিক্ষক সমাজের ভূমিকা (The role of students and teachers in the emergence of Bangladesh)।

এটি ছিলে ফাউন্ডেশনের দ্বিতীয় রচনা প্রতিযোগিতা।

Comments

The Daily Star  | English

Interest payments, subsidies soak up almost half of budget

Interest payments and subsidies have absorbed nearly half of Bangladesh’s total budget expenditure in the first seven months of the current fiscal year, underscoring growing fiscal stress and raising concerns over public finances.

2h ago