করোনাভাইরাস

আজ রেকর্ড শনাক্ত ৭২১৩, মৃত্যুও সর্বোচ্চ ৬৬

শনাক্তের হার ২১.০২ শতাংশ
ছবি: সংগৃহীত

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও সাত হাজার ২১৩ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এটিই এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত। মোট শনাক্ত হয়েছেন ছয় লাখ ৫১ হাজার ৬৫২ জন।

এ নিয়ে টানা তৃতীয় দিন দৈনিক সাত হাজারে বেশি রোগী শনাক্ত হলো। গত ৪ মার্চ সাত হাজার ৮৭ জন ও গতকাল সাত হাজার ৭৫ জন শনাক্ত হয়েছিল।

একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও ৬৬ জন। এটিই এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এর আগে, গত বছরের ৩০ জুন ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এখন পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন নয় হাজার ৩৮৪ জন।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত অ্যান্টিজেন ও আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে ৩৪ হাজার ৩১১টি নমুনা পরীক্ষা করে করোনায় আক্রান্ত আরও সাত হাজার ২১৩ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২১ দশমিক ০২ শতাংশ।

মার্চের শুরু থেকেই দেশে পুনরায় করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকলেও গত ১০ দিনেরও বেশি সময় ধরে তা দ্রুত গতিতে বাড়ছে। গত ২৬ মার্চ শনাক্তের হার ছিল ১৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ। ২৭ মার্চ তা বেড়ে ১৪ দশমিক ৯০ শতাংশ, ২৮ মার্চ ১৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ, ২৯ মার্চ ১৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ, ৩০ মার্চ ১৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ, ৩১ মার্চ ১৯ দশমিক ৯০ শতাংশ, ১ এপ্রিল ২২ দশমিক ৯৪ শতাংশ, ২ এপ্রিল ২৩ দশমিক ২৮ শতাংশ, ৩ এপ্রিল ২৩ দশমিক ১৫ শতাংশ, ৪ এপ্রিল ২৩ দশমিক ০৭ শতাংশ ও গতকাল ২৩ দশমিক ৪০ শতাংশে দাঁড়ায়।

আজসহ টানা এক সপ্তাহ যাবৎ গড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ৫৬। গত ৩১ মার্চ মারা গেছেন ৫২ জন, ১ এপ্রিল ৫৯ জন, ২ এপ্রিল ৫০ জন, ৩ এপ্রিল ৫৮ জন, ৪ এপ্রিল ৫৩ জন ও গতকাল ৫২ জন মারা গেছেন।

আজ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৬৬ জনের মধ্যে ৩৯ জন পুরুষ ও ২৭ জন নারী। বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে তাদের মধ্যে একজনের বয়স ২১-৩০ বছরের মধ্যে, দুই জনের বয়স ৩১-৪০ বছরের মধ্যে, পাঁচ জনের বয়স ৪১-৫০ বছরের মধ্যে, ১৭ জনের বয়স ৫১-৬০ বছরের মধ্যে ও ষাটোর্ধ্ব ৪১ জন।

২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ৯৬৯ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন পাঁচ লাখ ৫৮ হাজার ৩৮৩ জন। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত ৪৮ লাখ ৪৭ হাজার ৯৩৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, দেশে মোট পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ। আর মোট শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৫ দশমিক ৬৯ শতাংশ ও মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৪ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে সারাদেশে মোট আইসিইউ শয্যার সংখ্যা ৫৯৭। এর মধ্যে বর্তমানে ফাঁকা রয়েছে ১৮০টি। আর ঢাকা মহানগরীতে আইসিইউ শয্যা রয়েছে ৩০৭টি। এর মধ্যে ফাঁকা রয়েছে ২৫টি। গতকাল পর্যন্ত সারাদেশে ৫৫ লাখ ৩৯ হাজার ৪৯৪ জনকে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন:

আজও শনাক্ত ৭ হাজারের বেশি, মৃত্যু ৫২

একদিনে শনাক্ত ৭ হাজার ছাড়াল, মৃত্যু ৫৩

আজ শনাক্তের হার ২৩.১৫ শতাংশ মৃত্যু ৫৮

আজও সর্বোচ্চ শনাক্ত ৬৮৩০ মৃত্যু ৫০

আজও রেকর্ড শনাক্ত ৬৪৬৯, মৃত্যু ৫৯

একদিনে দেশে রেকর্ড শনাক্ত ৫৩৫৮ মৃত্যু ৫২

আজও শনাক্ত ৫ হাজারের বেশি, মৃত্যু ৪৫

একদিনে দেশে সর্বোচ্চ শনাক্ত ৫১৮১ মৃত্যু ৪৫

একদিনে শনাক্তের হার ১৭.৬৫ গতকালের চেয়ে ২.৭৫ শতাংশ বেশি, মৃত্যু ৩৫

সাড়ে তিন মাসের মধ্যে আজ সর্বোচ্চ মৃত্যু ৩৯ শনাক্তের হার ১৪.৯০

আজ টানা চতুর্থ দিন শনাক্ত সাড়ে ৩ হাজারের বেশি, মৃত্যু ৩৩

তিন মাসের মধ্যে আজ সর্বোচ্চ মৃত্যু ৩৪ শনাক্তের হার ১৩.২৬

প্রায় ৯ মাসের মধ্যে আজ সর্বোচ্চ শনাক্ত ৩৫৬৭, মৃত্যু ২৫

সাড়ে ৮ মাসের মধ্যে আজ সর্বোচ্চ শনাক্ত ৩৫৫৪, মৃত্যু ১৮

২৪ ঘণ্টায় ৭ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ শনাক্ত ২

Comments

The Daily Star  | English
future of bangladesh after banning awami league

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

17h ago