ভ্যালনেভার ভ্যাকসিন: এই মাসেই চূড়ান্ত ট্রায়াল শুরু

এই মাসেই নিজেদের তৈরি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু করতে যাচ্ছে ভ্যালনেভা এসই।
প্রতীকী ছবি রয়টার্স

এই মাসেই নিজেদের তৈরি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু করতে যাচ্ছে ভ্যালনেভা এসই।

আজ মঙ্গলবার ব্লুমবার্গ জানায়, ব্রিটিশ সরকারের সহযোগিতায় ফরাসি প্রতিষ্ঠানের করোনা ভ্যাকসিনটি দ্রুতই তাদের ট্রায়াল শেষ করতে যাচ্ছে।

ভ্যালনেভা মঙ্গলবার জানায়, ভ্যাকসিনটির প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে ৯০ শতাংশেরও বেশি অংশগ্রহণকারীর মধ্যে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিয়ে কোনও উদ্বেগ দেখা যায়নি। প্যারিসের ট্রেডিংয়ে ইতোমধ্যেই ভ্যালনেভার শেয়ারের দর ৮ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে।

এই ভ্যাকসিনটি প্রচলিত পদ্ধতিতে তৈরি। ভাইরাসের একটি নমুনা নিয়ে সেটিকে নিষ্ক্রিয় করে ভ্যাকসিনটি তৈরি করা হয়েছে যাতে সক্রিয় ভাইরাসের বিরুদ্ধে মানুষের শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়। বছরের পর বছর এই পদ্ধতিতেই হেপাটাইটিস এ ও পোলিও টিকা তৈরি হয়ে আসছে।

এখন পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে অনুমোদন পাওয়া ভ্যাকসিনগুলোর কোনোটাতেই প্রচলিত পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়নি। বেশিরভাগ ভ্যাকসিনই নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে।

ফাইজার, মডার্নার মতো কয়েকটি প্রতিষ্ঠান প্রযুক্তির সাহায্যে ভাইরাসটির কিছু অংশ যেমন- এম আরএনএ ব্যবহার করেছে। 

অন্যদিকে, জনসন অ্যান্ড জনসনের মতো কয়েকটি প্রতিষ্ঠান অ্যাডেনোভাইরাল ভেক্টর ভ্যাকসিন তৈরি করেছে।

কিন্তু, ভ্যালনেভার ভ্যাকসিন ভাইরাসের সম্ভাব্য মিউটেশনকে আরও ভালোভাবে মোকাবিলা করতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ভ্যালনেভা জানায়, নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের চেয়ে নিষ্ক্রিয় ভাইরাস ব্যবহার করে ভ্যাকসিন তৈরি করে স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারলে অনেক মানুষের মধ্যে সফলভাবে পরীক্ষা করা যেতে পারে। 

ভ্যালনেভার প্রাথমিক পর্যায়ের ট্রায়ালে ১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সী ১৫৩ জন অংশ নেন। প্রতিষ্ঠানটি তিন সপ্তাহের ব্যবধানে তিনটি ভিন্ন লেভেলের ডোজের পরীক্ষা করে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ডোজ সবচেয়ে বেশি কার্যকর প্রমাণিত হয়।

প্রতিষ্ঠানটি মঙ্গলবার জানিয়েছে, তারা যুক্তরাজ্য সরকারের সঙ্গে ভ্যাকসিনের সম্ভাব্য উন্নয়ন ও সরবরাহ নিয়ে কাজ করছে।

যুক্তরাজ্যের ভ্যাকসিন মন্ত্রী নাদিম জাওয়াহি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘পরীক্ষার ফল নতুন করে আশা জাগিয়েছে যে, সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় ভাইরাস ব্যবহার করে করোনাভাইরাসের বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধেও শক্তিশালী সুরক্ষা পাওয়া যেতে পারে। যদি ভ্যাকসিনটি যুক্তরাজ্যের নিয়ন্ত্রকদের অনুমোদন পায়, তবে এই মহামারির সঙ্গে যুদ্ধে এটি আমাদের অস্ত্রাগারে আরও একটি শক্তিশালী অস্ত্র হয়ে উঠবে।’

ইউরোপের ক্লিনিকাল ট্রায়ালে যাওয়া এখন পর্যন্ত ভ্যালনেভাই একমাত্র ভ্যাকসিন যেটি নিষ্ক্রিয় ভাইরাস দিয়ে তৈরি। চীনের সিনোফার্মের ভ্যাকসিনও কিছুটা প্রচলিত পদ্ধতিতে তৈরি করা হয়েছে।

যুক্তরাজ্য ভ্যালনেভার সঙ্গে ২০২১ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে প্রায় ১৯০ মিলিয়ন ডোজ সরবরাহের জন্য ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন পাউন্ডের একটি সমঝোতা চুক্তি করেছে।

Comments

The Daily Star  | English

Ex-public administration minister Farhad arrested

Former Public Administration minister Farhad Hossain was arrested from Dhaka's Eskaton area

3h ago