রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ২৬০ বিদেশি কর্মী কোয়ারেন্টিনে

করোনা মহামারির মধ্যে ইউরোপ থেকে ফেরায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে কর্মরত ২৬০ বিদেশি কর্মীকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।

করোনা মহামারির মধ্যে ইউরোপ থেকে ফেরায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে কর্মরত ২৬০ বিদেশি কর্মীকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।

প্রকল্প এলাকা রূপপুরে তিনটি আলাদা স্থানে তাদের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রকল্প সূত্র।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের আবাসিক এলাকা গ্রিন সিটির দ্বায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. ফখরুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘রূপপুর প্রকল্পে কর্মরত ২৬০ জন বিদেশি নাগরিকের মধ্যে বেশিরভাগই রাশিয়ান। গতকাল মঙ্গলবার ইউরোপ থেকে তারা কাজে যোগদানের জন্য প্রকল্প এলাকায় আসলে তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়।’

ইউরোপ থেকে ফেরায় প্রত্যেককে বাধ্যতামূলকভাবে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে বলে জানান তিনি।

১৩ দিন পর তাদের নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষা করা হবে। রিপোর্ট নেগেটিভ আসলে তবেই তারা কাজে যোগ দিতে পারবেন।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকার তিনটি আলাদা স্থানে ২৬০ জন বিদেশিকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কোয়ারেন্টিনে রাখার পাশাপাশি তাদের নিয়মিত মেডিকেল মনিটরিং করা হচ্ছে।’

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প সূত্র জানায়, বর্তমানে প্রায় দুই হাজার ৮০০ জন বিদেশি নাগরিক এই প্রকল্পে কর্মরত রয়েছেন। প্রকল্প এলাকার এ বিশাল বিদেশি জনগোষ্ঠীকে টিকা কর্মসূচীর আওতায় আনতে কাজ করছে প্রকল্পের মেডিকেল টিম।

ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এফ এম আসমা খান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকায় কর্মরত রাশিয়ানদের রাশিয়ান ভ্যাকসিন স্পুটনিক-৭ দেওয়া হচ্ছে। প্রকল্পে কর্মরত মেডিকেল টিমের সদস্যরা টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। ইতোমধ্যে এক হাজার বিদেশি শ্রমিক-কর্মচারীকে প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে এবং টিকাদান কর্মসূচী চলমান রয়েছে।’

দেশের সর্ববৃহৎ এ উন্নয়ন প্রকল্পে হাজারো দেশি-বিদেশি শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করলেও নিয়মিত তাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করতে হচ্ছে। ফলে ঝুঁকি থাকলেও কাজে কোনো ব্যাঘাত ঘটছে না বলে জানিয়েছে প্রকল্প কর্মকর্তারা।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের সাইট অফিস ইনচার্জ রুহুল কুদ্দুস দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘করোনার ঝুঁকি থাকলেও নিয়মিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রকল্পে কাজ চলছে। ফলে কাজের বড় ধরনের কোনো সমস্যা এখনও হয়নি।’

প্রকল্পের দেশি-বিদেশি কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে তাকে প্রকল্পের অন্য সবার কাছ থেকে আলাদা করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। প্রকল্পে নিয়মিত প্রতিটি কর্মীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

10h ago