পার্টিশনের ঘর ও বাহির: উত্তর প্রজন্মের খোঁজ
চারুবালা সাহা, রমেছা বেওয়া, ভজন মণ্ডল, জাফর আলী খাঁ, হিমাংশু সরকার, বকুল সূত্রধর, চিত্তরঞ্জন নন্দী-পুষ্প নন্দী, যতীন্দ্রনাথ বিশ্বাস, বেলা মণ্ডল, অনিল বাইন, মৃণালিনী বিশ্বাসদের কথা আপনাদের মনে না থাকারই কথা। ভিটে হারানো, দেশ হারানো রিফিউজিদের কথা কত আর মনে রাখা যায়! দেশ হারিয়েছে যে তার ঘর-বাহির নেই কিন্তু পার্টিশন ইতিহাসের আছে ভিতর-বাহির, অন্দরমহল-বহির্মহল। ভারতীয় উপমহাদেশের পার্টিশন চর্চার ক্ষেত্রে এতদিন লিখিত ইতিহাসকে গুরুত্ব দেওয়া হতো, সেখানে এই আমজনতার বিপন্নতার কথা কতটুকুইবা দলিলীকরণ হয়েছে? বিস্তর সময়ের ব্যবধানে ইতিহাসের প্রদোষ কালের আবর্ত থেকে বেরিয়ে এসে সেই আমজনতাই ‘বাংলার পার্টিশন-কথা: উত্তর প্রজন্মের খোঁজ- ১’ (সম্পাদনা- অধ্যাপক মননকুমার মণ্ডল) বইটিতে সরাসরি কথা বলেন। তাদের মৌখিক বয়ান থেকে তখন জন্ম নেয় পার্টিশনের অল্টারনেটিভ ইতিহাস। পার্টিশনের লিখিত ইতিহাসের সমান্তরালে এই বিকল্প ইতিহাস উত্তরকালের পাঠকদের সামনে ইতিহাসের একটি পরা-পাঠকে হাজির করে। উর্বশী বুটালিয়া, কম্লা ভাসিন, রীতু মেননে ক্লান্ত পাঠক চারুবালা থেকে মৃণালিনী বিশ্বাসদের জীবনভাষ্যে পার্টিশন চর্চারই নতুন পরিসর খুঁজে পান।
একদিকে ইতিহাস অন্যদিকে স্মৃতি, একদিকে হিংসা অন্যদিকে সম্প্রীতি, একদিকে দলিলীকৃত তথ্য অন্যদিকে চাপা পড়া সত্য—এই বাইনারি অপজিশনের মধ্য থেকে কালান্তরের পাঠক এখানে ভিন্ন এক পার্টিশন-কথার মুখোমুখি হন। এই বই কার্যত সেই পরিসরটি নির্মাণ করে দেয়।
নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব হিউম্যানিটিজ অ্যান্ড সোস্যাল সায়েন্স-এর অধিকর্তা অধ্যাপক মননকুমার মণ্ডলের তত্ত্বাবধানে বিগত পাঁচ বছর ধরে বাংলার পার্টিশন বিষয়ক যে গবেষণা প্রকল্প পরিচালিত হয়েছে আলোচ্য গ্রন্থটি সেই গবেষণারই ফসল। তারা তিন খণ্ডে এটি পরিকল্পনা করেছেন, আপাতত প্রথম খণ্ড প্রকাশিত (২০২০) হয়েছে। বইটি প্রকাশ করেছে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ল্যাঙ্গুয়েজ ট্রানস্লেশন অ্যান্ড কালচারাল স্টাডিজ। সম্পাদকের মূল্যবান ভূমিকাসহ প্রথম খণ্ডে মুদ্রিত হয়েছে দুই ২৪ পরগনা, নদিয়া, হুগলি, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ দিনাজপুর ও জলপাইগুড়ির উদ্বাস্তু পরিবারের সদস্যদের তিরিশটি জীবনভাষ্য। দ্বিতীয় পর্বে আছে গবেষণামূলক সাতটি প্রবন্ধ। পরিশিষ্টে সংযোজিত হয়েছে ২০১৭-২০১৯ কালপর্বে সংগৃহীত মৌখিক বয়ানের পূর্ণাঙ্গ ক্যাটালগ। প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখা জরুরি— সংগৃহীত তথ্যকে মুদ্রিত রূপে প্রকাশ করাই এই গবেষণা প্রকল্পের একমাত্র উদ্দেশ্য নয়। তারা ইতোমধ্যে গড়ে তুলেছেন একটি সমৃদ্ধ ‘ডিজিটাল আর্কাইভ’। আমি বিশ্বাস করি আগামী দিনে এই সংগ্রহশালা উপমহাদেশের পার্টিশন চর্চার ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। দুই বাংলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা উদ্বাস্তু মানুষদের অভিজ্ঞতার বয়ান যেমন তারা লিপিবদ্ধ করছেন, তেমনি সেইসব সাক্ষাৎকারের ভিডিও, অডিও তারা সংরক্ষণ করেছেন। কী নেই সেখানে—পার্টিশনের স্মারক, ডায়েরি, চিঠিপত্র, লেখালেখি, পার্টিশন বিষয়ক গ্রন্থ, গ্রন্থ সমালোচনা, লিফলেট, পুস্তিকাসহ খুঁটিনাটি অজস্র উপাদান। কার্যত এরকম সমৃদ্ধ ডিজিটাল রিপোজিটরি এই উপমহাদেশে আর দুটি নেই।
অ্যাকাডেমিক রিসার্চের ক্ষেত্রে অনেক ধরনের বাধ্য বাধকতা থাকে। যেহেতু এটা একটা পিপলস্ রিসার্চ প্রজেক্ট— যেখানে কাজ করেছেন অর্ধশতাধিক ছাত্র-ছাত্রী, গবেষক, শিক্ষক ও অধ্যাপক এবং তার সঙ্গে যুক্ত হয়ে গেছে অসংখ্য উদ্বাস্তু মানুষের দেশ হারানোর প্রত্যক্ষ বয়ান। ফলে আরও দশটা পার্টিশন বিষয়ক রিসার্চ পেপারের থেকে এই বইয়ের বক্তব্য ও আঙ্গিক একেবারেই আলাদা। আর্ত মানুষের স্বর এখানে অ্যাকাডেমিক রিসার্চের ফাঁক ও ফাঁকিকে পূরণ করে দিয়েছে। কার্যত চরিত্ররা এখানে কথা বলছেন, তারাই হয়ে উঠেছেন লেখক। তাই কেবল রিসার্চ নয়, এ যেন অ্যাখানেরই এক নব-নিরীক্ষা।
ইতিহাসের তথ্য বা সরকারি মহাফেজখানার দলিল-দস্তাবেজ নিশ্চয়ই গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু ‘বাংলার পার্টিশন-কথা: উত্তর প্রজন্মের খোঁজ- ১’ পড়তে গিয়ে দেখি সযত্নে সেইসব গুরু-গম্ভীর ইতিহাস ও তথ্য থেকে খানিকটা সরে এসে পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যন্ত গ্রাম-মফস্বল, রেললাইনের পাশে ছড়িয়ে থাকা বস্তি বা সীমান্তবর্তী কোনো গঞ্জে আস্তানা গড়ে নেওয়া উদ্বাস্তু মানুষদের দেশ ছেড়ে আসার অভিজ্ঞতা, স্মৃতি আর লাঞ্ছনার মৌখিক ইতিহাসকে অধ্যাপক মণ্ডল ও তার সহযোগী গবেষকরা বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন, বস্তুত সেটাই এ গবেষণার মুখ্য উদ্দেশ্য।
সত্তর-ঊর্ধ্ব যে সমস্ত মানুষদের সাক্ষাৎকার এখানে নেওয়া হয়েছে কাঁটাতারের দুদিকে ছড়িয়ে আছে তাদের জীবন— অন্তহীন দেশভাগের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা তাদের স্মৃতিতে, ট্রমাচ্ছন্ন চৈতন্য ও শরীরী ভাষায়। সেইসব মানুষদের সংখ্যাও তো কমে আসছে ধীরে ধীরে। হিংসার প্রত্যক্ষ শিকার যারা সাধারণত তারা বোবা হয়ে যান, নামহীন গোত্রহীন সময়ের কুশিলবরা তখন নীরবতার ভাষায় কথা বলেন, সময়ের উজান ঠেলে দেশভাগের বিস্তর ব্যবধানে তারাই এখানে মুখর হয়ে উঠেছেন।
জীবনের শেষে পৌঁছে চারুবালা দেবী চোখ বুজলে আজও স্পষ্ট দেখতে পান পূর্ববঙ্গে ফেলে আসা দশ বিঘা জমির ওপর তাদের সেই বিশাল বাড়ি। বাড়ি তো নয় যেন একটা আস্ত পাড়া। তার বাপের বাড়ি গ্রাম ঘন্টেশ্বরে রায়ট শুরু হয়ে গেছে, মুলাদিতে যে কোনো সময় হিন্দুদের ওপর আক্রমণ হতে পারে, খবর আসছে। তার মামা–শ্বশুরের চার ছেলে ইতোমধ্যে দাঙ্গাবাজদের হাতে খুন হয়েছেন। ফলে সবকিছু ছেড়ে তাদেরও বেরিয়ে পড়তে হল নতুন দেশের খোঁজে। চারুবালা দেবীর বয়স তখন মাত্র উনিশ। কোলে এক বছরের পুত্র সন্তান। নৌকায় চেপে ফরিদপুরের ননদের বাড়ি হয়ে তারা গোয়ালন্দে স্টিমার ঘাটে পৌঁছান। সেই স্টিমারে ওঠার অভিজ্ঞতা মনে করলে আজও শিউরে উঠি। স্টিমারে ওঠার জন্য মানুষের মারামারি, চিৎকার, ধাক্কাধাক্কি। তিনদিন ধরে চেষ্টা করেও স্টিমারে উঠতে পারলাম না। … তিন দিন পর আর থাকতে না পেরে শ্বশুরমশাই একটা নৌকো ভাড়া করে স্টিমারের পেছন দিয়ে ওঠার পরিকল্পনা করেন। কিন্তু নৌকো থেকে ওই উঁচু স্টিমারে ওঠা যে কতটা দুরূহ ছিল তা বলার নয়। প্রথমে আমার নন্দাই উপরে উঠে আমার ননদকে টেনে তোলেন। তারপর দেওর, শাশুড়ি; তারপর আসে আমার পালা। সজোরে একহাতে ছেলেকে জাপটে ধরি। অন্য একটা হাত ধরে কেউ ওপর থেকে প্রাণপণ টানছিল। বহু চেষ্টা, টানা–হ্যাঁচড়ার পর কীভাবে যে স্টিমারে উঠেছিলাম আজ আর মনে নেই। স্টিমারে উঠেই অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলাম। তারপর পুলিশ এসেছিল, বেআইনিভাবে স্টিমারে ওঠার জন্য তার শ্বশুরমশাই ধমক খায়। তারপর একসময় স্টিমারের ভোঁ বাজে। সেই আওয়াজে কি যে এক কষ্ট লুকিয়েছিল, আমার চোখ থেকে টপটপ করে জল গড়িয়ে পড়ল।
দেশভাগের আখ্যান তাই কেবল আক্রান্ত মানুষের কেবল পালানোর কথকতা নয়, দেশ-মাটি ছাড়তে না চাওয়ারও আলেখ্য।
দর্শনায় চেকিং-এর নামে লুকিয়ে রাখা গয়না ও টাকা পয়সা সব কেড়ে নেয় মিলিটারি। সম্পূর্ণ নিঃস্ব, রিক্ত অবস্থায় সেদিন এপারের ট্রেন ধরেছিলেন তাঁরা। “ট্রেন এসে রাণাঘাট পৌঁছায়। রাণাঘাট স্টেশনে বাচ্চার জন্য দুধ-বিস্কুট ও আমাদের চিঁড়ে খেতে দেয়। তারপর শিয়ালদা। সে সময় শিয়ালদা স্টেশন হয়ে উঠেছিল বিভীষিকা। আমরা শিয়ালদা স্টেশনে পড়েছিলাম তিনদিন। এই দিনগুলোর অভিজ্ঞতা ভোলার নয়। নিজেদের কেমন ভিখিরির মতো মনে হচ্ছিল। শরীরে, মনে ভেঙে পড়েছিলাম খুব। মনে হচ্ছিল এর চেয়ে বোধহয় মৃত্যু ভালো। …শেষ পর্যন্ত আবার ট্রেনে চাপিয়ে আমাদের বিহারের ডিহিচ ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়।” পার্টিশনের এক অধ্যায় শেষে শুরু হয় আরেক অধ্যায়। এ রকম আকাঁড়া কিছু জীবনভাষ্য এখানে সংকলিত হয়েছে, যা এই গ্রন্থের সম্পদ। দেশ-হারানো মানুষের কথা সমকালের কোনো কোনো সাংবাদিক তাঁর মতো তুলে ধরেছিলেন তাঁর/তাঁদের প্রতিবেদনে, কোনো কোনো কথাকার তুলে ধরেছিলেন তাঁর/তাঁদের কথাসাহিত্যে—এখানে দেশ হারানো মানুষরাই লিখেছেন তাঁদের যাপন-কথা, লিখেছেন নির্বাসিতের আখ্যান। মাথায় রাখতে হবে সংকলিত জীবনভাষ্যের কথকরা কেউ লেখক নন, প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম এঁরাই তাঁদের সন্তানদের শুনিয়ে যান ভিটে-মাটি হারানোর গল্প, দেশ হারানোর বেদনার আলেখ্য— সেই মৌখিক পরম্পরা এখানে ধরা আছে শব্দ-বন্ধনে।
বইটির দ্বিতীয় পর্বে সংযোজিত হয়েছে ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ। বাউল ফকির নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করে চলেছেন অধ্যাপক শক্তিনাথ ঝা। দেশভাগ ও হিন্দু-মুসলমান সংঘাতের মাঝে বাংলার বাউল-ফকিররা কীভাবে সম্প্রীতির ঐতিহ্যকে রক্ষা করেছিলেন, ধর্মান্ধতা ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে কীভাবে তাঁরা মানবতার কথা আর বাউল গানের সুর ছড়িয়ে দিয়েছিলেন উদাহরণ সহযোগে আধ্যাপক শক্তিনাথ ঝা তা ব্যাখ্যা করেছেন। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র মুক্তিযুদ্ধকে কয়েক ধাপ এগিয়ে দিয়েছিল, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সেই গুরুত্বের দিকটি তুলে ধরেছেন অধ্যাপক অনিন্দিতা দাশগুপ্ত। অপেক্ষাকৃত কম আলোচিত কিন্তু অত্যন্ত বিতর্কিত একটি বিষয় পার্টিশন পরবর্তী পাকিস্তানে ‘শত্রু-সম্পত্তি আইন’ প্রসঙ্গটি উঠে এসেছে গবেষক উত্তমকুমার বিশ্বাসের আলোচনায়। তথ্যনির্ভর এই প্রবন্ধটি ‘শত্রু-সম্পত্তি আইন’-এর মার-প্যাঁচকে কেবল তুলে ধরেন না, একই সঙ্গে তার সাহিত্যিক বয়ানকেও অধ্যাপক বিশ্বাস এখানে ব্যাখ্যা করেছেন।
নদিয়ার ‘কুপার্স মহিলা ক্যাম্প’ ও সীমান্তবর্তী গ্রাম চরমেঘনা নিয়ে লেখা প্রবন্ধ দুটি ক্ষেত্রসমীক্ষা ভিত্তিক। সম্পূর্ণ অনালোচিত দুটি বিষয়ে এখানে আলোকপাত করা হয়েছে। নদিয়ার ‘কুপার্স মহিলা ক্যাম্প’-এ এখনও যাঁরা আছেন তাঁদের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে প্রদীপ অধিকারী ও দীপিকা মণ্ডল যৌথভাবে এই প্রবন্ধ নির্মাণ করেছেন। তথ্যনির্ভর প্রতিবেদনধর্মী চরমেঘনা বিষয়ক লেখাটিতে উঠে এসেছে সেখানকার নিত্য-লাঞ্ছিত জীবন ও মানুষের সংকটের দিকটি। চরমেঘনা পার্টিশনের সেই প্রচ্ছন্ন প্রদেশ— অনুদেব মজুমদারের লেখাটি যার উপর কিছুটা আলো ফেলেছে। সম্পাদক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিভিন্ন সময়ে সম্পাদনা করেছেন পাঁচটি পত্রিকা। তার মধ্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পাদিত নবপর্যায় ‘বঙ্গদর্শনে’ ছাপা হয়েছিল বঙ্গভঙ্গ বিষয়ক অসংখ্য লেখা। গবেষক শুভাশিস মণ্ডল তথ্য ও পরিসংখ্যানের মধ্য দিয়ে বঙ্গভঙ্গ বিষয়ে রবীন্দ্রনাথ ও ‘নবপর্যায় বঙ্গদর্শনে’র অবস্থানকে বিশ্লেষণ করেছেন। সংশ্লিষ্ট পত্রিকায় স্বদেশ-ভাবনা ও বঙ্গভঙ্গ বিরোধী লেখাগুলোর একটি তালিকাও গবেষক সংযুক্ত করেছেন, পরবর্তী গবেষণার ক্ষেত্রে যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
পার্টিশনের ক্ষতি আর ক্ষত নিয়ে অধ্যাপক মণ্ডল এর আগেও বিভিন্ন আঙ্গিকে গবেষণা করেছেন কিন্তু এবারের কাজ পার্টিশন চর্চার ক্ষেত্রে আক্ষরিক অর্থে নতুন একটি ডাইমেনশন তৈরি করতে পেরেছে। ‘পার্টিশন চর্চা যেমন ছিল’ থেকে আলোচ্য গ্রন্থটি আমাদের নিয়ে যায় ‘পার্টিশন চর্চা যেমন হওয়া উচিত’-এর দিকে। সম্পাদকসহ পার্টিশন বিষয়ক পিপলস্ রিসার্চ প্রজেক্টের গোটা টিমকে নির্বাসিত মানুষদের একজন হিসেবে কুর্নিশ জানাই।
বইটির পরিকল্পনা, বিন্যাস ও মেধাবী সম্পাদনার ছত্রে ছত্রে আছে রুচির ছাপ, প্রচ্ছদ ও মুদ্রণে আছে তারই অনুসৃতি। দুই বাংলার পাঠকের কাছে এবং উপমহাদেশের পার্টিশন চর্চার ক্ষেত্রে বইটি যে সমাদৃত হয়ে উঠবে সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত।
‘বাংলার পার্টিশন-কথা: উত্তর প্রজন্মের খোঁজ’- ১
প্রস্তাবনা, সম্পাদনা ও গ্রন্থনা- অধ্যাপক মননকুমার মণ্ডল
সেন্টার ফর ল্যাঙ্গুয়েজ ট্রানস্লেশন অ্যান্ড কালচারাল স্টাডিজ
নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা
মূল: ৫৫০/- টাকা
ড. বরেন্দু মণ্ডল, অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ
Comments