অনিশ্চয়তায় মুক্তির অপেক্ষায় থাকা সিনেমা
![](https://bangla.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/4_4.jpg?itok=Kl63Uo4B×tamp=1617871920)
আসন্ন রোজার ঈদে সিনেমা মুক্তি নিয়ে আবারও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। করোনার কারণে ঘোষিত লকডাউনের ফলে আবারও লোকসানের মুখে পড়ছেন সিনেমার প্রযোজক ও হল মালিকরা।
সিনেমা হল খোলা থাকলেও দর্শক সমাগম তেমন হয় না। লকডাউনে বন্ধ রয়েছে সিনেপ্লেক্স। চলমান লকডাউন শেষ হলে কতগুলো সিনেমা হল খুলবে আর কতগুলো বন্ধ হয়ে যাবে তা জানা নেই কারও।
করোনার প্রথম ঢেউয়ে সিনেমা হলগুলো বন্ধ ছিলো প্রায় সাত মাস। সেই ধাক্কায় অনেক সিনেমা হল বন্ধ হয়ে গেছে। এরপর যেসব সিনেমা হল চালু হয়েছে সেখানে বিগ বাজেটের ভালো ছবি মুক্তি দিতে সাহস করতে পারেননি কেউ।
করোনা মহামারির এই দ্বিতীয় ঢেউ কতোদিন স্থায়ী হবে এখনো কেউ জানে না। আসছে রোজার ঈদে সিনেমা হল চালু থাকবে কি না তা নিয়ে সংশয় রয়ে গেছে। এরমধ্যেই সেন্সরবোর্ড নতুন সিনেমা রিভিউ বরা বন্ধ রেখেছে চলমান লকডাউনে।
এবার ঈদ উপলক্ষে পাঁচটি সিনেমার মুক্তির কথা শোনা গেছে। সেগুলো হলো- অন্তরাত্মা, মিশন এক্সট্রিম, বিদ্রোহী, শান ও ক্যাসিনো।
এখন মুক্তির বিষয়ে অনিশ্চয়তায় রয়েছেন এই পাঁচ ছবি সংশ্লিষ্টরা।
লকডাউনের পরে বেশি সংখ্যক সিনেমা হল না খুললে বড় বাজেটের ছবি মুক্তি দেবেন না প্রযোজক-পরিচালকরা। অল্প সংখ্যক হলে ছবি মুক্তি দিলে লাভ কিছুই হয় না। বেশিরভাগ সময় লগ্নিকৃত টাকাই ফেরত আসে না বলে জানিয়েছেন তারা।
হল মালিক ও প্রদর্শক সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি মিয়া আলাউদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘সিনেমা হলগুলোর উন্নয়ন ও বিদেশি ছবি আমদানির বিষয়গুলো ঠিকঠাকভাবেই এগোচ্ছিল। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে আবার নতুন করে পিছিয়ে পড়লাম। সিনেমা হল খোলা থাকলেও দর্শক ছবি দেখতে আসবে কি না কারও জানা নেই। কারণ তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা কতটা করা সম্ভব হবে সে প্রশ্ন রয়েই যায়।’
প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি থেকে মুক্ত থাকার ব্যবস্থা কতটা বা কীভাবে করা যাবে তার দায়দায়িত্ব কারা নেবে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে ছবি মুক্তির বিষয়ে অন্য ধরনের চিন্তা করতে হবে।’
আসন্ন ঈদের পাঁচটি ছবি ছাড়াও মুক্তির জন্য অপেক্ষায় রয়েছে বেশ কয়েকটি বড় বাজেটের সিনেমা। ওস্তাদ, অপারেশন সুন্দরবন, অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন, শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ-২, জ্বীন, আনন্দ অশ্রু, ডেঞ্জার জোন, পরান নামের এসব সিনেমার ভবিষ্যৎ কী? এটাই এখন সিনেমা সংশ্লিষ্টদের চিন্তার বিষয়।
Comments