মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ, নিহত ১১

মিয়ানমারে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়তে শুরু করেছে সেনা অভ্যুত্থানবিরোধী আন্দোলনকারীরা।
আজ স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাতে রয়টার্স জানায়, উত্তর-পশ্চিমের একটি শহরে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানের সময় হাতে তৈরি বন্দুক নিয়ে লড়াই চালিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। এতে অন্তত ১১ জন আন্দোলনকারী নিহত হয়েছেন।
মিয়ানমার নাও ও ইরাবতির খবরে বলা হয়েছে, তাজ শহরে প্রতিবাদকারীদের থামাতে প্রাথমিকভাবে ছয় ট্রাক সেনা মোতায়েন করা হয়েছিল। আন্দোলনকারীরা বন্দুক, ছুরি ও গোলাবারুদ নিয়ে প্রতিরোধ শুরু করলে আরও পাঁচ ট্রাক সেনা আসে। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত লড়াই চলে। এতে অন্তত ১১ জন নিহত ও প্রায় ২০ জন আহত হয়েছে।
তবে সেনাবাহিনীর মধ্যে হতাহতের সংখ্যা জানা যায়নি।
অ্যাসিসটেন্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনারস (এএপিপি) জানায়, সেনা অভ্যুত্থানের পর দেশটিতে এখন পর্যন্ত পুলিশের গুলিতে কমপক্ষে ৬০০’র বেশি নিহত হয়েছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ছিল ৫৯৮।
সংবাদমাধ্যম ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার তাজ শহরে সেনা ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে একই ধরনের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছেন।
এএপিপি জানিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভকারীদের উপর সরাসরি গ্রেনেড ও মেশিনগান চালায়। এ বিষয়ে সামরিক সরকারের মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
বৃহস্পতিবার সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেওয়ায় মডেল ও অভিনেতা পইং তখোনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বোন রয়টার্সকে গ্রেপ্তারের খবর নিশ্চিত করেছেন।
এএপিপি জানায়, মিয়ানমারে বর্তমানে দুই হাজার ৮৪৭ জন রাজনৈতিক বন্দী আছেন।
দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেওয়ায় কয়েকশ সেলেব্রেটি, শিল্পী, গায়ক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্বের বিরুদ্ধে এই সপ্তাহে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
Comments