নেগেটিভ সনদ নিয়ে গিয়ে পজিটিভ

দ. কোরিয়ায় বাংলাদেশি প্রবেশ: সর্বোচ্চ সতর্কতা, নয়তো নিষেধাজ্ঞা

দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবেশে আবারও ভিসা নিষেধাজ্ঞায় পড়তে পারে বাংলাদেশ। গত দুই মাসে দেশ থেকে ‘নেগেটিভ সনদ’ নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছে করা করোনা পরীক্ষায় বাংলাদেশিদের অনেকের ফল ‘পজিটিভ’ এসেছে। সেই কারণেই ভিসা নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। যার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে সম্প্রতি ঢাকার কোরিয়ান দূতাবাসের দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে। সেখানে নিষেধাজ্ঞা এড়াতে করোনা মোকাবিলায় সর্বোচ্চ সতর্ক ব্যবস্থা নেওয়ার ওপর জোর দিয়েছে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটি।
২০২০ সালের ১৭ জুন বিশেষ চার্টার্ড ফ্লাইট বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়াগামী ইপিএস কর্মীদের সঙ্গে বোয়েসেলের সভা। ছবি: বোয়েসেলের ওয়েবসাইট থেকে

দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবেশে আবারও ভিসা নিষেধাজ্ঞায় পড়তে পারে বাংলাদেশ। গত দুই মাসে দেশ থেকে ‘নেগেটিভ সনদ’ নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছে করা করোনা পরীক্ষায় বাংলাদেশিদের অনেকের ফল ‘পজিটিভ’ এসেছে। সেই কারণেই ভিসা নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। যার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে সম্প্রতি ঢাকার কোরিয়ান দূতাবাসের দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে। সেখানে নিষেধাজ্ঞা এড়াতে করোনা মোকাবিলায় সর্বোচ্চ সতর্ক ব্যবস্থা নেওয়ার ওপর জোর দিয়েছে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটি।

একই ধরনের পরিস্থিতিতে গত বছরের ২৩ জুন প্রথমবার অনির্দিষ্টকালের জন্য বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া ও সেখানে ফ্লাইট চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল কোরিয়া। এরপর কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে প্রায় আট মাস পর চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি তা প্রত্যাহারে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। এত দ্রুত আবারও কীভাবে সেই আশঙ্কা দেখা দিলো, তাই এখন সবার প্রশ্ন।

গত ৫ এপ্রিল ঢাকার দক্ষিণ কোরিয়া দূতাবাসের ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট করেই বলা হয়েছে, ‘কোভিড-১৯ নেগেটিভ সার্টিফিকেট থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশি নাগরিকদের মধ্যে ধারাবাহিকভাবে কোভিড-১৯ পজিটিভ পাওয়া যাচ্ছে। ২০২১ সালের মার্চের শেষে সংক্রমণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে যা, কোরিয়ান কর্তৃপক্ষের জন্য গুরুতর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

এই বাস্তবতায় আবারও ভিসা স্থগিতাদেশের মতো পরিস্থিতির আশঙ্কা দেখলেও আন্তরিকভাবে কিন্তু তা এড়াতে চাইছে কোরিয়ান দূতাবাস। যেমনটি বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে, ‘দূতাবাস, কোরিয়ায় প্রবেশের আগে ও পরে কোভিড-১৯ সংক্রমণ এড়াতে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিরক্ষামূলক ও সতর্কতামূলক উদ্যোগ গ্রহণের জন্য কোরিয়া ভ্রমণকারীদের সক্রিয় ও স্বেচ্ছাসেবামূলক সহযোগিতার আশা করে। আপনাদের সহযোগিতায় আমরা ২০২০ সালের জুনে কোরিয়ান ভিসা স্থগিতাদেশের মতো পরিস্থিতি এড়াতে চাই, যার ফলাফল অন্য বাংলাদেশিদের জন্য মারাত্মক হতে পারে।’

কোরিয়ার সংশ্লিষ্টদের সূত্র বলছে, ফেব্রুয়ারিতে নিষেধাজ্ঞা ওঠার পর মার্চে ১৭ জন ও চলতি মাসে এখন পর্যন্ত ছয় জন বাংলাদেশ থেকে ‘করোনা নেগেটিভ সনদ’ নিয়ে কোরিয়া গিয়ে পরীক্ষায় ‘পজিটিভ’ শনাক্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নিয়ম অনুযায়ী তারা সরকারি তালিকা থেকে কোরিয়ান দূতাবাসের নির্ধারিত ১৩টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভ্রমণের ৭২ ঘণ্টা আগে পিসিআর পরীক্ষা করেন এবং ‘কোভিড-১৯ নেগেটিভ সনদ’ নিয়েই ফ্লাইটে উঠেছিলেন। তাদের কারও বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া সম্ভব হয়নি। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে মোট কতজন কোরিয়ায় গেছেন, তাও জানা যায়নি।

গত সপ্তাহে কোরিয়া ফিরেছেন প্রবাসী ব্যবসায়ী, বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন কোরিয়ার সাবেক সভাপতি হাবিল উদ্দিন। তিনি জানান, কোরিয়ার বিমানবন্দরে নামার পর আবারও পিসিআর পরীক্ষা করতে হয়। পরীক্ষায় পজিটিভ হলে নিজ খরচে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আর নেগেটিভ হলে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিন যেতে হচ্ছে। কোয়ারেন্টিন শেষে আবারও পিসিআর পরীক্ষা করে ফল নেগেটিভ হলেই কর্মস্থলে যোগ দেওয়া যাবে। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে সরকার নির্ধারিত খরচ ৩০ লাখ উওনের (দুই লাখ ২৮ হাজার টাকা) বেশি। পরিস্থিতি সাপেক্ষে এক কোটি উওন পর্যন্তও খরচ হতে পারে। করোনা শনাক্ত বাংলাদেশিদের এখন এই ব্যয়ভার নিতে হচ্ছে।

পরীক্ষায় ‘পজিটিভ’ ফল আসার  পেছনে মূলত ব্যক্তিগত আইসোলেশন বা হোম কোয়ারেন্টিন না মানার প্রবণতাকেই প্রধানত দায়ী করা হচ্ছে। বিজ্ঞপ্তিটিতে কোরিয়ান দূতাবাসের পরামর্শেও তাই ওঠে এসেছে, ‘কোরিয়ায় প্রবেশের দুই সপ্তাহ আগে অন্য যে কারও সঙ্গে যোগাযোগ এড়াতে পরামর্শ দিচ্ছি, ব্যক্তিগত কোয়ারেন্টিন কঠোর ও দৃঢ়ভাবে পালন করুন। আপনার কোভিড-১৯ এর লক্ষণ থাকলে দয়া করে ভ্রমণের পরিকল্পনাটি পরিবর্তন করুন।’

সচেতনতার অভাবের এই বিষয়টিতে অনেকেই একমত। কোরিয়াপ্রবাসী জাকারিয়া খালিদ বলছিলেন, ‘আমরা যতদূর জেনেছি, অনেকেই নাকি করোনা পরীক্ষার পরে ব্যক্তিগত আইসোলেশনে ছিলেন না। যাওয়ার প্রস্তুতি হিসেবে আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাৎ, শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় কাটান। তাতেই সংক্রামিত হয়েছেন, যা কোরিয়া এসে ধরা পড়ে।’

গত বছরের মে-জুনে বিশেষ ফ্লাইটে কোরিয়াফেরত বেশকিছু বাংলাদেশির করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছিল। ফলে জুনে এসে নিষেধাজ্ঞায় পড়ে বাংলাদেশ। সেই নিষেধাজ্ঞা তুলতে নিরবচ্ছিন্ন কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কোরিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস। পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেও চিঠি, ফোনালাপে সিউলের সম্মতি আদায়ে চেষ্টা করেন। সর্বোচ্চ সর্তক ব্যবস্থা নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতিতে গত ফেব্রুয়ারিতে সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর আবারও বাংলাদেশিদের ভিসা আবেদন নেওয়া শুরু করে ঢাকার কোরিয়ান দূতাবাস।

আগের ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে সেই প্রতিশ্রুতি পুরোপুরি রক্ষা না হওয়ায় শনাক্তদের সচেতনতার অভাবের চেয়ে দেশীয় সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর উদাসীনতাকে দায়ী করছেন প্রবাসীদের অনেকে। দক্ষিণ কোরিয়া বঙ্গবন্ধু পরিষদের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর  আলম বলছিলেন, ‘নতুন করে শুরুর একমাসের মধ্যেই করোনা পজিটিভ ধরা পড়ল, তাও আবার ১৭ জন। দূতাবাসের বিজ্ঞপ্তিতে যখন বলা হয়েছে “ধারাবাহিক” তার মানে এটা থেমে নেই। কাজেই প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক, সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো কোরিয়াগামীদের বিষয়ে কতটুকু সর্তক-সচেতন ছিলেন বা আছেন, যখন তারা সর্বোচ্চ সতর্ক ব্যবস্থার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন? তাদের তো উচিত ছিল, কোরিয়াগামীদের “ব্যক্তিগত কোয়ারেন্টিন” মনিটরিংয়ের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সর্তক ব্যবস্থা নিশ্চিতের পর ফ্লাইটে তোলা।’

কোরিয়ায় ১০ বছর কাটিয়ে সম্প্রতি জার্মানপ্রবাসী হয়েছেন লেখক, সাংবাদিক ওমর ফারুক হিমেল। গত জুনে নিষেধাজ্ঞার সময় তিনি কোরিয়াতেই ছিলেন, কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করেছেন অনেক কিছু। তা ছাড়া, বাংলাদেশে আটকে পড়া প্রবাসীদের ফেরাতে তিনি গণমাধ্যমে নানা প্রতিবেদনও করেছেন। তখনকার অভিজ্ঞতা আর নিষেধাজ্ঞা তোলার দীর্ঘ কূটনৈতিক প্রক্রিয়ার আলোকে তিনিও মনে করছেন, এক্ষেত্রে বাংলাদেশের সংস্থাগুলো সঠিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। তার মতে, দীর্ঘ আট মাসের আপ্রাণ কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পর নিষেধাজ্ঞা উঠেছে। কিন্তু, বর্তমান পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, অতীত নিষেধাজ্ঞা থেকে কেউ শিক্ষা নেননি।

‘সংস্থাগুলো যদি আন্তরিক হতো, তাহলে আজ এমন আশঙ্কার ইঙ্গিত আসতে না। কোরিয়ায় যাওয়ার পর এখন পর্যন্ত ২৩ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হওয়ার পরও কিন্তু কোনো সংস্থার টনক নড়তে দেখছি না। অথচ কোরিয়া দূতাবাস আমাদের সর্তক, সচেতন করার জন্য এগিয়ে এসেছে। তারাও চাইছে না নিষেধাজ্ঞা। তাদের বিজ্ঞপ্তি শেয়ার দিয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসও সর্তক করেছে। কিন্তু, বৈদেশিক শ্রমবাজার কর্মযজ্ঞের সঙ্গে যুক্ত প্রধান সংস্থাগুলো একেবারেই নির্বিকার, এমনকি কোরিয়ান দূতাবাসের বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পরও কারও সাড়া নেই।’

ওমর ফারুক হিমেলের মতো আরও অনেকেই বলছেন, ‘দেরি না করে সর্বোচ্চ সর্তক ব্যবস্থা নিশ্চিতে কোরিয়াগামীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। যেহেতু তারা হোম কোয়ারেন্টিনে থাকছেন না, কাজেই তাদের সরকারি তত্ত্বাবধানে ১৪ দিন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখাতে হবে ‘ এজন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সমন্বয় ও আন্তরিকতার ওপর জোর দিয়েছেন তারা।

বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের (বোয়েসেল) রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র জনশক্তি রপ্তানিকারক। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থাটির ওপরই কোরিয়ায় ইপিএস কর্মী প্রেরণ-কল্যাণের পুরো দায়ভার। করোনাকালে দেশে আটকে থাকাদের ফেরত আর ভিসা নিষেধাজ্ঞা তুলতে বেশ উদ্যোগী ছিল বোয়েসেল। তাই নতুন আশঙ্কায় তারাও উদ্বিগ্ন হলেও এর পেছনে সরকারি উদাসীনতার অভিযোগটি মানতে নারাজ সংস্থার বর্তমান ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাহাবুবুর রহমান।

তিনি বলেন, ‘শুধু কোরিয়া কেন, সারাবিশ্বের বাংলাদেশি শ্রমবাজার যেন কোনো শঙ্কায় না পড়ে, সে বিষয়ে আমাদের মন্ত্রণালয় ও বোয়েসেলসহ এর অধীনের সংস্থাগুলো সচেতন ও পুরোপুরি নজরদারি করছে। তা ছাড়া, কোরিয়ান দূতাবাসের বিজ্ঞপ্তিতে পরিষ্কার  ইঙ্গিত আছে গমনকারীদের সচেতনতার অভাবের বিষয়ে। প্রবাসীকর্মীর বাইরেও অনেক শিক্ষার্থী, পেশাজীবী, ব্যবসায়ী দেশটি যাচ্ছেন। তাই সার্বিক পরিস্থিতিতে করণীয় নির্ধারণে আমরা আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার আবেদন জানিয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুত এ বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

সর্বোচ্চ সর্তক ব্যবস্থা নিশ্চিতে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের বিষয়ে বোয়েসেলও একমত। ‘আমরাও মনে করি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের বিকল্প নেই। কাজেই যারা কোরিয়ায় যাবে, তাদের সবাইকে কমপক্ষে সাত দিন কড়া নজরদারিতে হোটেলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখার প্রস্তাব আমাদের’, বলেন মো. মাহাবুবুর রহমান।

দক্ষিণ কোরিয়ায় ১৮ হাজার বাংলাদেশি রয়েছেন। সংখ্যার হিসেবে এটি কম হলেও শিক্ষার মান ও উচ্চ বেতনের কারণে তারা দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে বড় ভূমিকা রাখছেন। করোনাকালে ছুটিতে এসে ভিসা জটিলতায় আটকে পড়ে আছেন হাজারেরও বেশি কর্মী, বন্ধ রয়েছে নতুন ইপিএস কর্মী পাঠানো। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আবারও যদি নিষেধাজ্ঞায় আসে, তাতে পরিস্থিতি আগের চেয়ে আরও খারাপ হতে পারে। শ্রমবাজার হারানোর আশঙ্কাও থেকে যায়। এ ছাড়াও, দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগের ক্ষেত্রে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।

এজাজ মাহমুদ, ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

5h ago