দ. চীন সাগরে চীনের গবেষণা জাহাজ, রণতরী পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র

দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত এলাকায় চীন গবেষণা জাহাজে বিজ্ঞানীদের পাঠানোয় সেই অঞ্চলে নিরাপত্তা বাড়াতে যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
আজ শুক্রবার সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা’র প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিপাইনের পালাওয়ান দ্বীপের ৩২০ কিলোমিটার পশ্চিমে ও দেশটির বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের (ইইজেড) কাছে চীন ২০০ ‘ম্যারিটাইম মিলিশিয়া’ জাহাজ পাঠালে সেই অঞ্চলে উত্তেজনা বেড়ে যায়।
এরপর, যুক্তরাষ্ট্র সেখানকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পাঠিয়েছে ইউএসএস থিওডর রুজভেল্ট রণতরী। নেভি স্ট্রাইক গ্রুপের এই যুদ্ধজাহাজ গত রোববার দক্ষিণ চীন সাগরে প্রবেশ করেছে।
চীনের সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট’র বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মালাক্কা প্রণালীর ব্যস্ত সামুদ্রিক পথ দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সেখানে ইউএসএস ম্যাকিন আইল্যান্ড রণতরীও মোতায়েন করেছে।
বেইজিং-ভিত্তিক সাউথ চায়না সি স্ট্র্যাটেজিক সিচুয়েশন প্রোবিং ইনিশিয়েটিভ’র তথ্য দিয়ে দৈনিকটি আরও জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র সেখানে ইউএসএস সান ডিয়াগো জাহাজও পাঠিয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, দক্ষিণ চীন সাগরের গভীর তলদেশে খনন চালিয়ে গবেষণার জন্যে নমুনা সংগ্রহ করছেন চীনের বিজ্ঞানীরা। কিন্তু, এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তাইওয়ান ও ফিলিপাইন। এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র সেখানে তার উপস্থিতি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের বিজ্ঞানীরা প্রায় দুই হাজার ৬০ মিটার গভীর সাগরের তলদেশে খনন করে গবেষণা চালাচ্ছেন। সেখানে প্রাকৃতিক গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেখানে পানি ও মিথেনের সমন্বয়ে বরফের মতো স্বচ্ছ স্ফটিক স্তর পাওয়া গেছে।
সাগরের ঠিক কোন জায়গায় চীন খনন কাজ চালিয়েছে, তা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি উল্লেখ করে সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাগরের প্রায় ৯০ শতাংশ এলাকা চীন দাবি করলেও সেই দাবির আইনগত ভিত্তি নেই বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সালিশি আদালত।
তেল ও গ্যাস সমৃদ্ধ এই সাগরে নিজেদের অংশীদারিত্ব দাবি করছে মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, তাইওয়ান, ভিয়েতনাম ও ব্রুনাই।
সেই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র তার সামরিক উপস্থিতি সম্পর্কে বলেছে, সেখানে ‘নৌ চলাচল’র স্বাধীনতা রক্ষায় এটি একটি ‘নিয়মমাফিক’ কাজ।
Comments