আজ ৭৭ জন, মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছেই
করোনাভাইরাসে মৃত্যু এখন শুধু সংখ্যায় পরিণত হয়েছে! প্রতিদিনই দেশে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে, আর তা গণনা চলছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭৭ জন। এটিই এখন পর্যন্ত দেশে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। গতকাল ৬৩ জন ও গত পরশু ৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এখন পর্যন্ত মারা গেছেন নয় হাজার ৬৬১ জন।
একই সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও পাঁচ হাজার ৩৪৩ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। গতকাল সাত হাজার ৪৬২ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এর আগে গত ৭ এপ্রিল সর্বোচ্চ সাত হাজার ৬২৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছেন ছয় লাখ ৭৮ হাজার ৯৩৭ জন।
আজ শনিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত অ্যান্টিজেন ও আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে ২৬ হাজার ৭৭টি নমুনা পরীক্ষা করে করোনায় আক্রান্ত আরও পাঁচ হাজার ৩৪৩ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
আজসহ টানা এক সপ্তাহ যাবৎ গড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ৬৪। গত ৪ এপ্রিল মারা গেছেন ৫৩ জন, ৫ এপ্রিল ৫২ জন, ৬ এপ্রিল ৬৬ জন ও ৭ এপ্রিল ৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
মার্চের শুরু থেকেই দেশে পুনরায় করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকলেও গত দুই সপ্তাহ ধরে তা দ্রুত গতিতে বাড়ছে। গত ২৬ মার্চ শনাক্তের হার ছিল ১৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ। ২৭ মার্চ তা বেড়ে ১৪ দশমিক ৯০ শতাংশ, ২৮ মার্চ ১৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ, ২৯ মার্চ ১৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ, ৩০ মার্চ ১৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ, ৩১ মার্চ ১৯ দশমিক ৯০ শতাংশ, ১ এপ্রিল ২২ দশমিক ৯৪ শতাংশ, ২ এপ্রিল ২৩ দশমিক ২৮ শতাংশ, ৩ এপ্রিল ২৩ দশমিক ১৫ শতাংশ, ৪ এপ্রিল ২৩ দশমিক ০৭ শতাংশ, ৫ এপ্রিল ২৩ দশমিক ৪০ শতাংশ, ৬ এপ্রিল ২১ দশমিক ০২ শতাংশ, ৭ এপ্রিল ২২ দশমিক ০২ শতাংশ, ৮ এপ্রিল ২০ দশমিক ৬৫ শতাংশ ও গতকাল ২৩ দশমিক ৫৭ শতাংশে দাঁড়ায়।
আজ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৭৭ জনের মধ্যে ৫৩ জন পুরুষ ও ২৪ জন নারী। বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে তাদের মধ্যে একজনের বয়স ১১-২০ বছরের মধ্যে, তিন জনের বয়স ২১-৩০ বছরের মধ্যে, দুই জনের বয়স ৩১-৪০ বছরের মধ্যে, পাঁচ জনের বয়স ৪১-৫০ বছরের মধ্যে, ২২ জনের বয়স ৫১-৬০ বছরের মধ্যে ও ষাটোর্ধ্ব ৪৪ জন।
২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন তিন হাজার ৮৩৭ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন পাঁচ লাখ ৭২ হাজার ৩৭৮ জন। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত ৪৯ লাখ ৭৩ হাজার ৪৮৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, দেশে মোট পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ। আর মোট শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৪ দশমিক ৩০ শতাংশ ও মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪২ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে সারাদেশে মোট আইসিইউ শয্যার সংখ্যা ৬০০। এর মধ্যে বর্তমানে ফাঁকা রয়েছে ১৪৮টি। আর ঢাকা মহানগরীতে আইসিইউ শয্যা রয়েছে ৩০৫টি। এর মধ্যে ফাঁকা রয়েছে ১১টি। গতকাল পর্যন্ত সারাদেশে ৫৫ লাখ ৮৩ হাজার ৫০৭ জনকে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। আর ৮১ হাজার ৩২৩ জনকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:
আজ মৃত্যু সর্বোচ্চ ৭৪ শনাক্ত ৬৮৫৪
রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড: আজ শনাক্ত ৭৬২৬ মৃত্যু ৬৩
আজ রেকর্ড শনাক্ত ৭২১৩, মৃত্যুও সর্বোচ্চ ৬৬
আজও শনাক্ত ৭ হাজারের বেশি, মৃত্যু ৫২
একদিনে শনাক্ত ৭ হাজার ছাড়াল, মৃত্যু ৫৩
আজ শনাক্তের হার ২৩.১৫ শতাংশ মৃত্যু ৫৮
আজও সর্বোচ্চ শনাক্ত ৬৮৩০ মৃত্যু ৫০
আজও রেকর্ড শনাক্ত ৬৪৬৯, মৃত্যু ৫৯
একদিনে দেশে রেকর্ড শনাক্ত ৫৩৫৮ মৃত্যু ৫২
আজও শনাক্ত ৫ হাজারের বেশি, মৃত্যু ৪৫
একদিনে দেশে সর্বোচ্চ শনাক্ত ৫১৮১ মৃত্যু ৪৫
একদিনে শনাক্তের হার ১৭.৬৫ গতকালের চেয়ে ২.৭৫ শতাংশ বেশি, মৃত্যু ৩৫
সাড়ে তিন মাসের মধ্যে আজ সর্বোচ্চ মৃত্যু ৩৯ শনাক্তের হার ১৪.৯০
আজ টানা চতুর্থ দিন শনাক্ত সাড়ে ৩ হাজারের বেশি, মৃত্যু ৩৩
তিন মাসের মধ্যে আজ সর্বোচ্চ মৃত্যু ৩৪ শনাক্তের হার ১৩.২৬
প্রায় ৯ মাসের মধ্যে আজ সর্বোচ্চ শনাক্ত ৩৫৬৭, মৃত্যু ২৫
Comments