১৩০ কিলোমিটার দূরে থেকেও হেফাজতের ভাঙচুর মামলায় আসামি

কক্সবাজারের মহেশখালীতে হেফাজতে ইসলামের হামলা ও ভাঙচুরের সময় ১৩০ কিলোমিটার দূরে চট্টগ্রাম শহরে অবস্থান করেও দুই যুবককে ভাঙচুরের মামলায় আসামি করার অভিযোগ উঠেছে।
রিদোয়ান মোস্তফা ও রিয়াজ মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারের মহেশখালীতে হেফাজতে ইসলামের হামলা ও ভাঙচুরের সময় ১৩০ কিলোমিটার দূরে চট্টগ্রাম শহরে অবস্থান করেও দুই যুবককে ভাঙচুরের মামলায় আসামি করার অভিযোগ উঠেছে।

গত ৩ এপ্রিল হেফাজতের নেতা-কর্মীরা মহেশখালীতে বিভিন্ন জায়গায় একযোগে হামলার ঘটনা ঘটায়। পরদিন পুলিশ বাদী হয়ে নাম উল্লেখ করে ২০ জনের ও অজ্ঞাতনামা আরও ২৫০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করে।

মামলায় নাম থাকা ‍দুই যুবক হলেন মহেশখালী উপজেলার কালামরছড়া ইউনিয়নের রিয়াজ মাহমুদ ও রিদোয়ান মোস্তফা। তারা ‘জাগ্রত ছাত্র সমাজ’ নামের স্থানীয় একটি সংগঠনের কর্মী।

মহেশখালীতে ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় জালিয়াতি ও হয়রানি নিয়ে সোচ্চার ‘জাগ্রত ছাত্র সমাজ’ মামলা থেকে এই দুজনের নাম প্রত্যাহারের দাবিতে গতকাল সংবাদ সম্মেলন করেছে।

৩ এপ্রিল মহেশখালীতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ভাঙচুর করে আগুন দেয় হেফাজতের নেতা-কর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত

রিয়াজ মাহমুদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ৩ এপ্রিল রাত ১০টার দিকে আমি চট্টগ্রাম শহরের ডিসি রোড থেকে এশিয়ান হাউজিং সোসাইটিতে ফিরছিলাম। পরদিন জানতে পারলাম হেফাজতের হামলার ঘটনায় আমাকে আর আমার চাচা রিদোয়ান মোস্তফাকে আসামি করা হয়েছে।

প্রমাণ হিসেবে রিয়াজ এশিয়ান হাউজিং সোসাইটির সিসিটিভি ফুটেজ দেখান এ প্রতিবেদককে। ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ৩ এপ্রিল রাত ১০ টা ২৩ মিনিটে রিয়াজ আর রিদোয়ান ফুটপাত ধরে হেঁটে এশিয়ান হাউজিং সোসাইটিতে প্রবেশ করছেন।

‘কালামরছড়া ইউনিয়নে সরকারি অনেকগুলো প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণ হচ্ছে। সেখানে একটা সিন্ডিকেট মানুষকে তাদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। আমরা এটার প্রতিবাদ করেছি। এই কারণে আমাদের দুজনকে হেফাজতের হামলার ঘটনায় আসামি করা হয়েছে’, রিয়াজ বলেন।

জাগ্রত ছাত্র সমাজের আহ্বায়ক ছিবগাতুল্লাহ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ভূমি অধিগ্রহণের অনিয়ম নিয়ে আমরা প্রতিবাদ করি বলেই আমাদেরকে নানাভাবে দমানোর চেষ্টা হচ্ছে। রিয়াজ ও রিদোয়ানের বিরুদ্ধে মামলা তারই অংশ। এর আগে আমাদের কয়েকজনকে তারা জঙ্গি হিসেবে সাব্যস্তের অপচেষ্টা করেছিল।

‘অবিলম্বে আমরা এ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার চাই। নইলে ছাত্রসমাজকে সাথে নিয়ে আমরা বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলব’, হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন ছিবগাতুল্লাহ।

দুজন মানুষ ঘটনাস্থল থেকে দূরে থেকেও কেন আসামি হলো, জানতে চাইলে মহেশখালী থানার ওসি আবদুল হাই দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, মামলার প্রাথমিক তদন্ত চলছে। সম্পৃক্ততা না থাকলে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হবে।

আসামি তালিকায় কীভাবে এই দুজনের নাম এল সে ব্যাপারে কিছু বলতে পারেননি ওসি।

Comments

The Daily Star  | English
Islami Bank's former managing director Abdul Mannan

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

7h ago