পেনাল্টি না পাওয়ায় ক্ষোভ ঝাড়লেন কোমান

koeman
ছবি: টুইটার

রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার মধ্যকার জমজমাট লড়াইয়ের ৮৩তম মিনিটের খেলা চলছে। ঘরের মাঠ আলফ্রেদো দি স্তেফানো স্টেডিয়ামে তখন ২-১ গোলে এগিয়ে রিয়াল। সেসময় বার্সার পেনাল্টির আবেদনে উত্তেজনা ছড়ায় মাঠে। কাতালানদের বদলি স্ট্রাইকার মার্টিন ব্র্যাথওয়েট ডি-বক্সে স্বাগতিক ডিফেন্ডার ফারলান্দ মেন্দির হালকা ছোঁয়ায় পড়ে গিয়েছিলেন। তবে রেফারি আবেদন কানে না তুলে নাকচ করে দেন। পাশাপাশি প্রতিবাদ করায় হলুদ কার্ড দেখান জর্দি আলবা ও রোনাল্ড কোমানকে।

শনিবার রাতে ওই স্কোরলাইনেই শেষ হয় স্প্যানিশ লা লিগার চলতি মৌসুমের দ্বিতীয় এল ক্লাসিকো। অসাধারণ জয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠে গেছে আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল। শিরোপা পুনরুদ্ধারের অভিযানে ধাক্কা খেয়ে তিনে নেমে গেছে বার্সা। ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে ক্লাবটির কোচ কোমান প্রশ্ন তোলেন রেফারিং নিয়ে।

মৌসুমের দুই ক্লাসিকোতেই হারের ক্ষত নিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনি যদি বার্সেলোনার ভক্ত কিংবা খেলোয়াড় হয়ে থাকেন, তাহলে ম্যাচের এমন ফলে আপনি অবশ্যই অখুশি। কারণ, আমি মনে করি, পরিষ্কার সিদ্ধান্ত রেফারি (আমাদের পক্ষে) দেয়নি যা খেলা বদলে দিতে পারত।’

বিভিন্ন কারণে আরও বেশি সময় যোগ করা উচিত ছিল বলে মনে করেন কোমান, ‘আমার মনে হয়, (নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষে) চার মিনিট যোগ করা হয়েছে যা অনেক কম। (রেফারির) মাইক্রোফোন নিয়ে জটিলতার কারণে দুই মিনিট নষ্ট হয়েছে। (ফাউল ও বদলি নামানোর জন্য) আরও অনেকবার খেলা বন্ধ হয়েছে। তাছাড়া, শেষদিকে ওই পেনাল্টির ব্যাপারটি তো ছিলই। কিন্তু আবারও এটা আমাদের মেনে নিতে হবে এবং চুপ থাকতে হবে।’

পেনাল্টি না পাওয়ায় বেজায় অসন্তুষ্ট নেদারল্যান্ডসের সাবেক এই ফুটবলার। ভিএআর (ভিডিও অ্যাসিট্যান্ট রেফারি) কাজে না লাগানোতেও ক্ষোভ ঝারেন তিনি, ‘কিন্তু আমি অবশ্যই মনে করি, আমাদের পেনাল্টি পাওয়া উচিত ছিল। কেন ভিএআর ব্যবহার করা হয়নি তা আমি জানি না। সেখানে লাইন্সম্যান ছিল। তার উচিত ছিল (রেফারিকে) সাহায্য করা। সম্ভবত বাকি সবাই-ই মনে করছে এটা পেনাল্টি ছিল।’

রেফারির সিদ্ধান্তের কারণে প্রায়শই ভোগার অভিযোগও করেন কোমান, ‘প্রথম ৪৫ মিনিটে আমরা একটুও ভালো খেলিনি। আমরা আক্রমণেও বাজে ছিলাম, রক্ষণেও। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা অবশ্য অনেক উন্নতি করেছি। তবে (রেফারিদের কাছে) একটাই চাওয়া, অন্তত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো যেন তারা ভালোভাবে দেন। কারণ, সেগুলোর জন্য আমরা ভুগতে পারি। আর সেটাই ঘটেছে।’

ম্যাচের প্রথম আধা ঘণ্টার মধ্যে দুই গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল। গোলপোস্ট বাধা না হয়ে দাঁড়ালে কিছুক্ষণ পর ব্যবধান আরও বাড়তে পারত। প্রথমার্ধের বিবর্ণ দশা কাটিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ায় বার্সেলোনা। যদিও সমতায় ফেরা হয়নি তাদের। ম্যাচে দুদলের সমান দুটি করে প্রচেষ্টা ক্রসবার ও পোস্টে লেগে ফিরে আসে। শেষ বাঁশি বাজার ঠিক আগের মুহূর্তে দুর্ভাগ্য সঙ্গী হয় বার্সার। বদলি মিডফিল্ডার ইলাইশ মোরিবার শট ক্রসবারে লাগার পর ফিরতি বল উড়িয়ে মারেন আলবা।

৩০ ম্যাচে ২০ জয় ও ৬ ড্রয়ে জিনেদিন জিদানের রিয়ালের অর্জন ৬৬ পয়েন্ট। মুখোমুখি লড়াইয়ে পিছিয়ে থাকায় লিগের পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে নেমে গেছে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ। তাদের হাতে অবশ্য একটি ম্যাচ রয়েছে। ২৯ ম্যাচে দিয়েগো সিমিওনের দলের পয়েন্টও ৬৬। ৩০ ম্যাচে বার্সেলোনার নামের পাশে রয়েছে ৬৫ পয়েন্ট।

Comments

The Daily Star  | English

Yunus promises election on time

Chief Adviser Prof Muhammad Yunus yesterday reaffirmed his commitment to holding the 13th national election in the first half of February next year.

8h ago