গাজীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১

স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

গাজীপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কিশোর গ্যাংয়ের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে এক স্কুলছাত্র নিহত ও অপর এক ছাত্র আহত হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে গাছা থানার কুনিয়াপাছর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ একজনকে আটক করেছে।

বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন।

তিনি জানান, নিহত স্কুলছাত্র নাম শাকিল মিয়া (১৭) ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ধীপপুর এলাকার রেজাউল করিমের ছেলে। সে পরিবারের সঙ্গে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কুনিয়াপাছর এলাকার একটি বাসায় ভাড়া থেকে স্থানীয় প্রতিভা স্কুলের নবম শ্রেণিতে পড়াশুনা করত। আহত ছাত্র ফাহিম (১২) স্থানীয় কুনিয়াপাছর এলাকার ফারুক হোসেনের ছেলে এবং প্রত্যাশা কিন্ডার গার্টেনের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

ওসি ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কুনিয়াপাছর এলাকায় স্থানীয় কিশোর গ্যাংয়ের দুই গ্রুপের মাঝে গত কয়েকদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সোনাপাড়া এলাকার ২৪/২৫ জন কিশোর ও যুবক স্থানীয় তালেব মার্কেটের সামনে অবস্থান নেয়। সেসময় সেখানে প্রতিপক্ষের শাকিল ও ফাহিমের সঙ্গে তাদের তুচ্ছ বিষয় নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে দুই গ্রুপের মাঝে সংঘর্ষ বেঁধে গেলে প্রতিপক্ষ শাকিল ও ফাহিমকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।’

‘স্থানীয়রা গুরুতর আহত শাকিল ও ফাহিমকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিটি করপোরেশনের কুনিয়া (তারগাছ) এলাকার তায়েরুন্নেছা মেমোরিয়াল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক শাকিলকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত ফাহিমকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করেছে। সংঘর্ষকারীরা কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে’, যোগ করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

Comments

The Daily Star  | English

No price too high for mass deportations

US President-elect Donald Trump has doubled down on his campaign promise of the mass deportation of illegal immigrants, saying the cost of doing so will not be a deterrent.

4h ago