জনগণকে সম্পৃক্ত করতে না পারলে লকডাউন সফল হবে না: ফখরুল

আগামী সাত দিন দেশব্যাপী লকডাউন সফল করতে জনগণকে এর সঙ্গে সম্পৃক্ত করার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এর জন্য প্রতিটি এলাকায় রাজনৈতিক দল, এনজিও এবং বিশেষজ্ঞদের নিয়ে জাতীয় কমিটি করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। স্টার ফাইল ছবি

আগামী সাত দিন দেশব্যাপী লকডাউন সফল করতে জনগণকে এর সঙ্গে সম্পৃক্ত করার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এর জন্য প্রতিটি এলাকায় রাজনৈতিক দল, এনজিও এবং বিশেষজ্ঞদের নিয়ে জাতীয় কমিটি করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

আজ দুপুরে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন। অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘সর্বাত্মক লকডাউনের’ সরকারের কোনো রোডম্যাপ নেই। তবে বিএনপি লকডাউনের বিরোধিতা করছে না বলেও এসময় জানান ফখরুল।

তিনি বলেন, ‘যারা দিন আনে দিন খায় তাদের খাবারের কি ব্যবস্থা করছেন? এই লোকগুলোকে তো ঘরে রাখতে পারবেন না। যার পেটে ভাত নেই সে লকডাউন দিয়ে কী করবে, করোনা দিয়ে কী করবে? এই সংখ্যাটা কিন্তু অনেক।’

‘সরকারের কোনো সমন্বয় নেই, কোনো পরিকল্পনা নেই, কোনো রোড ম্যাপ নেই। এই যে সাত দিন লকডাউন দিয়েছে তার পরে কী হবে?’ প্রশ্ন রাখেন ফখরুল।

লকডাউন কিভাবে সফল করা যায়? জবাবে ফখরুল বলেন, ‘আমরা একটা দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে এবং অতীতে সরকারে থাকার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে চাই যে, এখানে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে। আপনারা প্রত্যেকটা এলাকায় জাতীয় কমিটি তৈরি করেন—সমস্ত রাজনৈতিক দল, রাজনৈতিক সংগঠন, এনজিও, বিশেষজ্ঞ তাদেরকে নিয়ে কমিটি তৈরি করেন। তারা তদারকি করবে যে ঠিকমতো সাধারণ মানুষের কাছে খাবার পৌঁছাচ্ছে কিনা? বাংলাদেশে তো ইতিহাস আছে—আমরা বন্যা মোকাবিলা করেছি, আমরা সাইক্লোন মোকাবিলা করেছি। যদি আপনি জনগণকে সম্পৃক্ত না করেন তাহলে তো তারা সুফল পাবে না।’

তিনি বলেন, ‘এখানে কী হচ্ছে? সরকার জনগণকে সম্পৃক্ত করতে চায় না একটা মাত্র কারণে যে, তারা লুটপাট করবে, টাকা চুরি করে নিয়ে যাবে।’

বিএনপি লকডাউনের বিরোধিতা করছেন কিনা জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, ‘না আমরা লকডাউনের বিরোধিতা করছি না। তারা লকডাউন নাম হিসেবে ব্যবহার করছে। এখন পর্যন্ত আমরা দেখছি যে, অকার্যকর একটা শাটডাউন করছে। হাজার হাজার লোকজন বেরুচ্ছে, হাজার হাজার লোক বাজারে যাচ্ছে। দেখুন কতটা স্ববিরোধিতা। আবার শিল্পকলকারখানা খোলা রাখছে। কোনো পরিকল্পনাই নেই।’

‘দেশে করোনার টেস্ট অপর্যাপ্ত’

করোনার টেস্ট করাতে জনগণকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, ‘আমার একটা অভিজ্ঞতার কথা বলছি। আমার বাসায় যারা কাজ করেন তাদের টেস্ট করানোর জন্য আমি গত তিন দিন ধরে চেষ্টা করছি। উত্তরায় একটি টেস্টিং সেন্টারে গিয়ে প্রতিদিনই তারা ব্যর্থ হয়ে ফিরে এসেছে। শেষে আজকে ভোর ৬ টায় পাঠিয়েছি। সেখানে দেখা গেছে, যে তার সিরিয়াল ৫০ নাম্বার। ওই এক সেন্টারেই প্রায় দেড়শ জন টেস্ট করাতে পারেনি।’

‘খালেদা জিয়ার অবস্থা স্থিতিশীল’

করোনায় আক্রান্ত খালেদা জিয়ার সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে ফখরুল বলেন, ‘আজকেও আমি এখানে আসার আগে খবর নিয়েছি- একই অবস্থায় তিনি স্টেবল আছেন। ইতিমধ্যে তার চিকিৎসাও শুরু হয়েছে।’

Comments

The Daily Star  | English

Deeper crisis feared as 219 factories shut

With 219 garment factories shut amid worker unrest along the industrial belts yesterday, Bangladesh’s apparel sector is feared to get into a deeper crisis if production does not resume on Saturday after the weekend.  

2h ago