ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ঘরমুখো মানুষের ঢল

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে আগামীকাল থেকে সাত দিনের লকডাউন শুরু হওয়ার আগে ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ঘরে ফিরছেন অসংখ্য মানুষ। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে উত্তবঙ্গগামী হাজারো ঘরমুখো মানুষের ঢল নেমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দ্বিগুণ যানবাহন পার হয়েছে।
যানবাহন না পেয়ে খোলা ট্রাকে চড়ে গন্তব্যের উদ্দেশে ছুটছে মানুষ। টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা মোড়ে আজ দুপুরের চিত্র। ছবি: স্টার

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে আগামীকাল থেকে সাত দিনের লকডাউন শুরু হওয়ার আগে ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ঘরে ফিরছেন অসংখ্য মানুষ। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে উত্তবঙ্গগামী হাজারো ঘরমুখো মানুষের ঢল নেমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দ্বিগুণ যানবাহন পার হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ‘সোমবার ভোর ৬টা থেকে মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সেতু পার হয়েছে মোট ৩১ হাজার ৮৮১টি যানবাহন। এটা স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।’

এ সময় দুই কোটি ৪৫ লাখ ৩৫ হাজার টাকা টোল আদায় হয়েছে বলে জানান তিনি।

সরেজমিনে দেখা যায়, যানবাহনের সংকট থাকায় যে যেভাবে পারছে বাড়ি ফিরছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রাক, হিউম্যান হলার, তিন চাকার যানবাহন, মোটরসাইকেল, এমনকি যাত্রীবাহী বাসেও গাদাগাদি করে চলাচল করছে মানুষ।

গোরাই হাইওয়ে থানার ইনচার্জ মোজাফফর হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘গতকাল থেকে মহাসড়কে ঘরে ফেরা মানুষের ঢল থাকলেও কোথাও যানজট নেই। তবে যে যেভাবে পারছে বাড়ি ফিরছে। সত্যি বলতে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো নিশানা দেখা যাচ্ছে না। আমাদের কী আর করার আছে? আমরা শুধু দেখছি অ্যাকসিডেন্ট যেন না হয়। চেষ্টা করছি ট্রাকের ছাদে ঝুঁকি নিয়ে যাওয়া যাত্রীদের নামিয়ে দিতে।’

মহাসড়কের রাবনা বাইপাসে ট্রাকে চড়ে যাওয়া কয়েকজন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, যানবাহন না পেয়ে বাধ্য হয়ে বাড়ি ফিরতে রোদে পুড়ে ট্রাকের ছাদে ভ্রমণ করছেন তারা।

তাদের একজন নির্মাণ শ্রমিক সাইফুল ইসলাম জানান, লকডাউনে কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কিছুদূর পর পর গাড়ি বদল করে গাইবান্ধায় বাড়ি ফিরছেন তিনি।

‘উপায় তো নেই ভাই। কাজ বন্ধ, আয়ও বন্ধ। ঢাকায় থাকবো কোথায়, খাবো কী? তাই বাড়ি ফিরে যাচ্ছি,’ বলেন তিনি।

এদিকে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস চলাচল প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ বলেন, ‘যাত্রীবাহী বাস যেন চলাচল করতে না পারে সেজন্য মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। মহাসড়কে আটকা পড়া বাসগুলো যাত্রী ছাড়া ডিপো এবং টার্মিনালে ফিরছে।’

Comments

The Daily Star  | English

Teesta floods bury arable land in sand, leaving farmers devastated

40 unions across 13 upazilas in Lalmonirhat, Kurigram, Rangpur, Gaibandha, and Nilphamari are part of the Teesta shoal region

1h ago