নাম মৃত ভোটার তালিকায়, জীবিত থেকেও টিকা পাচ্ছেন না হাসিনা বানু
ভোটার তালিকায় মৃত হাসিনা বানুকে দীর্ঘদিন ধরেই নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এই কারণেই এবার করোনার টিকা নিতে পারছেন না তিনি।
১৯৭৪ সালে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা শহরে হাসিনা বানুর জন্ম। তিনি উপজেলার কয়া মহাবিদ্যালয়ে অফিস সহকারী পদে কর্মরত। সম্প্রতি স্মার্ট কার্ড নেওয়ার পর থেকে তার এই সমস্যা শুরু হয়। যেখানেই আইডি কার্ড জমা দেন, সেখান থেকেই সার্চ করে তার সবকিছু শূন্য (নীল) পাওয়া যায়।
দ্য ডেইলি স্টারকে হাসিনা বানু বলেন, ‘গত পৌরসভা নির্বাচনের সময়ও ভোটার তালিকায় নাম খুঁজে না পাওয়ায় ভোট দিতে পারিনি।’
‘ভোট না হয় না দিলাম। কিন্তু করোনা টিকা না নিয়ে মরতে হবে আমার,’ আক্ষেপ করে বলেন তিনি।
সাধারণত কোনো ভোটার মারা গেলে তথ্য সংগ্রহকারীদের স্পষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে এই শূন্যকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়ে থাকে। এর অর্থ, তথ্য সংগ্রহকারীদের তথ্যের ভিত্তিতে হাসিনা বানুকে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে মৃত দেখিয়ে তার তথ্য মুছে শূন্য করে রাখা হয়েছে।
সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী সবাইকে করোনা টিকা নেওয়ার নির্দেশনা দিলে চরম ভোগান্তিতে পড়েন হাসিনা বানু। টিকার প্রথম ডোজ নিতে একাধিকবার তথ্য আপলোডের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন তিনি। পরবর্তীতে কুষ্টিয়া জেলা নির্বাচন অফিসে যান হাসিনা।
হাসিনা বানু তার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর দিলে নির্বাচন অফিস থেকে জানানো হয়, তিনি মৃত।
শেষ পর্যন্ত তিনি নানা প্রমাণ দেওয়ার পর তাকে আবেদন করতে বলা হয়। সে অনুযায়ী গত ১০ দিন ধরে কাগজপত্র সংগ্রহ করে আজ মঙ্গলবার তিনি সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে আবেদন করেন।
তিনি বলেন, ‘পয়সার পয়সা খরচ হচ্ছে, একই সঙ্গে চলছে ভোগান্তি।’
বিষয়টি স্বীকার করে কুষ্টিয়া জেলার সিনিয়র নির্বাচন অফিসার আনিছুর রহমান বলেন, ‘এটি কাজের ভুল। তথ্য সংগ্রহকারীরা ভুলক্রমে জীবিত হাসিনা বানুকে ভোটার তালিকায় এন্ট্রি করার সময় মৃত দেখিয়েছেন। বিষয়টি জানার পর এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছি।’
আরও পড়ুন:
মৃত ও প্রবাসীরাও ভোট দিয়েছেন কুষ্টিয়ার মিরপুর পৌর নির্বাচনে!
জীবিত কাউন্সিলর প্রার্থীকে মৃত দেখিয়ে মানিকগঞ্জে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা
Comments