প্রতীকী ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’
দেশে করোনা পরিস্থিতি ও চলমান ‘সর্বাত্মক’ লকডাউনের কথা বিবেচনায় রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সীমিত পরিসরে আজ বুধবার বাংলা নববর্ষ ১৪২৮ প্রতীকী কর্মসূচির মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়েছে।
চারুকলা অনুষদের শিল্পীদের তৈরি মুখোশ ও প্রতীক নিয়ে অনুষদ প্রাঙ্গণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে সংক্ষিপ্তভাবে প্রতীকী ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’য় নেতৃত্ব দেন সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ বলেন, ‘বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত মঙ্গল শোভাযাত্রা। কিন্তু চলমান করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে এ বছর পহেলা বৈশাখ উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপন করা সম্ভব হচ্ছে না। আশা করি, আগামীতে করোনা-উত্তর বাংলাদেশে আগের মতো বাংলা নববর্ষ উদযাপন করতে সক্ষম হবো।’
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘আবহমান কাল থেকে বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নেওয়ার যে বর্ণিল উৎসব ও ঐতিহ্য, সেটি অসাম্প্রদায়িক, উদার ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন।’
তিনি আরও বলেন, ‘নানা বিবেচনায় বাংলা ১৪২৮ গুরুত্ববহ একটি বছর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’র সন্ধিক্ষণে বাংলা নববর্ষের আগমন ঘটল।’
এই প্রতীকী ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’য় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন, ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূইয়াসহ চারুকলা অনুষদের স্বল্প সংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
Comments