মুম্বাইয়ের কাছে হার থেকে শিক্ষা নিতে হবে: রাসেল

জমজমাট লড়াইয়ে মুম্বাইয়ের কাছে ১০ রানে হার মানে কলকাতা।
russell andre
ছবি: আইপিএল ওয়েবসাইট

লম্বা সময় পর্যন্ত চালকের আসনে থেকেও শেষ হাসি হাসতে পারেনি কলকাতা নাইট রাইডার্স। রোমাঞ্চকর জয়ে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স শিবির যখন উল্লাস মাতোয়ারা, তখন নাইটদের চোখেমুখে আফসোস আর বিষণ্ণতার ছাপ। ব্যতিক্রম নয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেলের অনুভূতিও। তবে মৌসুম যেহেতু কেবল শুরু, তাই হার থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগোনোর প্রত্যাশা করছেন তিনি।

আইপিএলে মঙ্গলবার রাতে জমজমাট লড়াইয়ে মুম্বাইয়ের কাছে ১০ রানে হার মানে কলকাতা। চেন্নাইয়ের এম চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে ১৫৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় তারা থামে ৭ উইকেটে ১৪২ রানে। হাতে ৭ উইকেট নিয়েও বিস্ময় জাগিয়ে শেষ ৩১ বলে ৩১ রানের সমীকরণ মেলাতে ব্যর্থ হয় তারা।

কলকাতার উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৭২ রান। এক পর্যায়ে, ১৪.৫ ওভারে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ১২২ রান। কিন্তু এরপরই মুম্বাইয়ের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে অসহায় হয়ে পড়ে কলকাতা। সেই সঙ্গে অতি আগ্রাসন দেখাতে গিয়ে চলে উইকেট বিলিয়ে দেওয়ার মিছিলও।

তাই টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ের পরও রাসেলের জয় চেখে দেখা হয়নি। ২ ওভারে ১৫ রানে ৫ উইকেট নিয়ে মুম্বাইকে অলআউট করায় তার ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। কিন্তু পরে ব্যাট হাতে সামর্থ্যের প্রতি একটুও সুবিচার করতে পারেননি তিনি। ১৫ বল খেলে এই ক্যারিবিয়ান করেন মোটে ৯ রান। মন্থর উইকেটে কলকাতার অধিনায়ক ওয়েন মর্গ্যান, সাকিব আল হাসানও ব্যর্থ। দীনেশ কার্তিক ৮ রানে অপরাজিত থাকেন ১১ বলে।

ম্যাচের পর গণমাধ্যমের কাছে রাসেল জানান, উইকেটে গিয়েই মারা কঠিন ছিল, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমার ও ডিকের (কার্তিক) মতো ভালো ফিনিশাররা ব্যাটে-বলে সংযোগ করতে পারিনি। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে উইকেটে গিয়েই প্রথম বল থেকে হাঁকানো খুব চ্যালেঞ্জিং। আর বল ওঠা-নামা করছিল। পিচটা ব্যাটিংয়ের জন্য সহজ ছিল না। আমরা হতাশা অনুভব করছি। কিন্তু এটাই পথের শেষ নয়।’

পরিস্থিতির দাবি এবার মেটাতে না পারলেও সামনে একই ভুল করতে চান না তারা, ‘আমি শতশত টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছি। আমি এমন অনেক ম্যাচ দেখেছি যেখানে একটা দল চালকের আসনে থেকে জয়ের পথে এগোচ্ছে এবং এরপর হুট করে কয়েকটি উইকেট হারিয়ে ফেলছে এবং তারপর নতুন আসা ব্যাটসম্যানকে ব্যাটে বল লাগাতে ধুঁকতে হচ্ছে। আজকেও (মঙ্গলবার) এরকম কিছু ঘটেছে। এখান থেকে অবশ্যই আমাদের শিক্ষা নিতে হবে।’

Comments

The Daily Star  | English

National polls: EC orders withdrawal of two police commissioners

The Election Commission (EC) has ordered to withdraw commissioners of two metropolitan units of police, one deputy commissioner, and five superintendents of police.

1h ago