চকবাজারের ঐতিহ্যবাহী ইফতারির পসরা বসছে না এবারও

করোনা পরিস্থিতির কারণে গত বছরের মতো এবারও পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী চকবাজারের ইফতারির পসরা বসছে না।
রমজান মাসে পুরান ঢাকার চকবাজারে ঐতিহ্যবাহী ইফতারের বাজার। স্টার ফাইল ছবি

করোনা পরিস্থিতির কারণে গত বছরের মতো এবারও পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী চকবাজারের ইফতারির বাজার বসছে না।  

চকবাজার এলাকায় ঘুরে ব্যবসায়ী এবং এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই চকবাজার থানা পুলিশ এলাকায় মাইকিং করে জানায়, রাস্তায়- ফুটপাতে কোন ধরনের ইফতার আইটেম তৈরি বা বিক্রি করা যাবে না। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কেনাকাটা করতে হবে।

রাজধানী হিসেবে ঢাকার ৪০০ বছরের সঙ্গে চকবাজারের এই ঐতিহ্যবাহী ইফতারের আয়োজনও হয়ে আসছে বলে জানান স্থানীয়রা।

চকবাজারের ফুটপাতে গত ২৫ বছর ধরে নানা ধরনের ইফতার সামগ্রী বিক্রি করে আসছেন আসলাম উদ্দিন (৪২)। তিনি বলেন, গতবছর লকডাউনের জন্য ইফতারি বিক্রি করতে পারিনি। এই বছরও পুলিশের নিষেধাজ্ঞায় বিক্রি বন্ধ।

আসলাম জানান, পার্শ্ববর্তী উর্দু রোডের বাসা থেকে ‘বড় বাপের পোলায় খায়’ সহ মুরগি এবং নানা ধরনের কাবাব তৈরি করে এখানে এনে বিক্রি করতেন। তার বাপ-দাদা এবং এলাকার মুরুব্বিরা দীর্ঘকাল ধরে ফুটপাতে ঐতিহ্যবাহী ইফতার বিক্রি করে এসেছে। 

তবে চকবাজারের আলাউদ্দিন সুইটমিটসহ আরও কয়েকটি কনফেকশনারিতে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, তারা তাদের দোকানেই ইফতার তৈরি করবেন। তবে সাধারণ ইফতার সামগ্রী তৈরি করা হবে।

কথা হয় চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) কবির হোসেন হাওলাদারের সঙ্গে। তিনি জানান, গত বছরের মতো এবারও ফুটপাতে ভিড় জমিয়ে এই ইফতার বিক্রি করতে পারবে না। এ ব্যাপারে আমরা এলাকায় মাইকিং করেছি। তবে কোনো দোকানের ভেতরে কেউ ইফতার তৈরি করলে সেটি বিক্রি করতে পারবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে।

এবার দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ঢাকার বিভিন্ন হোটেল রেস্টুরেন্ট খোলা থাকবে।

আজ পহেলা রমজানে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা থেকে পুরান ঢাকার চকবাজারে ঐতিহ্যবাহী বড় বাপের পোলায় খায়, সুতি কাবাব, রেজালা, শাহী জিলাপিসহ ইফতারের নানা ধরনের আইটেম কিনতে আসেন অনেকে। না পেয়ে তাদের ফিরে যেতে দেখা যায়।

এদিকে, রাজধানীর ইব্রাহিমপুর, মিরপুর ১০, ভাষানটেক, পল্লবী, শেওড়াপাড়া ও কাজীপাড়া ঘুরে দেখা গেছে বিভিন্ন হোটেল, রেস্টুরেন্টে ইফতার তৈরি ও বিক্রি হচ্ছে। কাজীপাড়া বিসমিল্লা হোটেলের মালিক আবু তাহের জানান, গতবার আমরা ইফতার বিক্রি করতে পারিনি তবে এইবার দোকানের ভেতর ইফতার তৈরি করছি সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং আমরা সেটা পার্সেল করব।

Comments

The Daily Star  | English

Mozammel, Shyamal, Shahriar on 7-day remand in murder cases

Dhaka Additional Chief Metropolitan Magistrate Md Sanaullah passed the orders after they were produced before the court in the morning with a 10-day remand prayer for them

1h ago