লকডাউনে যাদের ‘মুভমেন্ট পাস’ লাগবে না

রাজধানীর তেজগাঁও এলাকার বেগুনবাড়ি সড়ক। ১৫ এপ্রিল ২০২১। ছবি: আনিসুর রহমান/স্টার

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় দেশব্যাপী চলমান ‘সর্বাত্মক’ লকডাউনের দ্বিতীয় দিন আজ বৃহস্পতিবার। লকডাউনে সব বন্ধ থাকলেও হাসপাতাল, ব্যাংক ও শিল্পকারখানাসহ জরুরি সেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো চালু রয়েছে।

লকডাউন চলাকালে যারা জরুরি প্রয়োজনে বাইরে যাবেন, তাদের পুলিশের মুভমেন্ট পাস নিয়ে বের হতে হবে। কিন্তু, যারা জরুরি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন, তাদের জন্যে সেই পাস নেওয়ার প্রয়োজন নেই। যাদের মুভমেন্ট পাস নেওয়ার প্রয়োজন নেই, তাদের তালিকা পুলিশ সদর দপ্তর থেকে দেওয়া হয়েছে। তালিকার বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (মিডিয়া) মো. সোহেল রানা। তবে, তাদেরকে পরিচয়পত্র দেখাত হবে বলে জানান তিনি।

যেসব পেশাজীবীদের মুভমেন্ট পাস লাগবে না, তারা হলেন—

১. চিকিৎসক

২. নার্স

৩. মেডিকেল স্টাফ

৪. কোভিড টিকা/চিকিৎসার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি/স্টাফ

৫. ব্যাংকার

৬. ব্যাংকের অন্যান্য স্টাফ

৭. সাংবাদিক

৮. গণমাধ্যমের ক্যামেরাম্যান

৯. টেলিফোন/ইন্টারনেট সেবাকর্মী

১০. বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মী

১১. জরুরি সেবার সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা/কর্মচারী

১২. অফিসগামী সরকারি কর্মকর্তা

১৩. শিল্পকারখানা/গার্মেন্টস উৎপাদনে জড়িত কর্মী/কর্মকর্তা

১৪. আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য

১৫. ফায়ার সার্ভিস

১৬. ডাকসেবা

১৭. বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও জ্বালানির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি/কর্মকর্তা

১৮. বন্দর–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি/কর্মকর্তা

পুলিশ সদর দপ্তরের উপ-মহাপরিদর্শক হায়দার আলী খান ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘যারা জরুরি কাজের সঙ্গে জড়িত, তারা সবাই মুভমেন্ট পাস ছাড়া চলাচল করতে পরবে। তবে, তাদেরকেও যেকোনো একটা ডকুমেন্ট বা পরিপয়পত্র দেখাতে হবে, যাতে বোঝা যায় যে, তারা জরুরি সেবার কাজে নিয়োজিত। কেউ হয়তো জরুরি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত, কিন্তু অন্য কাজে বের হয়েছেন। কাজেই তাকেও ডকুমেন্ট বা পরিচয়পত্র অবশ্যই দেখাতে হবে। কেউ যদি পরিচয়পত্র বা কোনো ডকুমেন্ট দেখাতে না পারে, তাহলে আমরা কীভাবে বুঝব যে তিনি জরুরি পেশায় নিয়োজিত? যেমন: চিকিৎসকদের অনেকের পরিচয়পত্র নেই। সেক্ষেত্রে তারা হাসপাতাল থেকে একটি পেপার নিয়ে রাখবে এবং সেটা আমাদের দেখাবে। গণমাধ্যমর্কীদেরও পরিচয়পত্র দেখতে হবে।’

পরিচয়পত্র দেখানোর পরেও অনেককে ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা হওয়ার কথা নয়। তারপরেও যদি কোনো জায়গায় ব্যত্যয় হওয়ার কোনো ঘটনা আমরা জানতে পারি, সঙ্গে সঙ্গে তা সমাধান করছি।’

Comments

The Daily Star  | English

Yunus promises election on time

Chief Adviser Prof Muhammad Yunus yesterday reaffirmed his commitment to holding the 13th national election in the first half of February next year.

8h ago