সরকারি বিধিনিষেধ মানতে পুলিশকে সহায়তার অনুরোধ ডিএমপি’র

করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে সরকারের আরোপিত বিধিনিষেধ মানতে পুলিশের কাজে সার্বিক সহায়তার জন্য সবার কাছে অনুরোধ জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে সরকারের আরোপিত বিধিনিষেধ মানতে পুলিশের কাজে সার্বিক সহায়তার জন্য সবার কাছে অনুরোধ জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

আজ বৃহস্পতিবার ডিএমপির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ অনুরোধ জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘কোভিড মহামারির সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার নির্দেশিত বিধিনিষেধ মেনে চলা সকল নাগরিকের সমান দায়িত্ব। এ সমস্ত বিধি নিষেধ বাস্তবায়নে পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনে ডিএমপি অঙ্গীকারাবদ্ধ। কোনো পুলিশ সদস্য যাতে কোনো অপেশাদার আচরণ না করেন সেজন্য তাদের আচার-আচরণ মনিটর করা হয়ে থাকে। একইসঙ্গে তাদের যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনে তাদের উদ্বুদ্ধ করা ও প্রশিক্ষণ প্রদানের কাজ চলমান আছে। পুলিশের কাজে সার্বিক সহায়তা প্রদানের জন্য সম্মানিত নাগরিকদের অনুরোধ করা হচ্ছে। কোন ব্যত্যয় পরিলক্ষিত হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, কিছু মিডিয়ায় এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনো কোনো ব্যক্তি পুলিশের চেকপোস্টে বিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বিষয়টি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। বর্ণিত ঘটনার একটিতে দেখা যায়, কাওরান বাজারে পুলিশ একটি প্রাইভেট কারের ড্রাইভারকে বাইরে আসার কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি গাড়িটি একজন চিকিৎসকের বলে বর্ণনা দেন। কিন্তু, চিকিৎসক গাড়িতে উপস্থিত ছিলেন না। ড্রাইভার ওই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হওয়ায় গাড়ীর কাগজপত্র দেখাতে বলা হয়। কিন্তু গাড়ীর কাগজপত্রে বর্ণিত গাড়ির মালিকের সঙ্গে বর্ণিত চিকিৎসকের সামঞ্জস্য না থাকায় ড্রাইভারের বক্তব্যের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাহাঙ্গীর গেট এলাকার একটি ঘটনায় সম্মানিত একজন নাগরিক নিজ বাসা থেকে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে বের হন। পরে কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, বিজয় স্মরণীসহ বেশ কয়েকটি চেকপোস্টের মুখোমুখি হন। এতে স্বাভাবিকভাবেই হাসপাতালে পৌঁছাতে তার দেরি হচ্ছিল। জাহাঙ্গীর গেট সংলগ্ন চেকপোস্টে তিনি ৩০ সেকেন্ডের মতো আটকে ছিলেন বলে জানান। যাতায়াতের সময় যারা আইডি কার্ড প্রদর্শন করতে ব্যর্থ হয়েছেন তাদেরকেই যাচাই বাছাই করা হয়েছে। যা চলমান বিধিনিষেধের প্রেক্ষিতে যৌক্তিক একটি বিষয়।

ডিএমপি জানায়, করোনা ভাইরাসজনিত রোগ কোভিড-১৯ বিস্তার রোধে চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ প্রসঙ্গে গত ১২ এপ্রিল একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। কোভিড-১৯ পরিস্থিতির অবনতির কারণে ১৪ এপ্রিল ভোর ছয়টা থেকে ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত প্রজ্ঞাপনে বর্ণিত বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। এই বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে শুরু থেকেই সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে মাঠে আছে পুলিশ।

ডিএমপি আরও জানিয়েছে, করোনার বিস্তার রোধে একদিকে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ এবং অন্যদিকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের অপ্রয়োজনীয় চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ করতে নিজেদের সর্বোচ্চ দিয়ে কাজ করে চলেছেন পুলিশের সদস্যরা। আইনশৃঙ্খলা ও জরুরি সেবাসহ অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের এবং অতি জরুরি প্রয়োজনে নিয়োজিতদের ব্যতীত বিনা কারণে বা উপযুক্ত পাস ব্যতীত কেউ যাতে রাস্তায় বের হতে না পারেন তা নিশ্চিত করতে ২৪ ঘণ্টা ডিএমপি’র সদস্যরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করছেন। ১৪ এবং ১৫ এপ্রিল সাধারণ মানুষের সহযোগিতা নিয়ে বিধি নিষেধ বাস্তবায়নের কাজ অনেকটা সফলতার সঙ্গেই সম্পন্ন হয়েছে। তবে, বিনা কারণে রাস্তায় বের হওয়া ব্যক্তি এবং বিভিন্ন পরিসেবায় নিযুক্তদের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করা কষ্টকর কাজ।

Comments

The Daily Star  | English

219 garment factories closed in Ashulia amid labour unrest

There was no report of any attack or vandalism in any factory, or any road blockade anywhere in the area.

25m ago