মোস্তাফিজের ২ উইকেট, বিপর্যয় সামলে রাজস্থানের রোমাঞ্চকর জয়

বৃহস্পতিবার আইপিএলের ম্যাচে মুম্বাইর ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের উইকেট ছিল কিছুটা মন্থর। সেখানে আগে ব্যাটিং পেয়ে ১৪৭ রান করে দিল্লি। ২ বল আগে সেই রান পেরিয়ে ৩ উইকেটে জিতেছে রাজস্থান রয়্যালস
Mustafizur Rahman

জয়দেব উনাদকাট, মোস্তাফিজুর রহমানদের বাঁহাতি পেসে দিল্লি ক্যাপিটালসকে দেড়শোর আগে বেধে রেখেছিল রাজস্থান রয়্যালস। তবে রান তাড়ায় নেমে পঞ্চাশ পেরুনোর আগেই ৫ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকে পড়েছিল তারা। সেই অবস্থা থেকে ডেভিড মিলারের ফিফটি আর ক্রিস মরিসের শেষের ঝড়ে রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে সঞ্জু স্যামসনের দল।

বৃহস্পতিবার আইপিএলের ম্যাচে মুম্বাইর ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের উইকেট ছিল কিছুটা মন্থর। সেখানে আগে ব্যাটিং পেয়ে ১৪৭ রান করে দিল্লি। ২ বল আগে সেই রান পেরিয়ে ৩ উইকেটে জিতেছে রাজস্থান রয়্যালস। 

রাজস্থানের জয়ের পেছনে ভূমিকা কয়েকজনের। দিল্লিকে আটকে দিতে মাত্র ১৫ রানে ৩ উইকেট নেন উনাদকাট, মোস্তাফিজ ২৯ রানে নেন ২ উইকেট। রান তাড়ায় মিলার ৪৩ বলে ৬২ আর মরিস মাত্র ১৮ বলে করেন ৩৬।

১৪৮ রান তাড়ায় শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে রাজস্থান । প্রথম চার ব্যাটসম্যানের কেউই যেতে পারেননি দুই অঙ্কে। মাত্র ৪২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা।

David Miller

চরম বিপর্যস্ত অবস্থা থেকে দলের হাল ধরেন ডেভিড মিলার। রাহুল তেওয়াতিতাকে নিয়ে ৬ষ্ঠ উইকেটে আনেন ৪৮ রান। ম্যাচেও ফিরেছিল রাজস্থান। তেওয়াতিয়া ফিরে যাওয়ার পর আরও আগ্রাসী হয়ে রান বাড়াচ্ছিলেন। আবেশ খানকে টানা দুই ছক্কা মারার পর তৃতীয়টি মারতে গিয়ে কাটা পড়েন তিনি। রাজস্থানের আশাও হয়ে যায় নিভু নিভু।

এরপরই খেল দেখান আইপিএলের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার মরিস। বোলিংয়ে খরুচে থাকলেও ব্যাট হাতে জ্বলে উঠেন এই ডানহাতি। উনাদকাটকে নিয়ে ৮ম উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ৪৬ রানের জুটিতে শেষ করেছেন খেলা। মাত্র ১৮ বলে ৪ ছক্কায় করেছেন ৩৬। ম্যাচ জিততে শেষ ওভারে দরকার ছিল ১২। দ্বিতীয় ও চতুর্থ বলে দুই ছক্কা মেরে খেলা শেষ করেন তিনি। 

Jaydev Unadkat

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে গিয়ে উনাদকাট, মোস্তাফিজদের তোপে পড়ে দিল্লি। উইকেটে বল গ্রিপ করছিল। স্লোয়ার বলেই মিলছিল ভাল ফল। তা কাজে লাগিয়ে দুজনে হামলে পড়েন দিল্লির টপ অর্ডারে। প্রথম তিন উইকেটের সবগুলাই নেন উনাদকাট। তার বল থেকে রান বের করাও যায়নি।  চার নম্বরটা নেন মোস্তাফিজ। ৩৭ রানে ৪ উইকেট পড়ে দিল্লির। 



পাওয়ার প্লে পেরিয়ে যাওয়ার পর বল হাতে পান মোস্তাফিজ। পঞ্চম বলেই মিলে উইকেট। দারুণ এক অফ কাটারে কাবু হয়ে মিড অফে ক্যাচ দেন মার্কাস স্টয়নিস। প্রথম ওভারে দেন মাত্র ১ রান।

১২তম ওভারে ফিরে এক বাউন্ডারিতে দেন আরও ৮ রান। এরপর মোস্তাফিজের ডাক পড়ে একদম ইনিংসের শেষ দিকে। এক বাউন্ডারিতে ওই ওভার থেকেও দেন ৮ রান। ১৯তম ওভারে দিয়েছেন সবচেয়ে বেশি ১২ রান। তবে ওই ওভার থেকেও তুলেছেন এক উইকেট। তার প্রথম বলে টম কারান বাউন্ডারি মারার পর দ্বিতীয় বলেই হয়েছেন বোল্ড।

৩৭ রানে ৪ উইকেট পড়া দিল্লিকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিতে বড় ভূমিকা নেন অধিনায়ক রিশভ পান্ত। ৩২ বলে ৫১ রান করেছেন তিনি। ললিত যাদব, টম কারান, ক্রিস ওকসদের ছোট ছোট তিন ইনিংসও দেড়শোর কাছে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছে তাদের। তবে শেষ পর্যন্ত আরও কিছু রান কম হওয়ার আক্ষেপই সঙ্গী হয়েছে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

দিল্লি ক্যাপিটালস: ২০ ওভারে ১৪৭/৮ ( পৃথ্বী ২ , ধাওয়ান ৯, রাহানে ৮, পান্ত ৫১, স্টয়নিস ০ , ললিত ২০, কারান ২১, ওকস ১৫*,  অশ্বিন ৭, রাবাদা ৯* ; সাকারিয়া  ০/৩৩, উনাদকাট ৩/১৫, মরিস ১/২৭, মোস্তাফিজ ২/২৯, পরাগ ০/১৬, তেওয়াতিয়া ০/২৭)

রাজস্থান রয়্যালস: ১৯.৪ ওভারে ১৫০/৭ (বাটলার ২, বোহরা ৯, স্যামসন ৪, দুবে ২,  মিলার ৬২, পরাগ ২, তেওয়াতিয়া ১৯, মরিস ৩৬*,  উনাদকাট ১১*;  ওকস ২/২২, আবেশ ৩/৩২ , রাবাদা ২/৩০ , অশ্বিন  ০/১৪, কারান ০/৩৫, স্টয়নিস ০/১৫ )

ফল: রাজস্থান রয়্যালস ৩ উইকেটে জয়ী।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: জয়দেব উনাদকাট।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

10h ago