মরিসের এমন ব্যাটিং দেখেও ভাবনা বদলায়নি স্যামসনের
পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে রান না নিয়ে ক্রিস মরিসকে ফেরত পাঠিয়ে বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছিলেন সাঞ্জু স্যামসন। সেসময় রাজস্থান রয়্যালসের দরকার ছিল ২ বলে ৫ রান। পরে ওই সমীকরণ মেলাতে পারেননি দলটির অধিনায়ক স্যামসন। সেদিন যে মরিসের কেবল অবাক হওয়া ছাড়া কিছু করার ছিল না, সেই তিনিই এবারে দেখালেন নিজের সামর্থ্য। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে শেষে একাই ঝড় তুলে জেতালেন রাজস্থানকে। তবে সতীর্থের এই আগ্রাসী ব্যাটিং দেখেও সেদিনের সিঙ্গেল না নেওয়ার সিদ্ধান্তকে যথার্থ মনে করেন স্যামসন।
বৃহস্পতিবার আইপিএলে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ৩ উইকেটের নাটকীয় জয় পায় রাজস্থান। টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ উইকেটে ১৪৭ রান করে দিল্লি। ২ বল হাতে রেখে সেই রান পেরিয়ে যায় রয়্যালস।
কিছুটা মন্থর উইকেটে লক্ষ্য তাড়ায় এক পর্যায়ে ৪২ রানে ৫ উইকেট হারায় রাজস্থান। বিপর্যয় থেকে তারা ঘুরে দাঁড়ায় ডেভিড মিলারের ৪৩ বলে ৬২ রানের ইনিংসে। তারপরও শেষ ২ ওভারে প্রয়োজন পড়ে ২৭ রানের। তখন জ্বলে ওঠেন আইপিএলের ইতিহাসের সবচেয়ে দামি বিদেশি খেলোয়াড় মরিস। দক্ষিণ আফ্রিকার এই অলরাউন্ডার ১০ বলের মধ্যে হাঁকান ৪ ছক্কা। মাত্র ১৮ বলে ৩৬ রানে অপরাজিত থেকে তিনি দুর্দান্ত জয় পাইয়ে দেন দলকে।
মরিসের নায়কোচিত ব্যাটিংয়ের পর রাজস্থান-পাঞ্জাব ম্যাচের ওই ঘটনার ফের আলোচনায় উঠে আসা অবধারিত ছিল। ঘটেও তা-ই। ম্যাচ পরবর্তী পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে স্যামসনের কাছে প্রশ্ন রাখা হয় মরিসকে সেদিন স্ট্রাইক না দেওয়া নিয়ে। ভারতের এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান জবাব দেন, ‘আমি সবসময়ই পরে বসে বসে নিজের খেলা পর্যালোচনা করি। তবে ওই ম্যাচটা যদি আমি আরও ১০০ বারও খেলার সুযোগ পাই, আমি কখনোই ওই সিঙ্গেলটা নিব না।’
দিল্লির বিপক্ষে অল্প রানের মধ্যে অর্ধেক ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফেরায় হতাশা জেঁকে ধরেছিল স্যামসনকে। তবে মরিস ও মিলার থাকায় আশার আলো নিভু নিভু করে জ্বলছিল তার মনে, ‘সত্যি কথা বলতে গেলে, আমি ভেবেছিলাম ৫ উইকেটে ৪০ রান (মূলত ৪২) থেকে ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন। যদিও মিলার ও মরিস থাকায় আমাদের আশা ছিল। তারপরও আমি ভেবেছিলাম এটা কঠিন। আমি মনে করি, ছেলেরা সত্যিই খুব ভালো করেছে। পুরো বিষয়টা হলো ম্যাচের পরিস্থিতি অনুধাবন করা।’
গোটা ম্যাচের প্রথম ৩৮ ওভারে ছয় ছিল ৩টি। পরে মরিস একাই মারেন ৪ ছক্কা। ১৯তম ওভারে কাগিসো রাবাদাকে ও শেষ ওভারে টম কারানকে দুবার করে সীমানাছাড়া করেন তিনি। স্যামসন জানান, উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে তিনি প্রার্থনায় ডুবেছিলেন, ‘আমি মনে মনে প্রার্থনা করছিলাম, “মরিস, আপনি কি একটা ছক্কা হাঁকাতে পারেন?”’
Comments