প্রথম জয় ও প্রথম উইকেটে খুশি মোস্তাফিজ
প্রথম ম্যাচে তার বোলিং ছিল হতাশাজনক। হেরেছিল দলও। পরের ম্যাচেই উল্টে গেল মুদ্রার পিঠ। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে মোস্তাফিজুর রহমান চলতি আইপিএলে নিজের প্রথম উইকেটের দেখা পেলেন। ক্রিস মরিসের আগ্রাসী ইনিংসে নাটকীয়ভাবে জিতল রাজস্থান রয়্যালসও। সবমিলিয়ে খুশি বাংলাদেশের তারকা বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজ।
বৃহস্পতিবার মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে দিল্লি-রাজস্থানের ম্যাচের নিষ্পত্তি হয় শেষ ওভারে। ১৪৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় মরিসের ১৮ বলে অপরাজিত ৩৬ রানে ২ বল হাতে রেখে ৩ উইকেটের জয় পায় রাজস্থান। কিছুটা মন্থর উইকেটে দলের জন্য মোস্তাফিজ রাখেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। শেষ দুই ওভারে কয়েকটি আলগা বলে বাউন্ডারি হজম করলেও সবমিলিয়ে বেশ ভালো করেন তিনি। চার ওভারের কোটা পূরণ করে তিনি ২ উইকেট নেন ২৯ রানে। ডট বল দেন ১১টি।
ম্যাচের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে মোস্তাফিজ প্রকাশ করেন উচ্ছ্বাস, ‘মৌসুমে আমাদের প্রথম জয় ও রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে আমার প্রথম উইকেটে (আমি) খুশি। বিস্ময়কর হিটিং, ক্রিস মরিস।’
পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে রাজস্থানের জার্সিতে অভিষেক ম্যাচে ভীষণ খরুচে ছিলন মোস্তাফিজ। রান উৎসবের লড়াইয়ে ৪৫ রান দিয়েছিলেন তিনি। ফলে একাদশে তার জায়গা ধরে রাখা নিয়ে তৈরি হয়েছিল অনিশ্চয়তা। জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে তার ওপর আস্থা রাখে রাজস্থান। আর প্রতিদানও তিনি দেন দারুণভাবে।
দিল্লির ইনিংসের সপ্তম ওভারে আক্রমণে গিয়ে মোস্তাফিজ বিদায় করেন মার্কাস স্টয়নিসকে। কাটার বুঝতে না পেরে এই অস্ট্রেলিয়ান শর্ট এক্সট্রা কাভারে তুলে দেন ক্যাচ। নিজের শেষ ও ইনিংসের ১৯তম ওভারে দ্য ফিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন টম কারান। ইংল্যান্ডের এই তরুণ অলরাউন্ডার প্রায় ইয়র্কার লেংথের স্লোয়ার ডেলিভারি সুইপ করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু উপড়ে যায় তার স্টাম্প।
মোস্তাফিজের স্লোয়ার ও কাটার কয়েক দফা দিল্লির ব্যাটসম্যানদের বিভ্রান্ত করে। অনেকটা স্পিনারদের মতো করে বলের ওপর আঙুল ঘোরাচ্ছিলেন তিনি। তাতে সুফল মিলছিল। তবে নিজের স্বাভাবিক গতির ডেলিভারিতে লাইন-লেংথ নিয়ে ধুঁকতে হয় তাকে। অফ স্টাম্পের অনেক বাইরে বা শর্ট বল করায় হজম করতে হয় বাউন্ডারি।
Comments