করোনায় কাজ হারানো পরিবারটির রাত কাটল রাস্তায়, সহায়তার হাত বাড়াল পুলিশ

চট্টগ্রাম মহানগরীর লালখান বাজার এলাকায় বাড়িওয়ালা বের করে দেওয়ার পর এক পরিবারকে রাস্তায় রাত কাটাতে হয়েছে। বাড়িভাড়া বাকি পড়ায় তাদের বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ওই পরিবার।
CTG Family.jpg
চট্টগ্রামের লালখান বাজারের হাই লেভেল রোডের দুবাই কলোনির রাস্তায় রাত কাটাল পরিবার। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম মহানগরীর লালখান বাজার এলাকায় বাড়িওয়ালা বের করে দেওয়ার পর এক পরিবারকে রাস্তায় রাত কাটাতে হয়েছে। বাড়িভাড়া বাকি পড়ায় তাদের বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ওই পরিবার।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর লালখান বাজারের হাই লেভেল রোডের দুবাই কলোনিতে এ ঘটনা ঘটে।

নগরীর ওয়াসা মোড়ের ফুটপাতে ওই পরিবারের বসে থাকার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে, আজ শুক্রবার পুলিশের হস্তক্ষেপে তারা বাড়িতে উঠতে সক্ষম হন।

পরিবারের এক সদস্য শ্রী দাম দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, তার বড় ভাই চট্টগ্রাম ওয়াসায় চুক্তিভিত্তিক চাকরি করতেন। গত বছরের প্রথম লকডাউন চলাকালে তার ভাইয়ের চাকরি চলে গেলে তারা তিন মাসের বাড়িভাড়া দিতে পারেননি।

‘এখন আবার করোনা বেড়ে যাওয়ায় লকডাউন শুরু হয়। আমরা আবারও ভাড়া দিতে না পারায়, বাড়িওয়ালা খুব চাপ দিচ্ছিল’, বলেন তিনি।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাড়িওয়ালা মো. মোস্তফা বাসায় এসে তাদের বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। তারা বাইরে বেরোলে বাড়িওয়ালা বাড়িতে তালা মেরে চলে যান।

‘রাস্তায় রাত কাটানো ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় ছিল না। শুক্রবারে পুলিশ এসে আমাদের আবার ঘরে ঢুকতে সাহায্য করে’, বলেন তিনি।

যোগাযোগ করা হলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার (উত্তর) আবু বকর সিদ্দিক দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, তারা বিষয়টি জানার পরই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেন।

তিনি বলেন, ‘বাড়িভাড়া না দেওয়ার কারণে পরিবারটিকে বের করে দেওয়ার ঘটনা খুবই দুঃখজনক। আমি ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম পাঠাই এবং ওই পরিবারকে তাদের বাড়িতে ঢুকতে সহায়তা করি।’

‘আমি বাড়িওয়ালাকে বলেছি যে, তারা বাড়িভাড়া না দিতে পারলে পুলিশ তাদের দায়িত্ব নেবে। মহামারিতে আমাদের অবশ্যই একে অপরের পাশে দাঁড়াতে হবে’, যোগ করেন তিনি।

স্থানীয় কাউন্সিলর আবু হাসনাত মো. বেলাল দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, তিনি বিষয়টি সম্পর্কে জেনেছেন।

ওই বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে বেশ কিছু মামলা আছে বলেও জানান তিনি।

মন্তব্যের জন্য বাড়িওয়ালা মো. মোস্তফার ফোনে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

Comments

The Daily Star  | English

A paradigm shift is needed for a new Bangladesh

Paradigm shifts on a large scale involve the transformation of society.

4h ago