বরিশালের সড়কে বেড়েছে মানুষ ও যান চলাচল

বরিশালের রাস্তায় মানুষ ও রিকশার চলাচল বেড়েছে। ছবি: স্টার

‘সর্বাত্মক’ লকডাউনের তৃতীয় দিনে বরিশালের সড়কগুলোতে মানুষের চলাচল বেড়েছে। একইসঙ্গে নগরীর বিভিন্ন রাস্তায় রিকশা চলাচলও গত দুই দিনের তুলনায় বেশি ছিল।

আজ শুক্রবার সরেজমিনে বরিশাল নগরীর অধিকাংশ এলাকা ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।

সকাল সাড়ে দশটার দিকে নগরীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট নাজিরপোলে পুলিশ চেকপোস্টে প্রতিটি যানবাহনকে চেক করতে দেখা যায়। এ কোনো কারণ ছাড়াই ঘর থেকে বেরিয়ে আসা মানুষদের চলাচল করতে দেখা গেছে।

সেখানে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য আবদুল হালিম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘সবাই যে কোনো অজুহাতে রাস্তায় আসতে চাইছে। আমরা কয়জনকে ঠেকাব?’

জেলখানার মোড়ে খাদ্য সরবরাহের একটি খালি ট্রাকে ১১ জনকে দেখা যায়। ট্রাফিক পুলিশ তাদের মাস্ক নেই কেন জানতে চাইলে তারা উত্তর দেন, ‘আমাদের করোনা নেই।’ এসময় তাদের অনেকে গামছা দিয়ে মুখ ঢেকে রেখেছিল।

এছাড়াও, সাংবাদিক পরিচয় দিয়েছে রাস্তায় অনেকে মোটরসাইকেলে চলাচল করছিলেন।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তা উপপুলিশ কমিশনার জাকির হোসেন মজুমদার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমরা এখানে রোদে পুড়ে ডিউটি করছি, কিন্তু কয়জনকে সচেতন করব? মানুষ যদি নিজে সচেতন না হয়, তাহলে এভাবে সচেতন করা সম্ভব নয়।’

নগরীর কালিজিরা পয়েন্টেও একই দৃশ্য ছিল। এখানে ভ্যান-রিকশা এবং হেঁটে চলাচল করছিল বাইরে বেরিয়ে আসা মানুষ।

সেখানে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্য মোজাম্মেল দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, গত দুই দিনের তুলনায় মানুষের চলাচল বেড়েছে।

লকডাউনে নগরীর পাইকারি মাছ, ফল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সরবরাহ কেন্দ্র পোর্টরোড ও বাজার রোড এলাকায় আগের মতোই মানুষের ভিড় ছিল। এখানে সবধরণের যানবাহন দেখা গেছে। অধিকাংশ মানুষের মুখে মাস্ক ছিল না।

আজ সচাতনতামূলক প্রচারপত্র বিলি করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিরুপম মজুমদার। এ ছাড়া, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত বিশ্বাস দাস নগরীর রুপতালী, নথুল্লাবাদ ও কাশীপুরে ভ্রাম্যমাণ আদলতের অভিযান পরিচালনা করেন। স্বাস্থ্যবিধি না মানায় দুই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আট জনকে মোট ২৯০০ টাকা জরিমানা করেন।

Comments