মোট আক্রান্তের ৬৫ শতাংশ তরুণ

টিকাদানের ক্ষেত্রে কমবয়সীদেরও বিবেচনায় রাখা উচিত: কেজরিওয়াল

করোনাভাইরাস সংক্রমণের নতুন ঢেউয়ে তরুণরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন উল্লেখ করে তরুণদেরও টিকা কর্মসূচির আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাস সংক্রমণের নতুন ঢেউয়ে তরুণরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন উল্লেখ করে তরুণদেরও টিকা কর্মসূচির আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

আজ শুক্রবার এনডিটিভিকে তিনি জানান, দ্বিতীয় ঢেউয়ে তরুণরা বেশি ঝুঁকির মধ্যে আছেন। দিল্লিতে মোট আক্রান্তের ৬৫ শতাংশের বয়স ৩৫-৪০ বছরেরও কম। টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের এটি বিবেচনা করা উচিত।

তিনি বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি যে, ভ্যাকসিনের ওপর থেকে বয়সের যে সীমাবদ্ধতা সেটা সরিয়ে নেওয়া প্রয়োজন।’

‘আমাদের সংক্রমণের চেইন ভেঙে ফেলতে হবে। এটা তখনই সম্ভব হবে যখন অধিকাংশ মানুষ ভ্যাকসিন পাবেন এবং সে জন্য আমাদের এই বিধিনিষেধগুলো কমাতে হবে’, বলেন তিনি।

শুধু দিল্লি নয়, মহারাষ্ট্রসহ অন্যান্য রাজ্যগুলোর তথ্য-উপাত্তও ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, শুরুর দিকে প্রবীণদেরই সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করা হলেও কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেশিরভাগ তরুণরাই সংক্রমিত হচ্ছেন।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্রে এনডিটিভি জানায়, এর কারণ হতে পারে ডাবল মিউটেশনের মাধ্যমে নতুন স্ট্রেইনের গঠন, যা ১০টি রাজ্যের রোগীদের মধ্যে পাওয়া গেছে।

দিল্লিতে যুক্তরাজ্যের করোনাভাইরাসের স্ট্রেইনের একটি মিশ্রণের পাশাপাশি ডাবল মিউটেশনগুলোর সংক্রমণ ঘটছে বলে জানা গেছে।

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ভ্যাকসিন বিতরণ সম্পর্কিত নির্দেশনা অনুসরণ করেই টিকা কর্মসূচি চলছে। ডব্লিউএইচও জানিয়েছে যে, ভ্যাকসিনের প্রাথমিক ঘাটতি বিবেচনা করে প্রথমে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীকে দেওয়া হবে। পরে, উত্পাদন সক্ষমতা প্রসারিত এবং সরবরাহ সহজ হয়ে গেলে অন্যান্যদেরও দেওয়া হবে।

ভারতে ভ্যাকসিন বিতরণ কেবল কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে না রেখে ভ্যাকসিন বিক্রি চালু করা উচিত বলে মনে করেন কেজরিওয়াল।

ভ্যাকসিন বিতরণের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণ না থাকলে কালোবাজারে বিক্রি, জালিয়াতি ও নকল ভ্যাকসিন বিক্রির সম্ভাবনা আছে কি না? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দেখুন, জালিয়াতি কিংবা নকল ওষুধ বিক্রি, এই ঝুঁকি যেকোনো ওষুধ বা ড্রাগের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। তবে এমনটা যেন না ঘটে সেটা কার্যকর করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো আছে। সুতরাং, ভ্যাকসিন বিক্রি চালু না করার পক্ষে এটি একটি দুর্বল যুক্তি।’

Comments

The Daily Star  | English
Dummy candidates

Placing dummies as alternatives disenfranchises voters

We are witnessing an engineered intra-party contest as most of the independents belong to the ruling party.

5h ago