নাটকীয় জয়ে সিরিজ পাকিস্তানের
অধিনায়ক বাবর আজম ও ফখর জামান যখন ব্যাট করছিলেন তখন মনে হচ্ছিল হেসে খেলেই জিতে যাবে পাকিস্তান। ১ উইকেটে ৯২ রান তখন দলটির। জয়ের জন্য তখন ৯ উইকেটে চাই ৫২ রানের। কিন্তু এ জুটি ভাঙতেই যেন তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে তাদের ব্যাটিং লাইন আপ। এমনকি এক সময় হেরে যাওয়ার বড় শঙ্কাও তৈরি হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনো বিপদ হয়নি। জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে দলটি।
শুক্রবার সেঞ্চুরিয়ানে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তান। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ফাহিম আশরাফ ও হাসান আলীর বোলিং তোপে ৩ বল বাকী থাকতে ১৪৪ রানে অলআউট হয়ে যায় স্বাগতিকরা। জবাবে ১ বল বাকী থাকতে লক্ষ্যে পৌঁছায় সফরকারী দলটি। চারে ম্যাচের সিরিজে ৩-১ ব্যবধানে জিতল বাবর আজমের দল।
দশম ওভার থেকেই পাকিস্তানের হাতের মুঠোয় থাকা ম্যাচে নিজেদের সুযোগ তৈরি করতে শুরু করে প্রোটিয়ারা। তবে ১৯তম ওভারে জয়ের স্বপ্ন আরও বড় হয় তাদের। দ্বিতীয় বলে ফাহিম আশরাফকে তুলে নিয়ে জয়ের দারুণ সুযোগ তৈরি করছিলেন প্রোটিয়া পেসার সিসান্দা মাগালা। পাকিস্তানের তখন শেষ ১০ বলে চাই ১৬ রান। হাতে ৩ উইকেট।
তবে সেই মাগালাই ডোবালেন তাদের। পঞ্চম বলটি করতে এসে দুই বার নো বল দিলেন। তাতে ফ্রি হিটের পাশাপাশি বাড়তি ৩ রান মিলে তাদের। আর শেষ পর্যন্ত যখন বলটি ঠিকঠাক করতে পারলেন তাতে ছক্কা হাঁকান মোহাম্মদ নাওয়াজ। ম্যাচ হেলে যায় পাকিস্তানের পক্ষে। এরপর বাকীটা হাসান আলীকে নিয়েই শেষ করেন নাওয়াজ।
অবশ্য লক্ষ্য তাড়ায় অবশ্য এদিন পাকিস্তানের শুরুটা ভালো হয়নি। শুরুতেই খালি হাতে ফিরে যান ইনফর্ম ব্যাটসম্যান। তবে দ্বিতীয় উইকেটে অধিনায়ক বাবর আজমের সঙ্গে ফখর জামানের ৯১ রানের জুটিতেই জয়ের ভিত পেয়ে যায় পাকিস্তান। এরপর অবশ্য স্কোরবোর্ডে মাত্র ২৩ রান যোগ করতেই পাঁচ ব্যাটসম্যানকে হারায় তারা। এরপর আর ১৪ রান করতে ফিরে যান শেষ স্বীকৃত ব্যাটসম্যান ফাহিমও। হারের শঙ্কায় পড়ে যায় দল। তবে নাওয়াজের বীরত্বে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে দলটি।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬০ রানের ইনিংস খেলেন ফখর। ৩৪ বলে ৫টি চার ও ৪টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। অধিনায়ক বাবরের ব্যাট থেকে আসে ২৪ রান। শেষ দিকে নাওয়া খেলেন হার না মানা মূল্যবান ২৫ রানের ইনিংস। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন মাগালা ও লিজাদ উইলিয়ামস
এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৬ রানেই ওপেনার এইডেন মার্করামকে হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে দ্বিতীয় উইকেটে ভালো জুটি গড়ে স্বাগতিকরাও। আরেক ওপেনার জানেমান মালানের সঙ্গে স্কোরবোর্ডে ৫৭ রান যোগ করেন রাসি ভ্যান ডার ডুসেন। কিন্তু এ জুটি ভাঙতেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। এমনকি এরপর আর কোনো ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কও ছুঁতে পারেননি। ফলে ৩ বল বাকী থাকতেই গুটিয়ে যায় দলটি।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫২ রানের ইনিংস খেলেন ডুসেন। ৩৬ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় এ রান করেন এ ব্যাটসম্যান। এছাড়া মালানের ব্যাট থেকে আসে ৩৩ রান। পাকিস্তানের পক্ষে মাত্র ১৭ রানের খরচায় ৩টি উইকেট পান ফাহিম আশরাফ। ৪০ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট নিয়েছেন হাসান আলিও। এছাড়া হাসান রৌফের শিকার ২টি।
Comments