বরগুনা

খরায় পুড়ছে রবি ফসলের খেত, শুকিয়ে যাচ্ছে গাছ

চিনা বাদাম, মুগডাল, ফেলন, মসুর ডাল ও মরিচ খেতের মাটি ফেটে গেছে। ছবি: সোহরাব হোসেন

বরগুনার আমতলী উপজেলায় মৌসুমের শুরু থেকে বৃষ্টি না থাকায় প্রচণ্ড খরায় পুড়ছে  রবি ফসলের খেত। অতিরিক্ত তাপদাহের কারণে শুকিয়ে যাচ্ছে বাদাম, মরিচ, মুগডালসহ শত শত হেক্টর রবি ফসলের খেত। অনাবৃষ্টি ও তাপদাহ যেন কেড়ে নিয়েছে এখানকার কৃষকের মুখের হাসি।

আমতলী উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি রবি মৌসুমে আমতলী উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ১৬ হাজার ২৬৬ হেক্টর জমিতে নানা জাতের রবি ফসল আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০ হাজার ২৫০ হেক্টরে মুগ, ৫ হাজার হেক্টরে খেসারি ডাল, ৪৫০ হেক্টরে মরিচ, ৪২৫ হেক্টরে চিনাবাদাম, ৯৬ হেক্টরে ফেলন, ২০ হেক্টরে মসুর, ২৫ হেক্টরে ছোলা।

তবে, মৌসুমের শুরু থেকে অর্থাৎ গত তিন মাস ধরে বৃষ্টির দেখা নেই। অনাবৃষ্টির কারণে ও প্রচণ্ড তাপদাহে রবি ফসলের খেত ঝলসে ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। এতে রবি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

সম্প্রতি আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া, কুকুয়া, চাওড়া ও হলদিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে- চিনা বাদাম, মুগডাল, ফেলন, মসুর ডাল ও মরিচ খেতের মাটি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। তাপদাহে অনেক খেতের ফসল ঝলসে গেছে। পানির অভাবে গাছ থেকে ফলন বের হতে পারছে না।

কুকুয়া ইউনিয়নের কালিপুরা গ্রামের রাবেয়া বেগম বলেন, ‘১৮ শতাংশ জমিতে মুগডাল চাষ করেছিলাম। কিন্তু বৃষ্টির অভাবে তা ঝলসে গেছে। পানির অভাবে গাছ থেকে ফলন বের হতে পারছে না।’

একই এলাকার রাজ্জাক কবিরাজ বলেন, ‘রোদের তাপে রবি ফসলের খেত ঝলসে গেছে এবং মাটি চৌচির হয়ে গেছে।’

আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম সোনাখালী গ্রামের রুস্তুম মিয়া বলেন, ‘৭০ শতাংশ জমিতে বাদাম চাষ করেছিলাম। কিন্তু, বৃষ্টি না হওয়ায় খরায় তা ঝলসে গেছে। এ বছর লাভ তো দূরের কথা আসল উঠবে না।’

আমতলী উপজেলা কৃষি অফিসার রেজাউল করিম বলেন, ‘প্রচণ্ড তাপদাহে মাটির নিচে জমা পানি শুকিয়ে খেতে লবণাক্ততা দেখা দেওয়ায় গাছ ঝলসে গেছে। অনাবৃষ্টি ও কৃষক সঠিক সময়ে সেচ দিতে না পারায় এ বছর কাঙ্ক্ষিত ফলন পাওয়া যাবে না।’

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: Stories of sacrifice, sharing and struggle

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

6h ago