চার জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৭

দেশের চার জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় সাত জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে- টাঙ্গাইলে দুই, শরীয়তপুরে দুই, সাতক্ষীরায় দুই এবং নোয়াখালীতে একজন নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার দ্য ডেইলি স্টারের জেলা সংবাদদাতারা এসব তথ্য জানান।

বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব সংযোগ সড়কে টাঙ্গাইলের কালিহাতি উপজেলার আনালিয়াবাড়িতে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে মহাসড়কের ৮ এবং ৮ নম্বর ব্রিজের মাঝখানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ঘটনাস্থলে একটি মোটরসাইকেল ও দু’জনের মরদেহ পড়া ছিল। ধারণা করা হচ্ছে মোটরসাইকেলটিকে অজ্ঞাত কোনো ট্রাক পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে চলে গেছে।’

ফরিদপুর সংবাদদাতা জানিয়েছেন শুক্রবার রাতে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার আন্দারমানিক এলাকার ঢাকা-শরীয়তপুর সড়কে দুর্ঘটনায় দুই এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন- বায়োজিদ শিকদার (১৭) এবং অভি আকান (১৬)। তারা দুজনেই ইসমাইল হোসেন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।

স্থানীয়দের উদ্ধৃতি দিয়ে শরীয়তপুরের নারিয়া থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবনি সরকার কোর বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যায় দুই বন্ধু একটি মোটরবাইকে করে জাজিরা উপজেলা থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনাটি ঘটে। তাদের বাইকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে রাস্তার পাশের একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে তারা গুরুতরভাবে আহত হয়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার শরীয়তপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানের চিকিৎসক শুক্রবার রাত ৮টা ৪৫ মিনিটের দিকে বায়াজিদকে মৃত ঘোষণা করেন এবং ভিকে ঢাকায় রেফার করা হয়। কিন্তু, ঢাকায় নেওয়ার পথে শুক্রবার রাত ১১টার দিকে অভির মৃত্যু হয়।’

এদিকে সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের তালা উপজেলার সুভাসিনী কলেজের পাশে ট্রাক-পিকআপের সংঘর্ষে দুই শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২২জন। আজ শনিবার ভোর পাঁচটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সদর হাসপাতাল ও বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতরা হলেন- সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার জাফরপুর গ্রামের মুন্না কারিকর (৩৫) ও আশাশুনি উপজেলার বড়দল গ্রামের শফিকুল ইসলাম (৫০)।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রওশান গাইন জানান, আহতদের পাঁচজনের সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। অন্য আটজনের স্বজনরা করোনার ভয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে না জানিয়েই কৌশলে বাড়িসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করেছেন।

তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদী রাসেল জানান, নিহত দু’জনের মরদেহ উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে দেওয়া হয়েছে।

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে কাভার্ড ভ্যানে চাপা পড়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নিহত শিশুর নাম রতন (৮)। আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পৌরসভার নাওতলা ভূঁইয়া বাড়ির সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঢাকা-নোয়াখালী প্রধান সড়কের নাওতলা ভূঁইয়া বাড়ি নামক স্থানে আট বছর বয়সী রতন রাস্তা পার হচ্ছিল। এসময় ঢাকা থেকে নোয়াখালী অভিমুখী কাভার্ড ভ্যানের নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে এবং কাভার্ড ভ্যানটি আটক করে।

সোনাইমুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।