‘প্রতীকী কুম্ভমেলা’ করার আহ্বান মোদির
করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে ‘প্রতীকী কুম্ভমেলা’ করার আহ্বান জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শনিবার তিনি জানান, কোভিড-১৯ সংকটের মধ্যে এখন কুম্ভমেলা কেবল ‘প্রতীকী’ হওয়া উচিত।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের তীব্র সংক্রমণের মধ্যে গঙ্গার তীরে কয়েক লাখ তীর্থযাত্রীর জমায়েত নিয়ে দেশটিতে সমালোচনা চলছে।
কুম্ভমেলায় অংশ নেওয়া একজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। আরও অনেকেই আক্রান্ত হয়েছেন।
শনিবার টুইট করে মোদি জানান, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত স্বামী অভধেশানন্দ গিরির সঙ্গে তিনি ফোনে কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, ‘দুটি শাহি স্নান ইতোমধ্যেই হয়ে গেছে। করোনা সংকটের কথা মাথায় রেখে কুম্ভমেলা প্রতীকী রূপেই উদযাপন করা হোক। আমি এ ব্যাপারে অনুরোধ জানিয়েছি।’
এদিকে, মোদির টুইটে জবাবে স্বামী অভধেশানন্দ গিরি বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধকে সম্মান জানাই। সবাইকে অনুরোধ করছি, কোভিড পরিস্থিতিতে বিপুল সংখ্যায় শাহি স্নান করতে আসবেন না। সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।’
সাধারণত কুম্ভমেলা জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত হলেও এ বছর ১ এপ্রিল থেকে মেলা শুরু হয়। আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এই মেলা চলবে বলে জানিয়েছে মেলা কর্তৃপক্ষ।
করোনার তীব্র সংক্রমণের মধ্যে মেলা নিয়ে সমালোচনা চললেও কর্মকর্তারা বলছেন, কুম্ভমেলা বন্ধের ব্যাপারে কোনো আলোচনা হয়নি। নির্ধারিত তারিখ পর্যন্ত মেলা চলবে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, কুম্ভমেলায় সন্ন্যাসীদের আখড়াগুলোতে সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। মেলায় অংশ নেওয়ার পর মধ্য প্রদেশের স্বামী কপিলদেব করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তিনি মহা নির্বানী আখড়ার প্রধান ছিলেন। এ ছাড়া, মেলার অনেক সাধু করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
উত্তর প্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবও মেলায় অংশ নেওয়ার পর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
গত তিনদিন ধরে ভারতে দৈনিক করোনা সংক্রমণ দুই লাখ ছাড়িয়ে যাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ২ লাখ ৩৪ হাজার ৬৯২ জন, যা আগের দিনের তুলনায় প্রায় ১৭ হাজার বেশি।
আরও পড়ুন:
কুম্ভমেলায় ৫ দিনে ১৭০১ জনের করোনা শনাক্ত
কুম্ভমেলার সঙ্গে নিজামুদ্দিন মারকাজের তুলনা উচিত নয়: উত্তরাখণ্ড মুখ্যমন্ত্রী
Comments