হাকালুকি হাওড়ে প্রতি হেক্টরে ধান উৎপাদন ৬.৪৯ টন
হাকালুকি হাওড়ে প্রতি হেক্টরে কী পরিমাণ ধান হবে তা যাচাইয়ের জন্য বোরো ধানের নমুনা শস্য কাটা হয়েছে।
গতকাল শনিবার মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার পালের মুড়া এলাকায় বোরো ধানের নমুনা শস্য কেটে বোরো ধান কাটার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম ফরহাদ চৌধুরী। তার সঙ্গে ছিলেন কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল মোমিন।
সেসময় স্থানীয় চেয়ারম্যান, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষকরাও উপস্থিত ছিলেন।
কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল মোমিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছেন, ‘আমরা প্রথমে নমুনা ধান কেটেছি। এর নাম ব্রি-৮৫। কাঁচা অবস্থায় এর আর্দ্রতা ২৩ শতাংশ। শুকানো অবস্থায় আর্দ্রতা হবে ১৪ শতাংশ। প্রতি হেক্টরে কাঁচা ধানের ওজন ৭ দশমিক ২৫ টন। শুকনো ধানের ওজন হবে ৬ দশমিক ৪৯ টন। আর সেখান থেকে চাল হবে ৪ দশমিক ২৮ টন।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম ফরহাদ চৌধুরী ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘বোরো ধানের নমুনা শস্য কাটার মধ্যে দিয়ে উপজেলায় বোরো ধান কাটা শুরু হলো। এই উপজেলায় স্বল্প পরিমাণে বোরো ধানের চাষ হয়। এ বছর কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের উন্নতজাতের ধান চাষে আগ্রহী করায়, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও ধানের পোকার আক্রমণ কম হওয়ায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।’
আগামীতে এই উপজেলায় বোরো ধানের চাষ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করেন তিনি।
উদ্বোধনের সময় তিনি বলেন, ‘হাকালুকি হাওড়ে কৃষকদের যে কোনো সমস্যা, এমনকি শ্রমিক সংকট হলেও যেন আমাদের জানানো হয়। আমরা সম্মিলিতভাবে সংকট সমাধান করবো।’
পালের মুড়া এলাকার কৃষক সাদ্দাম মিয়া ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘চলতি মৌসুমে উন্নতজাতের ধান চাষ করায় ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বোরো ধানের ফলন ভালো হয়েছে। প্রতি বিঘায় ২১ থেকে ২৩ মন হারে ধানের ফলন হয়েছে।’
‘উৎপাদিত ধানের ন্যায্য দাম পাওয়া গেলে আগামীতে আরও বেশি পরিমাণে বোরো ধানের চাষ করবো,’ যোগ করেন তিনি।
Comments