ইরান ইউরেনিয়াম ৬০ শতাংশ সমৃদ্ধ করতে শুরু করেছে: আইএইএ

ইরান নাতানজ পারমাণবিক কেন্দ্রে ইউরেনিয়াম ৬০ শতাংশ সমৃদ্ধ করার কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)।
Iran nuclear
ছবি: এএফপি ফাইল ফটো

ইরান নাতানজ পারমাণবিক কেন্দ্রে ইউরেনিয়াম ৬০ শতাংশ সমৃদ্ধ করার কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)।

গতকাল শনিবার সংস্থাটির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

এর মাধ্যমে ইরানি কর্মকর্তাদের ইউরেনিয়াম ৬০ শতাংশ সমৃদ্ধ করা সংক্রান্ত বক্তব্যের সত্যতা নিশ্চিত হলো।

আজ রোববার বার্তা সংস্থা রয়টার্স’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর ফলে পরমাণু চুক্তির বাস্তবায়ন নিয়ে দেশটির সঙ্গে বিশ্বশক্তির আলোচনা জটিল হয়ে উঠেছে।

বিশ্বশক্তির সঙ্গে ইরানের পরমাণু চুক্তি অনুযায়ী ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে পারবে ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ। তবে চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে আসা ও ইরানের ওপর নতুন করে অবরোধ দেওয়ায় উপসাগরীয় দেশটি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাত্রা ২০ শতাংশে বাড়িয়ে দেয়।

নাতানজে ভূগর্ভস্থ জ্বালানি সমৃদ্ধকরণ স্থাপনায় ‘রহস্যময়’ বিস্ফোরণের পর ইরান ইউরেনিয়াম ৬০ শতাংশ সমৃদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়।

এই বিস্ফোরণের জন্য ইসরাইলকে দায়ী করেছে তেহরান। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন এমন একজনের নামও বলেছে তারা।

এক বিবৃতিতে আইএইএ বলেছে, ‘সংস্থাটি যাচাই করে দেখেছে যে, ইরান নাতানজ জ্বালানি সমৃদ্ধকরণ স্থাপনায় ইউএফ-৬ এর উৎপাদন শুরু করেছিল, যা ৬০ শতাংশ পর্যন্ত সমৃদ্ধ।’

ইউরেনিয়াম হেক্সাফ্লোরাইট ইউএফ-৬ এর মাধ্যমে ইউরেনিয়ামকে সমৃদ্ধ করতে সেন্ট্রিফিউজে ভরা হয়।

সংস্থাটির সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে দেওয়া গোপন প্রতিবেদনটি রয়টার্সের কাছে এসেছে। যেখানে এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত বলা রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘সংস্থাটিকে ইরানের দেওয়া ঘোষণা অনুযায়ী, পিএফইপিতে (প্লান ফোর ইভরি পার্ট) ইউএফ-৬ সমৃদ্ধির মাত্রা ছিল ৫৫ দশমিক ৩ শতাংশ ইউ-২৩৫। সংস্থাটি নিরপেক্ষভাবে ইরানের উৎপাদিত ইউএফ-৬ এর ধ্বংসাত্মক বিশ্লেষণ ও সমৃদ্ধকরণের মাত্রা জানার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেছে। সময় মতো এর ফলাফল প্রকাশ করা হবে।’

আরও পড়ুন:

ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রে ‘সন্ত্রাস’ রহস্য

Comments

The Daily Star  | English
Islami Bank's former managing director Abdul Mannan

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago