সোনারগাঁওয়ে নাশকতা মামলায় কাউন্সিলর গ্রেপ্তার

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের সহিংসতা ও নাশকতার ঘটনায় হওয়া মামলায় সোনারগাঁও পৌরসভার কাউন্সিলর ফারুক আহমেদ তপনকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের সহিংসতা ও নাশকতার ঘটনায় হওয়া মামলায় সোনারগাঁও পৌরসভার কাউন্সিলর ফারুক আহমেদ তপনকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রবিবার ভোরে উপজেলার ভবনাথপুর এলাকা থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। পরে সহিংসতা ও নাশকতার ৪ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

ফারুক আহমেদ তপন সোনারগাঁও পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। তিনি উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, ‘গত ৩ এপ্রিল হেফাজতের সহিংসতার ঘটনায় হওয়া মামলায় ফারুক আহমেদ তপনকে তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়। তপন হেফাজতে ইসলামের নাশকতার ঘটনায় মাস্টার মাইন্ড হিসেবে কাজ করেছে। তাকে চার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।’

গত ৩ এপ্রিল বিকেলে সোনারগাঁওয়ে হেফাজত নেতা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ হওয়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা ভাঙচুর চালায়। একদল বিক্ষুদ্ধ নেতাকর্মী ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বাঁশ, কাঠে আগুন দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। এসময় কয়েকটি গাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। রাত পৌনে ৯টায় পুলিশ বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের ধাওয়া দিয়ে ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে সরিয়ে দেয়। পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এ ঘটনায় সোনারগাঁও থানার পুলিশ বাদি হয়ে দুটি ও স্থানীয় সাংবাদিক হাবিবুর রহমান বাদি হয়ে আরেকটি মামলা করেন। এর কয়েকদিন পর স্থানীয় তিন জন বাদি হয়ে আরও ৩টি মামলা করেন।

আরও পড়ুন-

সোনারগাঁও থানায় মামলা: হেফাজতের ৪ নেতা গ্রেপ্তার

সোনারগাঁও থানায় ৩ মামলায় মামুনুলসহ আসামি ৭০০

সাংবাদিকের বাড়িতে হেফাজতের হামলা, মামুনুলের কাছে ক্ষমা না চাওয়ায় মারধর

হেফাজতের হরতালে নাশকতা: নারায়ণগঞ্জে কাউন্সিলর গ্রেপ্তার

হেফাজতের হরতাল: নারায়ণগঞ্জে পুলিশের মামলায় আসামি বিএনপি ও জামায়াত

নারায়ণগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহসড়ক অবরোধ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, গুলিবিদ্ধ ১

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

10h ago