সোনারগাঁওয়ে নাশকতা মামলায় উপজেলা জাপা সভাপতি গ্রেপ্তার
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে হেফাজত নেতা মামুনুল হকের অবরুদ্ধ হওয়াকে কেন্দ্র করে সহিংসতা ও নাশকতার মামলায় সোনারগাঁও উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও শম্ভুপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রউফকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ সোমবার দুপুরে উপজেলার শম্ভুপুরা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে থেকে তাকে আটক করার পর সহিংসতা ও নাশকতার ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল-বি) শেখ বিল্লাল হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘গত ৩ এপ্রিল হেফাজতের সহিংসতার ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে চেয়ারম্যান আবদুর রউফকে আটক করা হয়। তিনি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি না। তবে ওই সহিংসতায় তার জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।'
তিনি আরও বলেন, 'সোনারগাঁও থানায় পুলিশের করা একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে। দুয়েকদিন পর তার রিমান্ড চাওয়া হবে।’
গত ৩ এপ্রিল বিকেলে সোনারগাঁওয়ে হেফাজত নেতা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ হওয়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা ভাঙচুর চালায়। একদল বিক্ষুদ্ধ নেতাকর্মী ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বাঁশ, কাঠে আগুন দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। এসময় কয়েকটি গাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। রাত পৌনে ৯টায় পুলিশ বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের ধাওয়া দিয়ে ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে সরিয়ে দেয়। পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এ ঘটনায় সোনারগাঁও থানার পুলিশ বাদি হয়ে দুটি ও স্থানীয় সাংবাদিক হাবিবুর রহমান বাদি হয়ে আরেকটি মামলা করেন। এর কয়েকদিন পর স্থানীয় তিন জন বাদি হয়ে আরও ৩টি মামলা করেন।
আরও পড়ুন-
সোনারগাঁওয়ে নাশকতা মামলায় কাউন্সিলর গ্রেপ্তার
সোনারগাঁও থানায় মামলা: হেফাজতের ৪ নেতা গ্রেপ্তার
সোনারগাঁও থানায় ৩ মামলায় মামুনুলসহ আসামি ৭০০
সাংবাদিকের বাড়িতে হেফাজতের হামলা, মামুনুলের কাছে ক্ষমা না চাওয়ায় মারধর
হেফাজতের হরতালে নাশকতা: নারায়ণগঞ্জে কাউন্সিলর গ্রেপ্তার
হেফাজতের হরতাল: নারায়ণগঞ্জে পুলিশের মামলায় আসামি বিএনপি ও জামায়াত
নারায়ণগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহসড়ক অবরোধ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, গুলিবিদ্ধ ১
Comments