জয়ের পরও আত্মসমালোচনায় ধোনি

dhoni
ছবি: আইপিএল ওয়েবসাইট

মুখোমুখি হওয়া প্রথম পাঁচ বল ডট। পরেও পুষিয়ে দিতে ব্যর্থ হন। মহেন্দ্র সিং ধোনির ধীর লয়ে ব্যাটিং অবশ্য দলের জন্য বিপদের কারণ হয়নি তার সতীর্থদের সম্মিলিত অবদানের কারণে। তবে নিজের সমালোচনা করতে পিছপা হননি চেন্নাই সুপার কিংসের অধিনায়ক।

সোমবার মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ধোনিরা ম্যাচ জেতেন ৪৫ রানে। তাদের ছুঁড়ে দেওয়া ১৮৯ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় ১৪৩ রানে থামে রাজস্থান রয়্যালস।

ধোনি যখন সাত নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন, তখন ঝড় তোলার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি ছিল। বাকি ছিল ইনিংসের আরও ৩৭ বল। কিন্তু হতাশ করেন বর্ষীয়ান এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। এক পর্যায়ে, ১১ বলে তার সংগ্রহ ছিল ৬ রান। পরে হাত খোলার আভাস দিলেও চেতন সাকারিয়ার অফ কাটারে পরাস্ত হন। এক্সট্রা কভারে জস বাটলারের তালুবন্দি হওয়ার আগে তিনি ১৭ বল খেলে করেন ১৮ রান। তার ইনিংসে চার ছিল ২টি।

তার ইনিংস চেন্নাইকে বিপাকে না ফেলায় ম্যাচের পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে স্বস্তি প্রকাশ করেন ধোনি, ‘সৌভাগ্য যে আমরা ১৮০ রানের বেশি করতে পেরেছি। আমার মনে হয়েছিল, আরও বেশি করতে পারতাম। আমি প্রথমে যে ছয়টা বল খেলেছি, সেজন্য হয়তো আমরা ম্যাচটা হারতেও পারতাম।’

আগামী জুলাইতে ৪০ বছরে পা দিতে যাওয়া ভারতের সাবেক এই দলনেতা ফিটনেস প্রসঙ্গে যোগ করেন, ‘বয়স বাড়া আর ফিট থাকা, দুটোই খুব কঠিন ব্যাপার। যখন আপনি খেলবেন, তখন কেউ আপনাকে আনফিট বলুক তা আপনি কিছুতেই চাইবেন না। আমাকে তরুণদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলতে হবে। তারা অনেক বেশি দৌড়ায়। তবে এটা (ফিট থাকা) সবসময়ই চ্যালেঞ্জিং।’

চেন্নাইয়ের কেউই খুব বড় রান করেননি। ছোট হলেও কার্যকর ঝড়ো ইনিংস খেলেন বেশ কয়েকজন। ফাফ ডু প্লেসি ১৭ বলে ৩৩, মঈন আলি ২০ বলে ২৬, আম্বাতি রাইডু ১৭ বলে ২৭, স্যাম কারান ৬ বলে ১৩ ও ডোয়াইন ব্র্যাভো করেন ৮ বলে অপরাজিত ২০ রান।

রাজস্থানের বাংলাদেশি তারকা মোস্তাফিজুর রহমান ৪ ওভারে ৩৭ রানে নেন ১ উইকেট। যদিও প্রথম ওভারেই তিনি পেয়েছিলেন উইকেটর স্বাদ। এই বাঁহাতি পেসারের ছন্দ ধরে রাখতে না পারার ম্যাচে তার দলের ব্যাটিংও ছিল বিবর্ণ। ওপেনার বাটলার ৩৫ বলে করেন ৪৯ রান। অষ্টম উইকেটে রাহুল তেওয়াতিয়া ও জয়দেব উনাদকাট ৪২ রানের জুটিতে কেবল হারের ব্যবধানই কমান।

Comments