'বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘাতে' নিহত চাদের প্রেসিডেন্ট ইদ্রিস ডেবি

চাদের প্রেসিডেন্ট ইদ্রিস ডেবি। ছবি: রয়টার্স

বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘাতের ঘটনায় চাদের প্রেসিডেন্ট ইদ্রিস ডেবি মারা গেছেন বলে জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। রাষ্ট্রীয় টিভিতে সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, এই সপ্তাহের শেষ দিকে দেশটির উত্তরাঞ্চলে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘাতে প্রেসিডেন্ট ডেবি আহত  হয়েছিলেন।

বিবিসি জানায়, গতকাল সোমবার দেশটির জাতীয় নির্বাচনে ইদ্রিস ডেবি ৮০ শতাংশেরও বেশি ভোট পেয়ে ষষ্ঠবারের মতো দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় পেতে পারেন বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। গত ১১ এপ্রিল দেশটিতে ভোটগ্রহণ হয়।

সেনাবাহিনীর ‌এক বিবৃতিতে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ডেবি ‘যুদ্ধের ময়দানে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে গিয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।'

গত সপ্তাহের শেষে তিনি লিবিয়া সীমান্তের কাছে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সংঘাতে লিপ্ত সেনাবাহিনীর ঘাঁটি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন।

‘ফ্যাক্ট’ (ফ্রন্ট ফর চেঞ্জ অ্যান্ড কনকর্ড) নামে পরিচয় দেওয়া একটি দলের বিদ্রোহীরা নির্বাচনের দিন সীমান্তের কাছে একটি পোস্ট আক্রমণ করে। তারা দেশটির রাজধানী এন’জামেনার দিকে অগ্রসর হচ্ছিল।

শনিবার থেকে সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। সেনাবাহিনীর এক জেনারেল রয়টার্সকে জানান, সংঘর্ষে ৩০০ বিদ্রোহী নিহত হয়েছে ও দেড়শজন বন্দি হয়েছেন। এ ছাড়া, পাঁচ জন সেনা সদস্য নিহত ও ৩৬ জন আহত হয়েছেন বলেও জানান তিনি।

প্রেসিডেন্ট ডেবির মৃত্যুর পর দেশটির সরকার ও সংসদ ব্যবস্থা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। সামরিক কাউন্সিল আগামী ১৮ মাস দেশটির ক্ষমতায় থাকবে। সামরিক কাউন্সিলের নেতৃত্ব দেবেন প্রয়াত প্রেসিডেন্টের পুত্র ৩৭ বছর বয়সী মহামাত ইদ্রিস ডেবি ইতনো।

৬৮ বছর বয়সী ইদ্রিস ডেবি সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা আফ্রিকান নেতাদের অন্যতম ছিলেন। ১৯৯০ সালে এক বিদ্রোহের মাধ্যমে তিনি দেশটির ক্ষমতায় এসেছিলেন।

ডেবি আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলে জিহাদি গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ফ্রান্স ও অন্যান্য পশ্চিমা শক্তির দীর্ঘকালীন মিত্র ছিলেন। তবে চাদের তেল সম্পদ পরিচালনার বিষয়ে তার সরকারের কার্যক্রম নিয়ে ক্রমাগত অসন্তুষ্টি বাড়ছিল। নির্বাচনের সময় তিনি এই অঞ্চলে শান্তি ও সুরক্ষা আনার কথা প্রচার করেছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English
future of bangladesh after banning awami league

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

17h ago