ব্যর্থতা ছাপিয়ে শান্তর প্রথম সেঞ্চুরি
টানা ব্যর্থতায় প্রবল চাপে ছিলেন দারুণ সম্ভাবনাময় নাজমুল হোসেন শান্ত। সেই চাপ দূর করে টেস্ট তো বটেই, আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির সুমধুর স্বাদ নিলেন তিনি। সময় নিয়ে উইকেটে মানিয়ে নেওয়ার পর আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেলে চলেছেন বাংলাদেশের এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
বুধবার ক্যান্ডিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিনের তৃতীয় সেশনে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন শান্ত। অবধারিতভাবে পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামকে আলাদা করে মনে রাখবেন তিনি। ১২০ বলে হাফসেঞ্চুরি পূরণ করার পর তিনি সেঞ্চুরিতে পৌঁছেছেন ২৩৫ বলে। তার দায়িত্বশীল ইনিংসে চার ১২টি ও ছয় ১টি।
ব্যক্তিগত ২৮ রানে অবশ্য লঙ্কানরা সুযোগ পেয়েছিল শান্তকে আউট করার। কিন্তু স্পিনার ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার ডেলিভারিতে ক্যাচ গ্লাভসে জমাতে পারেননি কিপার নিরোশান ডিকভেলা। বাকিটা সময় শান্ত দিয়েছেন ধৈর্য, দক্ষতা, সামর্থ্য আর গভীর মনঃসংযোগের পরিচয়। যে ধনাঞ্জয়ার বলে জীবন পেয়েছিলেন, তাকেই ড্রাইভ করে চার মেরে মাইলফলকে পৌঁছে যান শান্ত।
আগের ছয় টেস্টের ১১ ইনিংসে শান্তর ফিফটি ছিল মোটে একটি। গত বছর ঢাকায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৭১ রান করেন তিনি। ওই ইনিংস ছাড়া তিনি বিশের ঘর পার করতে পেরেছিলেন মাত্র তিনবার।
দেশের মাটিতে সবশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজেও উভয় টেস্টে ব্যর্থ হন শান্ত। ফলে সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হতে হয় তাকে। লঙ্কানদের মাটিতে অভিষেক টেস্ট সেঞ্চুরি তাই তার জন্য ভীষণ স্বস্তির। প্রতিতাভাবান এই ক্রিকেটার নিঃসন্দেহে পাবেন আগের সব ব্যর্থতা অতীতে ফেলে সামনে এগোনোর রসদ।
এই প্রতিবেদন লেখার সময়, টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭৪ ওভারে ২ উইকেটে ২৫২ রান। ঘাসের ছোঁয়া থাকলেও ক্রমেই ব্যাটিংয়ের জন্য সহজ হয়ে ওঠা উইকেটে বড় সংগ্রহের পথে রয়েছে সফরকারীরা। শান্ত ২৩৬ বলে ১০২ ও অধিনায়ক মুমিনুল হক ১০৬ বলে ৪৬ রান নিয়ে খেলছেন। দুজনের অবিচ্ছিন্ন তৃতীয় উইকেট জুটি ছুঁয়েছে শতরান।
দলীয় ৮ রানে সাইফ হাসানের বিদায়ের পর আরেক ওপেনার তামিম ইকবালের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন শান্ত। ওই জুটিতে আসে ২২৫ বলে ১৪৪ রান। লঙ্কান বোলারদের শাসন করলেও সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন তামিম। বাহারি শটে সাজানো তার নান্দনিক ইনিংস থামে ৯০ রানে।
Comments