প্রথম ইনিংসে কত রান করতে চায় বাংলাদেশ?
প্রথম দিন শেষেই স্কোরবোর্ডে ২ উইকেটে ৩০২। বিশাল সংগ্রহের ভিত্তি এরমধ্যেই হয়ে গেছে। এই জায়গা থেকে আরও কতদূর যাওয়া যাবে, তা বুঝতে দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনের দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশ। সেঞ্চুরিয়ান নাজমুল হোসেন শান্ত জানালেন, যত পারা যায় ইনিংস লম্বা করতে চান তারা।
শ্রীলঙ্কার বোলারদের হতাশায় পুড়িয়ে ৩০২ রানের মধ্যে ১২৬ রান এসেছে শান্তর ব্যাটে। অপরাজিত এই ব্যাটসম্যানের সামনে সুযোগ আরও বড় কিছুর। মুমিনুল হক ব্যাট করছেন ৬৪ রানে। সেঞ্চুরির আভাস দিয়ে তামিম ইকবাল ফেরেন ৯০ রান করে।
লঙ্কান বোলারদের কেউই খুব বেশি ভুগাতে পারছেন না ব্যাটসম্যানদের। সাড়ে পাঁচশো ছাড়িয়ে যাওয়াও খুবই সম্ভব এখানে। তবে পুঁজিটা কত হতে পারে তা দ্বিতীয় দিনের প্রথম ভাগের হাবভাব দেখে ঠিক করবেন বলে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে জানান শান্ত, ‘সকালের প্রথম সেশনটা গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম সেশন যদি খেলতে পারি তাহলে বোঝা যাবে কত রান আসলে করতে পারব। বা ম্যাচ জেতার জন্য কত দরকার। কাল সকালে প্রথম সেশনে ভাল ব্যাট করা খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
দিনের দ্বিতীয় ওভারেই ক্রিজে যেতে হয়েছিল শান্তকে। আর আউট হননি। ২৮৮ বল খেলেছেন পুরো দিনে। এই ইনিংসের আগে রান খরায় থাকায় থিতু হতে সময় নিয়েছিলেন। তার জন্য সুবিধা হয়ে যায় তামিমের ইতিবাচক ব্যাটিং, ‘তামিম ভাই খুব ভাল ব্যাট করেছে, ওইটা আমার ব্যাটিংয়ে সাহায্য করেছে। আমি সময় নিতে পেরেছি। বলের মেধা অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করেছি। আমার মনে হয় ইনিংসটা খুব গুছানো ছিল। খুব বেশি তাড়াহুড়ো করিনি।’
‘উইকেটে যাওয়ার পর তামিম ভাই বলেছিল, “উইকেট ভাল তুমি ওই অনুযায়ী ব্যাট কর”। ওইটা মাথায় ছিল। আমি বল দেখেছি, খেলেছি। উইকেট নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করিনি। যদিও নতুন বলে একটু স্যুয়িং করছিল কিন্তু ইতিবাচক ছিলাম ওইটা কাজে দিয়েছে।’
এই জায়গা থেকে ডাবল সেঞ্চুরি করার সুযোগও থাকছে শান্তর। তবে তিনি কোন নির্দিষ্ট লক্ষ্য ঠিক না করে বল দেখে দেখে এগুতে চান, ‘যেটা বললাম প্রথম সেশনে ব্যাটিং খুব গুরুত্বপূর্ণ। চেষ্টা করব প্রথম সেশনে কীভাবে ভাল ব্যাট করা যায়। বল দেখব, খেলব যত লম্বা করা যায়।’
নিজের সেরা দিনে তামিমের সঙ্গে ১৪৪ রান, মুমিনুলের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ১৫০ রানের জুটি হয়ে গেছে শান্তর। পুরো ইনিংসে তাকে মনে হয়েছে নিয়ন্ত্রিত। কোন রকমের বাড়তি চাপ না নিয়ে অনায়াসে এগিয়ে নিচ্ছেন দলকে। এর পেছনে নির্ভার থাকাকেই কারণ হিসেবে জানান তিনি, আমার মনে হয় মানসিকভাবে অনেক নির্ভার ছিলাম । খুব বেশি চিন্তা করিনি যে কত রান করব ইত্যাদি। কেবল ব্যাটিংটা উপভোগ করেছি। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বল দেখেছি আর ব্যাট করেছি। কত বল খেললাম বা কত রান করলাম এই জিনিস নিয়ে বেশি চিন্তা করিনি। আর জুটি নিয়ে পরিকল্পনা ছিল যে যত বড় জুটি করা যায়। ছোট ছোট করে চিন্তা করেছি। কাজেই দিনশেষে বড় জুটি হয়েছে।’
Comments