কার্তিক-রাসেল-কামিন্সের লড়াই ছাপিয়ে জিতল চেন্নাই

জমজমাট লড়াইয়ে ১৮ রানে জিতেছে চেন্নাই।
deepak and cummins
ছবি: আইপিএল ওয়েবসাইট

বড় লক্ষ্য তাড়া করার চ্যালেঞ্জ ছিল কলকাতা নাইট রাইডার্সের সামনে। কিন্তু চেন্নাই সুপার কিংসের পেসার দীপক চাহারের সামনে দিশেহারা হয়ে পড়ল তারা। ৩১ রানে ৫ উইকেট খোয়ানোর পরও দীনেশ কার্তিক, আন্দ্রে রাসেল আর প্যাট কামিন্স করলেন প্রাণপণ লড়াই। তবে শেষ পর্যন্ত তা যথেষ্ট হলো না।

বুধবার ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) নাটকীয় লড়াইয়ে ১৮ রানে জিতেছে চেন্নাই। মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২২০ রান তোলে তারা। জবাবে ৫ বল বাকি থাকতে কলকাতা অলআউট হয় ২০২ রানে।

চলতি আসরে মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বাধীন চেন্নাইয়ের এটি টানা তৃতীয় জয়। ৪ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে এগিয়ে থাকায় পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠেছে তারা। সমান ম্যাচে ওয়েন মরগ্যানের নেতৃত্বাধীন কলকাতার এটি টানা তৃতীয় হার। ২ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে তালিকার ছয়ে।

শুরুতেই চাহার সুইংয়ের পসরা সাজিয়ে ছারখার করে দেন কলকাতার ব্যাটিংকে। পাওয়ার প্লেতে ৩ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন তিনি। একে একে তার শিকার হন শুবমান গিল, নিতিশ রানা, মরগান ও সুনীল নারিন। এরপর রাহুল ত্রিপাঠিকে সাজঘরে পাঠান লুঙ্গি এনগিডি।

চেন্নাইয়ের জয় কেবল সময়ের ব্যাপার বলে মনে হচ্ছিল তখন। কিন্তু গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা তো ক্রিকেট! পাল্টা আক্রমণে ষষ্ঠ উইকেটে ৩৯ বলে ৮১ রানের জুটি গড়েন কার্তিক ও রাসেল। ম্যাচে তৈরি হয় ভীষণ রোমাঞ্চ।

২২ বলে ৫৪ রান করা রাসেলকে থামান স্যাম কারান। তার বিধ্বংসী ইনিংসে ছিল ৩ চার ও ৬ ছক্কা। ঝড় তোলা কার্তিক এনগিডির শিকার হওয়ার আগে ২৪ বলে করেন ৪০ রান।

স্বীকৃত কোনো ব্যাটসম্যান নেই। হাতে ৩ উইকেট নিয়ে ৫ ওভারে চাই ৭৫ রান। কলকাতার ঘুরে দাঁড়ানো সেখানেই শেষ- এই ভাবনা টেকেনি বেশিক্ষণ। ১৬তম ওভারে কারানকে বেধড়ক পিটিয়ে ৩০ রান আদায় করে চমকে দেন কামিন্স। তার কল্যাণে কলকাতা ফের হালে পানি পায়।

অপরপ্রান্তে উইকেট পতনের ধারা জারি থাকে। ফলে শেষ ওভারে ১ উইকেট নিয়ে নাইটদের দরকার পড়ে ২০ রান। তবে শার্দুল ঠাকুরের প্রথম ডেলিভারিতে ডাবল নিতে গিয়ে রানআউট হয়ে যান শেষ ব্যাটসম্যান প্রসিধ কৃষ্ণা। কষ্টার্জিত জয়ের উল্লাসে মাতে চেন্নাই।

আটে নামা কামিন্স ৩৪ বলে ৬৬ রানে অপরাজিত থাকেন। চাহার ২৯ রানে নেন ৪ উইকেট। এনগিডি ৩ উইকেট পান ২৮ রানে। রাসেলকে আটকালেও কারানের ওপর দিয়ে ঝড়। ৪ ওভারে তার খরচা ৫৮ রান।

রান উৎসবের ম্যাচে এর আগে কলকাতার বোলারদেরও খেতে হয় বেদম মার। ওপেনার ফ্যাফ ডু প্লেসি শেষ পর্যন্ত খেলে অপরাজিত থাকেন ৬০ বলে ৯৫ রানে। তার ইনিংসে ছিল ৯ চার ও ৪ ছক্কা। আরেক ওপেনার ঋতুরাজ গায়কোয়াড় ৪২ বলে করেন ৪২ বলে ৬৪ রানে। মঈন আলীর ব্যাট থেকে আসে ১২ বলে ২৫ রান। চারে উঠে আসা ধোনি খেলেন ৮ বলে ১৭ রানের ক্যামিও।

এই ম্যাচে কলকাতার একাদশ থেকে বাদ পড়েন বাংলাদেশের তারকা সাকিব আল হাসান। তার পরিবর্তে জায়গা পাওয়া নারিন ছিলেন অনুজ্জ্বল। বল হাতে ৪ ওভারে ৩৪ রানে ১ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতে ৩ বলে ৪ রানে আউট হন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
economic challenges for interim government

The steep economic challenges that the interim government faces

It is crucial for the interim government to focus on setting a strong foundation for future changes.

6h ago