চলাচলে বিধি-নিষেধে কমছে সংক্রমণ

প্রতীকী ছবি (সংগৃহীত)

গত কয়েকদিনে দেশে দৈনিক করোনা শনাক্তের হার ও নতুন আক্রান্তের সংখ্যা কমায় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জনসাধারণের চলাচলের ওপর চলমান বিধি-নিষেধের কারণেই সংক্রমণের গতি কমতে শুরু করেছে।

গতকাল বুধবার ২৮ হাজার ৪০৮ টি নমুনা পরীক্ষা করে চার হাজার ২৮০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, এর আগের দিন করোনা শনাক্ত হয়েছিল চার হাজার ৫৫৯ জনের। শনাক্তের হার ছিলো ১৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ। কিন্তু, গতকাল শনাক্তের হার কমে ১৫ দশমিক ০৭ শতাংশ হয়।

গত শুক্রবার শনাক্তের হার ছিল ২৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ, যা গত ছয় দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ। এরপর থেকেই দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমতে শুরু করে।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত দেশে করোনা শনাক্ত হয়েছে সাত লাখ ৩২ হাজার ৬০ জনের।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা মুশতাক হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘প্রতিদিনের তথ্য বলছে যে, সংক্রমণ কমে আসছে। দেশজুড়ে চলাচলের ওপর চলমান বিধি-নিষেধের ফল এটি।’

তবে, যেকোনো সময় আবারও সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘গতবার করোনার প্রথম ঢেউয়ে সংক্রমণের গতি বারবারই কমতে ও বাড়তে দেখেছি আমরা। সর্বশেষ তথ্য-উপাত্ত দেখে সংক্রমণের পিক শেষ হয়ে গেছেই বলেই আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে। কিন্তু, এটি নিশ্চিতভাবে বলার জন্য আরও কয়েক দিন অপেক্ষা করতে হবে আমাদের।’

এ সময়টা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর জোর দেন তিনি।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অধ্যাপক সায়েদুর রহমানও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর জোর দেন।

গত মঙ্গলবার দ্য ডেইলি স্টারকে তিনি বলেন, ‘সার্জিক্যাল মাস্ক করোনার সব ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধেই ৯০ শতাংশের বেশি সুরক্ষা দিতে পারে। ভাইরাসের মিউটিশেন হতেই থাকবে। উপযুক্ত টিকা তৈরি করতে সময় লাগবে গবেষকদের। তাই আগামী কয়েক বছর মাস্কই সবচেয়ে ভালো সমাধান।’

গতকাল সকাল ৮টা থেকে পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৯৫ জন করোনা রোগী মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১০ হাজার ৬৮৩ জনে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, শনাক্ত অনুপাতে মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৬ শতাংশ।

এ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন সাত হাজার ৭২ জন।

গতকাল পর্যন্ত দেশে চিকিৎসাধীন করোনা রোগীর সংখ্যা ছিলো ৮৬ হাজার ৫৬৮ জন। তাদের মধ্যে ৫৫ হাজার ৫১৭ জন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালের সাধারণ বেডে এবং ৭৯৩ জন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।

বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুসারে, মৃত ৯৫ জনের মধ্যে ৫৯ জন পুরুষ এবং ৩৬ জন নারী। বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে তাদের মধ্যে তিন জনের বয়স ৩১-৪০ বছরের মধ্যে, ১৩ জনের বয়স ৪১-৫০ বছরের মধ্যে, ২২ জনের বয়স ৫১-৬০ বছরের মধ্যে ও ষাটোর্ধ্ব ৫৭ জন।

Comments

The Daily Star  | English

Threat of fresh Rohingya influx looms as clashes erupt in Myanmar

Gunfire and explosions were heard late Friday night from villages across the border in Myanmar opposite Whykong union in Teknaf upazila of Cox’s Bazar. Residents, gripped by panic, reported that this was the most intense gunfire they had heard in months.

3h ago